Ajker Patrika

ইউআইইউতে প্রযুক্তির পরিবর্তনশীল প্রভাব বিষয়ে সেমিনার

বিজ্ঞপ্তি
ইউআইইউতে প্রযুক্তির পরিবর্তনশীল প্রভাব বিষয়ে সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত
ইউআইইউতে প্রযুক্তির পরিবর্তনশীল প্রভাব বিষয়ে সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ভবিষ্যৎ সমাজ: পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির পরিবর্তনশীল প্রভাব’ শীর্ষক একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সেমিনারের মাধ্যমে ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সপ্তাহ’ ইউআইইউ ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. আবুল কাশেম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের ইউজিন হিগিন্স এবং আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো এম জাহিদ হাসান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং প্রফেসর ইমেরিটাস এম রিজওয়ান খান, ইউআইইউ স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর হামিদুল হক, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর হাসান সারওয়ার এবং ইউআইইউর রেজিস্ট্রার মো. জুলফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউআইইউয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশনের পরিচালক প্রফেসর প্রফেসর খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন।

অধ্যাপক এম জাহিদ হাসান সেমিনার পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, আগামী বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বিষয় হবে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি থেকেই মানুষের জীবন ও কাঠামো গড়ে উঠেছে। এটি প্রযুক্তিতে পরিবর্তিত হওয়ার পর, প্রযুক্তিকেও শক্তিশালী করেছে। এ ছাড়া তিনি সেমিনারে এআই, কোয়ান্টাম বিজ্ঞান এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রফেসর এম. জাহিদ হাসান ২৮০ বেশি পিয়ার-রিভিউ জার্নাল নিবন্ধ লিখেছেন যা পদার্থ বিজ্ঞান, কোয়ান্টাম ম্যাগনেটিজম, আল্ট্রাফাস্ট এবং ন্যানোস্কেল কোয়ান্টাম ইত্যাদি গবেষণার ক্ষেত্রে বেশি। তিনি স্ট্যানফোর্ডের এসএলএসি ন্যাশনাল অ্যাক্সিলারেটরের পাশাপাশি লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে কাজ করেছেন এবং ২০২০ আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন দ্বারা আমেরিকান কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন ফেলোশিপ ‘ফর লিডারশিপ ইন দ্যা ফিল্ড অব ফিজিক্সেস’ অর্জন করেছেন এবং ২০১৪ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বৈজ্ঞানিকের তালিকায় তালিকাভুক্ত।

সভাপতির বক্তব্যে ইউআইইউ উপাচার্য প্রফেসর মো. আবুল কাশেম মিয়া বলেন, নতুন প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে আমাদের সংযুক্তি বাড়াতে হবে। ইউআইইউ উদ্ভাবনে জোর দিচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা দেশ এবং মানবজাতির জন্য কল্যাণকর কাজ করতে চাই। সে জন্য আমরা গবেষণা বাড়াতে কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, শিক্ষক, গবেষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত