ড. এম শাহানুল ইসলাম, পিএইচডি
২০১২ সালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করি। তারপর ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনে পাড়ি জমাই। সেখানে তিয়ানজিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমুদ্রবিজ্ঞানে পিএইচডি করি।
বাংলাদেশে থাকাকালীন আশপাশের মানুষজন বলত, চীনা সার্টিফিকেট মূল্যহীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার একজন শিক্ষক চীনের বিখ্যাত একজন অধ্যাপকের ই-মেইলে কাগজপত্র পাঠাতে বলেন। সেই অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো চীনে ডক্টরেট করতে পারলে জীবনে অনেক বড় কিছু অর্জন করতে পারব। সেখান থেকেই চীনে পড়াশোনা করার ইচ্ছা। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চান, তাঁদের উচিত আইইএলটিএস করা। পাশাপাশি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাছে সিভি ও সার্টিফিকেট পাঠাতে হবে। সফলতা যেকোনো সময় আসতে পারে।
চীনে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ আছে। যেমন: কেন্দ্রীয় সরকার স্কলারশিপ, চীনা স্থানীয় সরকার স্কলারশিপ, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স স্কলারশিপ, বেল্ট অ্যান্ড রোড স্কলারশিপ ইত্যাদি। যোগ্যতা অনুসারে চীনা সরকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। তবে স্কলারশিপভেদে সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন। যেমন, আমি তিয়ানজিন লোকাল গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ পেয়েছিলাম, সেখানে বাইরে কোথাও চাকরি করলে স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যেতে পারত। তবে খরচ সেখানে তেমন বেশি নয়। আমার মাসে থাকা-খাওয়ার খরচ হতো ১০-১৫ হাজার টাকা। টিউশন ফি বলতে গেলে একটু কমই। তবে তা বিভিন্ন কোর্সের ওপর নির্ভর করে। যেমন, সমুদ্রবিজ্ঞানে কোনো স্কলারশিপ না পেলে স্নাতক করতে খরচ হবে ১-২ লাখ টাকা। আর স্নাতকোত্তর করতে প্রায় ৩ লাখ টাকা। কিন্তু স্কলারশিপ পেলে এসব টিউশন ফি দিতে হবে না; বরং মাসে ৩০-৬০ হাজার টাকা থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ পাওয়া যাবে।
চীনা ভাষায় পড়াশোনা করতে পারলে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ। তবে ইংরেজি ভাষায়ও পড়াশোনা করা যায়। সে ক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাওয়াটা একটু কঠিন। চীন শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি-বিজ্ঞান সবকিছু দিয়েই নিজেদের সমৃদ্ধিশালী করে তুলছে। তবে কারিগরি বিষয়গুলোতে চীন বেশ এগিয়ে। বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এবং অধ্যাপকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে কাজ করতে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের ই-মেইল অ্যাড্রেস খুঁজে নিতে পারেন। তারপর তাঁদের কাছে নিজের সব কাগজপত্র, গবেষণায় আগ্রহের বিষয়, সনদপত্রগুলো সংযুক্ত করে পাঠাতে হবে। অধ্যাপকের পছন্দ হলে সম্মতিপত্র পাঠাবেন। তারপর সম্মতিপত্র, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ সব কাগজপত্র স্কলারশিপ সেন্টারে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। স্কলারশিপ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় আপনার ঠিকানায় অ্যাডমিশন লেটার পাঠিয়ে দেবে।
চীনের শান্তিপূর্ণ জীবন আমাকে আকর্ষণ করেছে। কেউ কারও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আর প্রযুক্তিগত দিক থেকে চীন অনেক এগিয়ে। ফলে সেখানে অনলাইনে অনেক কাজ করা যায়, যা দৈনন্দিন জীবন সহজ করে তোলে।
লেখক: শিক্ষার্থী, সমুদ্রবিজ্ঞান, তিয়ানজিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
২০১২ সালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করি। তারপর ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনে পাড়ি জমাই। সেখানে তিয়ানজিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমুদ্রবিজ্ঞানে পিএইচডি করি।
বাংলাদেশে থাকাকালীন আশপাশের মানুষজন বলত, চীনা সার্টিফিকেট মূল্যহীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার একজন শিক্ষক চীনের বিখ্যাত একজন অধ্যাপকের ই-মেইলে কাগজপত্র পাঠাতে বলেন। সেই অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো চীনে ডক্টরেট করতে পারলে জীবনে অনেক বড় কিছু অর্জন করতে পারব। সেখান থেকেই চীনে পড়াশোনা করার ইচ্ছা। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চান, তাঁদের উচিত আইইএলটিএস করা। পাশাপাশি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাছে সিভি ও সার্টিফিকেট পাঠাতে হবে। সফলতা যেকোনো সময় আসতে পারে।
চীনে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ আছে। যেমন: কেন্দ্রীয় সরকার স্কলারশিপ, চীনা স্থানীয় সরকার স্কলারশিপ, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স স্কলারশিপ, বেল্ট অ্যান্ড রোড স্কলারশিপ ইত্যাদি। যোগ্যতা অনুসারে চীনা সরকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। তবে স্কলারশিপভেদে সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন। যেমন, আমি তিয়ানজিন লোকাল গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ পেয়েছিলাম, সেখানে বাইরে কোথাও চাকরি করলে স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যেতে পারত। তবে খরচ সেখানে তেমন বেশি নয়। আমার মাসে থাকা-খাওয়ার খরচ হতো ১০-১৫ হাজার টাকা। টিউশন ফি বলতে গেলে একটু কমই। তবে তা বিভিন্ন কোর্সের ওপর নির্ভর করে। যেমন, সমুদ্রবিজ্ঞানে কোনো স্কলারশিপ না পেলে স্নাতক করতে খরচ হবে ১-২ লাখ টাকা। আর স্নাতকোত্তর করতে প্রায় ৩ লাখ টাকা। কিন্তু স্কলারশিপ পেলে এসব টিউশন ফি দিতে হবে না; বরং মাসে ৩০-৬০ হাজার টাকা থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ পাওয়া যাবে।
চীনা ভাষায় পড়াশোনা করতে পারলে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ। তবে ইংরেজি ভাষায়ও পড়াশোনা করা যায়। সে ক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাওয়াটা একটু কঠিন। চীন শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি-বিজ্ঞান সবকিছু দিয়েই নিজেদের সমৃদ্ধিশালী করে তুলছে। তবে কারিগরি বিষয়গুলোতে চীন বেশ এগিয়ে। বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এবং অধ্যাপকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে কাজ করতে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের ই-মেইল অ্যাড্রেস খুঁজে নিতে পারেন। তারপর তাঁদের কাছে নিজের সব কাগজপত্র, গবেষণায় আগ্রহের বিষয়, সনদপত্রগুলো সংযুক্ত করে পাঠাতে হবে। অধ্যাপকের পছন্দ হলে সম্মতিপত্র পাঠাবেন। তারপর সম্মতিপত্র, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ সব কাগজপত্র স্কলারশিপ সেন্টারে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। স্কলারশিপ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় আপনার ঠিকানায় অ্যাডমিশন লেটার পাঠিয়ে দেবে।
চীনের শান্তিপূর্ণ জীবন আমাকে আকর্ষণ করেছে। কেউ কারও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আর প্রযুক্তিগত দিক থেকে চীন অনেক এগিয়ে। ফলে সেখানে অনলাইনে অনেক কাজ করা যায়, যা দৈনন্দিন জীবন সহজ করে তোলে।
লেখক: শিক্ষার্থী, সমুদ্রবিজ্ঞান, তিয়ানজিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রমজান মাসের করা রুটিন অনুযায়ী সকল ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে সেমিস্টার ও মিডটার্ম পরীক্ষা সশরীরে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে...
৪ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
৫ ঘণ্টা আগেস্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হলো SAT (Scholastic Assessment Test)। এটি মূলত ইংরেজি পড়া, লেখা এবং গণিতে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য SAT স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
১১ ঘণ্টা আগেইতালির ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে