এম এস রানা
২০১৬ সালে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দিয়ে সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা নির্মাতার পুরস্কার জিতেছিলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। এবার ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে কান জয়ের মিশনে তিনি। সম্প্রতি বিশ্বের নানা গণমাধ্যমে এসেছে সাদ-বাঁধনদের খবর। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা সাদ। সেই সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ তুলে ধরেছেন এম এস রানা।
কানের অফিশিয়াল সিলেকসনে আসায় কেমন লাগছে?
এটা আমাদের জন্য দারুণ অনুপ্রেরণা এবং সম্মানের। দিন শেষে এ ধরনের প্রাপ্তি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সেই আনন্দের সঙ্গে এই প্রাপ্তি আরও আনন্দ যোগ করেছে। আর অবশ্যই ছবি নির্মাণে আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
একজন স্বাধীন নির্মাতা হিসেবে এই ছবির নির্মাণ ও ব্যয় সংগ্রহ করাটা কতটা কঠিন ছিল?
অন্য অনেক ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় বাংলাদেশে ছবি নির্মাণের বেলায় লগ্নিকারক খুঁজে পাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং, তবে খুব কঠিন নয়। আমি সব সময় বন্ধুদের নিয়ে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। এবং অবশ্যই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি জেরেমি চুয়ার মতো প্রযোজককে সঙ্গে পেয়েছি, যিনি আমাকে চিত্রনাট্যের ব্যাপারেও সহযোগিতা করেছেন। ছবির প্রধান চরিত্রাভিনেত্রী তাঁর সাধ্যের পুরোটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমার সিনেমাটোগ্রাফার এক বছরের বেশি সময় জিম করেছেন, কারণ তাঁকে বলেছিলাম দীর্ঘ সময় ভারী ক্যামেরা হাতে নিয়ে দৃশ্য ধারণ করতে হবে। এগুলো অল্প কিছু উদাহরণ।
আপনার ছবিটা আসলে একধরনের চরিত্র বিশ্লেষণ। এই চরিত্রটি আপনি কোথায় পেয়েছেন?
আমি বেড়ে উঠেছি বড় তিন বোনের সঙ্গে। তাঁরা সাহসী, সুন্দর, দৃঢ়চেতা, বুদ্ধিমতী। তাঁরা আমাকে প্রভাবিত করেছেন। কাছ থেকে দেখেছি, কীভাবে তাঁরা কন্যা থেকে বোন, তারপর মা এবং পরে পেশাদার হয়ে উঠেছেন। একরোখা নারীর যে ভাবমূর্তি আমার মনে তৈরি হয়েছে, সেখান থেকেই ছবির চরিত্রটা শুরু। সেই চরিত্রটাকেই আমি ভেঙেগড়ে দেখতে চেয়েছি কত দূর পর্যন্ত তাকে ঠেলে দেওয়া যায় আর মানুষ হিসেবে সে কেমন।
ছবির জন্য এ রকম জটিল এবং নৈতিকভাবে দ্বিমুখী একটা চরিত্র তৈরি করা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
আমার ছবিটি মানুষের প্রকৃতি অনুসন্ধান করে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে আমি ছবি বানাইনি। অবশ্যই ছবিতে একটা রাজনৈতিক দিক আছে। কিন্তু আমি নিজেকে রাজনৈতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা মনে করি না। আমি চরিত্র নিয়ে কাজ করি। চরিত্রটি কতটা জটিল, সেটাই আমাকে টানে। সেই চরিত্রটাকে ‘হিরো’ বানিয়ে তোলাটা আমার ছবিতে মুখ্য নয়।
এখানে আপনার দেশের নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বা অভিজ্ঞতা কি বলতে চেয়েছেন?
অবশ্যই, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বাইরে তো লেখা সম্ভব নয়। আমি সেটাই তুলে ধরি যে বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে, পর্যবেক্ষণ আছে। কিন্তু আমি চাই, সবাই যেন আমার তৈরি চরিত্রটি বুঝতে পারে, আমার দেশের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। যখন কেউ বলে, এমন ঘটনা তো সব দেশেই হয়, ফ্রান্সে হোক বা ইউরোপে। তখন মনে হয় আমি অনুভূতির সেই জায়গাটা স্পর্শ করতে পেরেছি, যেখানে মনে হয়েছে গল্পটা সর্বজনীন।
মূল চরিত্রের ডেডিকেশনের কথা বললেন। চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে কতটা সম্পৃক্ত হতে পেরেছিলেন অভিনেত্রী?
অভিনেত্রী বাঁধনের সঙ্গে প্রথম আলাপের সময়ও আমাদের হাতে পুরো স্ক্রিপ্ট ছিল না। আমরা রিহার্সেল শুরু করি এবং চরিত্রটি নিয়ে আলোচনা করি। আমি তাঁর সঙ্গে ইমুর (ছবিতে তাঁর মেয়ে) সম্পর্কটা নিয়েও ভাবি।
বাঁধনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা মূল চিত্রনাট্যে বড় প্রভাব ফেলেছে। কারণ, সে নিজেও একজন ‘সিঙ্গেল মাদার’। নয় বছরের এক কন্যাসন্তান আছে তাঁর। আমি খেয়াল করেছি কীভাবে বাঁধন তাঁর মেয়ের সঙ্গে ‘ইন্টারেক্ট’ করেন। বাঁধন সব কাজ বাদ দিয়ে এই চরিত্রটির জন্য নয় মাস মহড়া দিয়েছেন। তিনি মন থেকেই চেয়েছেন এবং পুরো চলচ্চিত্রটি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
কানে এই অংশগ্রহণ ও আলোচনা বাংলাদেশের ছবির প্রতি সবার আগ্রহ তৈরি করবে বলে আশা করেন?
ব্যক্তিগতভাবে আমি মানুষের বেশি মনোযোগ কাড়তে চাই না। আড়ালে থাকতে পছন্দ করি। তবে অবশ্যই এই অংশগ্রহণ আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে সাহায্য করবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটা আমার দেশের ‘ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মমেকার’দের অনুপ্রেরণা জোগাবে। অনেকের ইতিবাচক মন্তব্য পাচ্ছি, যারা মনে করেন আমাদের ছবিও কানে যেতে পারে, যেটা স্বপ্নই ছিল আমাদের জন্য। এটা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য অনেক বড় এক পাওয়া।
২০১৬ সালে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দিয়ে সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা নির্মাতার পুরস্কার জিতেছিলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। এবার ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে কান জয়ের মিশনে তিনি। সম্প্রতি বিশ্বের নানা গণমাধ্যমে এসেছে সাদ-বাঁধনদের খবর। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা সাদ। সেই সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ তুলে ধরেছেন এম এস রানা।
কানের অফিশিয়াল সিলেকসনে আসায় কেমন লাগছে?
এটা আমাদের জন্য দারুণ অনুপ্রেরণা এবং সম্মানের। দিন শেষে এ ধরনের প্রাপ্তি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সেই আনন্দের সঙ্গে এই প্রাপ্তি আরও আনন্দ যোগ করেছে। আর অবশ্যই ছবি নির্মাণে আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
একজন স্বাধীন নির্মাতা হিসেবে এই ছবির নির্মাণ ও ব্যয় সংগ্রহ করাটা কতটা কঠিন ছিল?
অন্য অনেক ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় বাংলাদেশে ছবি নির্মাণের বেলায় লগ্নিকারক খুঁজে পাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং, তবে খুব কঠিন নয়। আমি সব সময় বন্ধুদের নিয়ে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। এবং অবশ্যই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি জেরেমি চুয়ার মতো প্রযোজককে সঙ্গে পেয়েছি, যিনি আমাকে চিত্রনাট্যের ব্যাপারেও সহযোগিতা করেছেন। ছবির প্রধান চরিত্রাভিনেত্রী তাঁর সাধ্যের পুরোটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমার সিনেমাটোগ্রাফার এক বছরের বেশি সময় জিম করেছেন, কারণ তাঁকে বলেছিলাম দীর্ঘ সময় ভারী ক্যামেরা হাতে নিয়ে দৃশ্য ধারণ করতে হবে। এগুলো অল্প কিছু উদাহরণ।
আপনার ছবিটা আসলে একধরনের চরিত্র বিশ্লেষণ। এই চরিত্রটি আপনি কোথায় পেয়েছেন?
আমি বেড়ে উঠেছি বড় তিন বোনের সঙ্গে। তাঁরা সাহসী, সুন্দর, দৃঢ়চেতা, বুদ্ধিমতী। তাঁরা আমাকে প্রভাবিত করেছেন। কাছ থেকে দেখেছি, কীভাবে তাঁরা কন্যা থেকে বোন, তারপর মা এবং পরে পেশাদার হয়ে উঠেছেন। একরোখা নারীর যে ভাবমূর্তি আমার মনে তৈরি হয়েছে, সেখান থেকেই ছবির চরিত্রটা শুরু। সেই চরিত্রটাকেই আমি ভেঙেগড়ে দেখতে চেয়েছি কত দূর পর্যন্ত তাকে ঠেলে দেওয়া যায় আর মানুষ হিসেবে সে কেমন।
ছবির জন্য এ রকম জটিল এবং নৈতিকভাবে দ্বিমুখী একটা চরিত্র তৈরি করা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
আমার ছবিটি মানুষের প্রকৃতি অনুসন্ধান করে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে আমি ছবি বানাইনি। অবশ্যই ছবিতে একটা রাজনৈতিক দিক আছে। কিন্তু আমি নিজেকে রাজনৈতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা মনে করি না। আমি চরিত্র নিয়ে কাজ করি। চরিত্রটি কতটা জটিল, সেটাই আমাকে টানে। সেই চরিত্রটাকে ‘হিরো’ বানিয়ে তোলাটা আমার ছবিতে মুখ্য নয়।
এখানে আপনার দেশের নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বা অভিজ্ঞতা কি বলতে চেয়েছেন?
অবশ্যই, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বাইরে তো লেখা সম্ভব নয়। আমি সেটাই তুলে ধরি যে বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে, পর্যবেক্ষণ আছে। কিন্তু আমি চাই, সবাই যেন আমার তৈরি চরিত্রটি বুঝতে পারে, আমার দেশের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। যখন কেউ বলে, এমন ঘটনা তো সব দেশেই হয়, ফ্রান্সে হোক বা ইউরোপে। তখন মনে হয় আমি অনুভূতির সেই জায়গাটা স্পর্শ করতে পেরেছি, যেখানে মনে হয়েছে গল্পটা সর্বজনীন।
মূল চরিত্রের ডেডিকেশনের কথা বললেন। চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে কতটা সম্পৃক্ত হতে পেরেছিলেন অভিনেত্রী?
অভিনেত্রী বাঁধনের সঙ্গে প্রথম আলাপের সময়ও আমাদের হাতে পুরো স্ক্রিপ্ট ছিল না। আমরা রিহার্সেল শুরু করি এবং চরিত্রটি নিয়ে আলোচনা করি। আমি তাঁর সঙ্গে ইমুর (ছবিতে তাঁর মেয়ে) সম্পর্কটা নিয়েও ভাবি।
বাঁধনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা মূল চিত্রনাট্যে বড় প্রভাব ফেলেছে। কারণ, সে নিজেও একজন ‘সিঙ্গেল মাদার’। নয় বছরের এক কন্যাসন্তান আছে তাঁর। আমি খেয়াল করেছি কীভাবে বাঁধন তাঁর মেয়ের সঙ্গে ‘ইন্টারেক্ট’ করেন। বাঁধন সব কাজ বাদ দিয়ে এই চরিত্রটির জন্য নয় মাস মহড়া দিয়েছেন। তিনি মন থেকেই চেয়েছেন এবং পুরো চলচ্চিত্রটি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
কানে এই অংশগ্রহণ ও আলোচনা বাংলাদেশের ছবির প্রতি সবার আগ্রহ তৈরি করবে বলে আশা করেন?
ব্যক্তিগতভাবে আমি মানুষের বেশি মনোযোগ কাড়তে চাই না। আড়ালে থাকতে পছন্দ করি। তবে অবশ্যই এই অংশগ্রহণ আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে সাহায্য করবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটা আমার দেশের ‘ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মমেকার’দের অনুপ্রেরণা জোগাবে। অনেকের ইতিবাচক মন্তব্য পাচ্ছি, যারা মনে করেন আমাদের ছবিও কানে যেতে পারে, যেটা স্বপ্নই ছিল আমাদের জন্য। এটা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য অনেক বড় এক পাওয়া।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৭ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৭ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৮ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে