বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আগে থেকেই নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন হলের মালিকেরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন হলগুলো বন্ধ। সরকার থেকে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণের চেয়ে অনুদানের কথাই ভাবছেন হলের মালিকেরা।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সারা দেশে সিনেমা হল ছিল ১ হাজার ৪৩৫টি। গত দুই দশকে কমতে কমতে তা ২০০-এর নিচে নেমে এসেছে। এই শিল্পে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যাও ব্যাপকভাবে কমছে। প্রদর্শক সমিতির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মাত্র ১০ বছর আগেও সারা দেশের সিনেমা হলগুলোর সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সম্পৃক্ত ছিল। এখন তা নেমে এসেছে ৫ হাজারের নিচে। হলমালিকেরা বলছেন, চার দশকের এই চিত্রই বলে দেয় এভাবে চললে ১০ বছর পর দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোর জায়গা হবে ইতিহাসের পাতায়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেছেন, ‘এক দেশে দুই নিয়ম তো হতে পারে না। আমাদের হলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে, কিন্তু সিনেপ্লেক্সগুলো ঠিকই তাদের প্রদর্শনী চালিয়ে যাচ্ছে। তাও আবার বিদেশি চলচ্চিত্র। গত তিন ঈদেই আমাদের হলগুলো বন্ধ। অসংখ্য চলচ্চিত্রে অর্থলগ্নি হয়ে আছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অন্যান্য কার্যক্রম চলেছে, কেবল হল খোলা হলো না। তাহলে কীভাবে হলমালিকেরা চলবেন?’
হলমালিকদের ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ঋণ নিয়ে কী করবে যদি হলে ছবি না থাকে–এমন প্রশ্ন উঠেছে হলমালিকদের মনে। হলমালিক বা প্রদর্শক সমিতির বর্তমান সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ বলছেন, ‘করোনার কারণে অনেক হলমালিক সচ্ছলতা হারিয়েছেন, এখন আর ঋণের বোঝা নিতে চাইছেন না। ৫ শতাংশ সুদ দেওয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আমরা এটাকে ২ শতাংশ সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তা ছাড়া গত রোজার ঈদে হল খুলেছিলাম; কিন্তু কোনো ছবি মুক্তি দেওয়া হলো না। তাহলে ঋণ নিয়ে কী করব! আমাদের এখন অনুদান দরকার। সরকারি সহযোগিতা আর পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া হলগুলো টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’
হল মালিক সমিতির উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন বলেছেন, ‘ঋণের কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পাইনি। ব্যাংকে গেলে তাঁরা বলেন, “আমরা কোনো সার্কুলার পাইনি।” আমাদের অনুদান দেওয়ার কথা বলা হলেও এক বছর হয়ে গেছে এর বাস্তবায়ন হয়নি। হলমালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে হল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া পথ থাকবে না। কাজেই অতিসত্বর সরকারি অনুদানের মাধ্যমে হলগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘হলমালিকেরা যখন লাইসেন্স নিয়েছিলেন, লিজ নিয়েছিলেন। তখন শর্ত ছিল শুধু সিনেমা হল থাকবে। এখন ওখানে মার্কেট করছেন। এটা ঠিক না। সরকার ঋণ দিচ্ছে, প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। খুবই অল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু হলমালিকেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে আমরা প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে ধুয়ে–মুছে সময়োপযোগী করব? আমাদের অনেক ছবি প্রস্তুত আছে। কিন্তু প্রদর্শনের জায়গা নেই। তাঁরা যে বিদেশি ছবি চালানোর পাঁয়তারা করছেন, সেটা হতে পারে না।’
প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই পুরোনো হলগুলো মেরামত করে সময়োপযোগী করা হচ্ছে। আর আমাদের দেশের হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছবি প্রদর্শনের জন্য যদি হল না থাকে, তাহলে ছবি বানিয়ে কী হবে? জাতির জনকের হাত ধরে গড়ে ওঠা এই শিল্পমাধ্যমটিকে বাঁচিয়ে তুলতে এখনই যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’
দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়াচ্ছে অনেকের ছবি। অথচ হলের অভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য মিলছে না দেশে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতই সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান, সঠিক দিকনির্দেশনা আর সহযোগিতা আশা করছেন হলমালিকেরা।
আগে থেকেই নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন হলের মালিকেরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন হলগুলো বন্ধ। সরকার থেকে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণের চেয়ে অনুদানের কথাই ভাবছেন হলের মালিকেরা।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সারা দেশে সিনেমা হল ছিল ১ হাজার ৪৩৫টি। গত দুই দশকে কমতে কমতে তা ২০০-এর নিচে নেমে এসেছে। এই শিল্পে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যাও ব্যাপকভাবে কমছে। প্রদর্শক সমিতির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মাত্র ১০ বছর আগেও সারা দেশের সিনেমা হলগুলোর সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সম্পৃক্ত ছিল। এখন তা নেমে এসেছে ৫ হাজারের নিচে। হলমালিকেরা বলছেন, চার দশকের এই চিত্রই বলে দেয় এভাবে চললে ১০ বছর পর দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোর জায়গা হবে ইতিহাসের পাতায়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেছেন, ‘এক দেশে দুই নিয়ম তো হতে পারে না। আমাদের হলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে, কিন্তু সিনেপ্লেক্সগুলো ঠিকই তাদের প্রদর্শনী চালিয়ে যাচ্ছে। তাও আবার বিদেশি চলচ্চিত্র। গত তিন ঈদেই আমাদের হলগুলো বন্ধ। অসংখ্য চলচ্চিত্রে অর্থলগ্নি হয়ে আছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অন্যান্য কার্যক্রম চলেছে, কেবল হল খোলা হলো না। তাহলে কীভাবে হলমালিকেরা চলবেন?’
হলমালিকদের ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ঋণ নিয়ে কী করবে যদি হলে ছবি না থাকে–এমন প্রশ্ন উঠেছে হলমালিকদের মনে। হলমালিক বা প্রদর্শক সমিতির বর্তমান সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ বলছেন, ‘করোনার কারণে অনেক হলমালিক সচ্ছলতা হারিয়েছেন, এখন আর ঋণের বোঝা নিতে চাইছেন না। ৫ শতাংশ সুদ দেওয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আমরা এটাকে ২ শতাংশ সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তা ছাড়া গত রোজার ঈদে হল খুলেছিলাম; কিন্তু কোনো ছবি মুক্তি দেওয়া হলো না। তাহলে ঋণ নিয়ে কী করব! আমাদের এখন অনুদান দরকার। সরকারি সহযোগিতা আর পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া হলগুলো টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’
হল মালিক সমিতির উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন বলেছেন, ‘ঋণের কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পাইনি। ব্যাংকে গেলে তাঁরা বলেন, “আমরা কোনো সার্কুলার পাইনি।” আমাদের অনুদান দেওয়ার কথা বলা হলেও এক বছর হয়ে গেছে এর বাস্তবায়ন হয়নি। হলমালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে হল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া পথ থাকবে না। কাজেই অতিসত্বর সরকারি অনুদানের মাধ্যমে হলগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘হলমালিকেরা যখন লাইসেন্স নিয়েছিলেন, লিজ নিয়েছিলেন। তখন শর্ত ছিল শুধু সিনেমা হল থাকবে। এখন ওখানে মার্কেট করছেন। এটা ঠিক না। সরকার ঋণ দিচ্ছে, প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। খুবই অল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু হলমালিকেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে আমরা প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে ধুয়ে–মুছে সময়োপযোগী করব? আমাদের অনেক ছবি প্রস্তুত আছে। কিন্তু প্রদর্শনের জায়গা নেই। তাঁরা যে বিদেশি ছবি চালানোর পাঁয়তারা করছেন, সেটা হতে পারে না।’
প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই পুরোনো হলগুলো মেরামত করে সময়োপযোগী করা হচ্ছে। আর আমাদের দেশের হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছবি প্রদর্শনের জন্য যদি হল না থাকে, তাহলে ছবি বানিয়ে কী হবে? জাতির জনকের হাত ধরে গড়ে ওঠা এই শিল্পমাধ্যমটিকে বাঁচিয়ে তুলতে এখনই যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’
দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়াচ্ছে অনেকের ছবি। অথচ হলের অভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য মিলছে না দেশে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতই সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান, সঠিক দিকনির্দেশনা আর সহযোগিতা আশা করছেন হলমালিকেরা।
দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রির আবেদনময়ী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। অভিনয় তো বটেই, ‘আজ কি রাত’–এর মতো আইটেম গানে ঘায়েল করেছেন লাখো পুরুষের মন। সিনেমা কিংবা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়ই থাকেন চর্চায়। একসময় গুঞ্জন ওঠে, অভিনেতা বিজয় বর্মাকে মন দিয়েছেন তিনি। অবশ্য ২০২৩ সালে সেই গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়ে প্রেমের কথা...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রথম ম্রো ভাষায় নির্মিত সিনেমা ‘কিওরি পেক্রা উও’, ইংরেজিতে ‘ডিয়ার মাদার’। সিনেমাটি এবার পা রাখতে চলেছে বিশ্ববিখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৫ মার্চ কেমব্রিজ স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৩০ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ইনডিজিনিয়াস স্টাডিজ গ্রুপ কেমব্রিজের আয়োজনে এই স্ক্রিনিং...
১১ ঘণ্টা আগেআসন্ন রোজার ঈদে এনটিভিতে প্রচারিত হবে একক নাটক ‘খুচরা পাপী’। জিয়াউদ্দিন আলমের নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি। ‘পাইরেসি’ নাটকের পর দীর্ঘ এক যুগ পরে জিয়াউদ্দিন আলমের নির্দেশনায় অভিনয় করলেন মোশাররফ। ‘প্রাইভেট জামাই’ নাটকের পর আলমের নির্দেশনায় তানিয়া অভিনয় করলেন তিন বছর পর
১১ ঘণ্টা আগে‘নারীজন্ম ধন্য হোক আপনভাগ্য গড়ার অধিকারে’ স্লোগানে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল উদ্যাপন করবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫। ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে এক দিন আগে ৭ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দলটি আয়োজন করেছে সম্মাননা প্রদান ও নাট্য প্রদর্শনীর।
১১ ঘণ্টা আগে