বিনোদন ডেস্ক
১৯৯৬ সালে তালেবানরা কাবুল দখল নিলে আফগানিস্তানে সব ধরনের সিনেমা, টেলিভিশন ও ভিডিও নিষিদ্ধ করা হয়। থিয়েটারগুলো বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ হতে শুরু করে আফগান ছবি।
২০০১ সালে আমেরিকার হস্তক্ষেপে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের অবসান ঘটলে সে দেশের সিনেমা হলগুলো নতুন করে যাত্রা শুরু করে। যদিও বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে খুবই কমসংখ্যক ছবি নির্মাণ হয়েছে। মূলত পাকিস্তান, বলিউড ও হলিউডের ছবিই প্রদর্শন করা হতো হলগুলোয়।
সম্প্রতি দেশটি তালেবানদের দখলে আসায় আবারও আফগানিস্তানে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু তা-ই নয়, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
আফগানিস্তানে ছবি নির্মাণ শুরু হয় গত শতকের চল্লিশের দশকে। আর সরকারি সহযোগিতায় ছবি নির্মাণ হতে পেরিয়ে যায় আরও প্রায় আড়াই দশক। শুরু থেকেই নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রি।
মূলত ২০০৩ সাল থেকে আফগান ছবির নব উত্থান হয়। সে বছরই সারা বিশ্বে প্রশংসিত সিদ্দিক বারমাকের ‘ওসামা’ মুক্তি পায়। এরপর ‘আর্থ অ্যান্ড অ্যাসেস’, ‘সিক্সটিন ডেইজ ইন আফগানিস্তান’, ‘কাবুলি কিড’, ‘নো ওম্যান’, ‘ব্ল্যাক কাইট’সহ বেশ কিছু ছবি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পায়।
রোয়া সাদাত বিশ্বনন্দিত একজন নারী আফগান চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক। আফগানিস্তানের প্রথম নারী পরিচালকও তিনি। নারী নির্যাতন ও নিষিদ্ধকরণ বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দেশে তালেবান শাসনের পতনের পর তিনি বানিয়েছিলেন ‘থ্রি ডটস’ ছবিটি। এ ছবিটিও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পায়। ২০০৩ সালে তিনি এবং তাঁর বোন আলকা সাদাত ‘রোয়া ফিল্ম হাউস’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে ৩০টির বেশি তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র তৈরি করেন।
আফগান ফিল্ম অর্গানাইজেশন (এএফও) আফগানিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালিত চলচ্চিত্র সংস্থা। এই চলচ্চিত্র সংস্থার বর্তমান মহাপরিচালক সাহরা করিমি, যিনি এই সংস্থার প্রথম নারী মহাপরিচালক। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও তিনি এসেছিলেন।
খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্র নির্মাতা বিশ্ববাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন, যাতে তালেবানদের কাছ থেকে নারী ও শিল্পীদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় পাঠিয়েছেন করিমি। বিবিসি, ভ্যারাইটি, হলিউড রিপোর্টার তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি জানান, নারী ও শিশুদের ওপর তালেবানরা অত্যাচার চালাচ্ছে। জনপ্রিয় এক কমেডিয়ানকে খুন করেছে। তাদের হাতে খুন হয়েছেন কবি ও সরকারের তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান। কয়েকজনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্বের বিনোদনজগতের কাছে সাহায্য চান তিনি। পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান।
কাবুল থেকে সাহরা করিমি বিবিসিকে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, পুরো বিশ্ব আফগানিস্তানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। একটা দেশে তালেবানের “অন্ধকার যুগ” শুরু হলো। ক্রমশ অন্ধকার থেকে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি আমরা।’
১৯৯৬ সালে তালেবানরা কাবুল দখল নিলে আফগানিস্তানে সব ধরনের সিনেমা, টেলিভিশন ও ভিডিও নিষিদ্ধ করা হয়। থিয়েটারগুলো বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ হতে শুরু করে আফগান ছবি।
২০০১ সালে আমেরিকার হস্তক্ষেপে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের অবসান ঘটলে সে দেশের সিনেমা হলগুলো নতুন করে যাত্রা শুরু করে। যদিও বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে খুবই কমসংখ্যক ছবি নির্মাণ হয়েছে। মূলত পাকিস্তান, বলিউড ও হলিউডের ছবিই প্রদর্শন করা হতো হলগুলোয়।
সম্প্রতি দেশটি তালেবানদের দখলে আসায় আবারও আফগানিস্তানে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু তা-ই নয়, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
আফগানিস্তানে ছবি নির্মাণ শুরু হয় গত শতকের চল্লিশের দশকে। আর সরকারি সহযোগিতায় ছবি নির্মাণ হতে পেরিয়ে যায় আরও প্রায় আড়াই দশক। শুরু থেকেই নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রি।
মূলত ২০০৩ সাল থেকে আফগান ছবির নব উত্থান হয়। সে বছরই সারা বিশ্বে প্রশংসিত সিদ্দিক বারমাকের ‘ওসামা’ মুক্তি পায়। এরপর ‘আর্থ অ্যান্ড অ্যাসেস’, ‘সিক্সটিন ডেইজ ইন আফগানিস্তান’, ‘কাবুলি কিড’, ‘নো ওম্যান’, ‘ব্ল্যাক কাইট’সহ বেশ কিছু ছবি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পায়।
রোয়া সাদাত বিশ্বনন্দিত একজন নারী আফগান চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক। আফগানিস্তানের প্রথম নারী পরিচালকও তিনি। নারী নির্যাতন ও নিষিদ্ধকরণ বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দেশে তালেবান শাসনের পতনের পর তিনি বানিয়েছিলেন ‘থ্রি ডটস’ ছবিটি। এ ছবিটিও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পায়। ২০০৩ সালে তিনি এবং তাঁর বোন আলকা সাদাত ‘রোয়া ফিল্ম হাউস’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে ৩০টির বেশি তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র তৈরি করেন।
আফগান ফিল্ম অর্গানাইজেশন (এএফও) আফগানিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালিত চলচ্চিত্র সংস্থা। এই চলচ্চিত্র সংস্থার বর্তমান মহাপরিচালক সাহরা করিমি, যিনি এই সংস্থার প্রথম নারী মহাপরিচালক। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও তিনি এসেছিলেন।
খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্র নির্মাতা বিশ্ববাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন, যাতে তালেবানদের কাছ থেকে নারী ও শিল্পীদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় পাঠিয়েছেন করিমি। বিবিসি, ভ্যারাইটি, হলিউড রিপোর্টার তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি জানান, নারী ও শিশুদের ওপর তালেবানরা অত্যাচার চালাচ্ছে। জনপ্রিয় এক কমেডিয়ানকে খুন করেছে। তাদের হাতে খুন হয়েছেন কবি ও সরকারের তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান। কয়েকজনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্বের বিনোদনজগতের কাছে সাহায্য চান তিনি। পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান।
কাবুল থেকে সাহরা করিমি বিবিসিকে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, পুরো বিশ্ব আফগানিস্তানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। একটা দেশে তালেবানের “অন্ধকার যুগ” শুরু হলো। ক্রমশ অন্ধকার থেকে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি আমরা।’
আগামী বছরের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসব চলাকালে ১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘ওয়েস্ট মিটস ইস্ট স্ক্রিনপ্লে ল্যাব’। উৎসবে জমা দেওয়া চিত্রনাট্য থেকে জুরি প্যানেল সেরা তিন চিত্রনাট্যকে পুরস্কার প্রদান করবে।
৩ ঘণ্টা আগেঅস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমান গতকাল রোববার রাতে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এর মধ্যে সায়রা বানু ভক্তদের অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁকে যেন ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ বলা না হয়!
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে কমছে কনসার্ট, বিপরীতে বিদেশে বাড়ছে দেশের শিল্পীদের কনসার্টের সংখ্যা। রোজার মাস উপলক্ষে মার্চে দেশে নেই কোনো কনসার্টের আয়োজন। রোজার আগেও কনসার্টপ্রেমীদের জন্য সময়টা ভালো যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থগিত হয়েছে একাধিক কনসার্ট। এ নিয়ে শিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও...
১৫ ঘণ্টা আগেম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে নিয়মিত দেখা যায় বিদেশি নাগরিকদের। তাঁদের মুখে শোনা যায় বাংলা ভাষার সংলাপ। বাংলাদেশের গ্রামের সহজ-সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেন তাঁরা। তুলে ধরেন আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, গ্রামীণ কুসংস্কার, বিভিন্ন অসংগতি, সামাজিক সমস্যা, গ্রামীণ খেলাধুলা ইত্যাদি। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে প্রতি..
১৫ ঘণ্টা আগে