বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা: কয়েক দিন আগে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে দেখা করেছেন সংগীতসংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর অন্যতম প্রতিনিধি কুমার বিশ্বজিৎ। তাঁরা সরকারের কাছে ১৭টি দাবি নিয়ে কথা বলেছেন। দাবিগুলোর প্রয়োজনীয়তা ও বৈঠক নিয়ে কুমার বিশ্বজিতের সাক্ষাৎকার।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। উদ্দেশ্য কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: আমাদের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭টি দাবি জানিয়েছি, যেগুলো সংগীতের ক্ষেত্রে এত দিন ধরে প্রত্যাশিত ছিল। আমাদের এই চাওয়াগুলো ৫০ বছরেও পূরণ হয়নি। আমার মনে হয়, আমরা সংগঠিত হতে পারিনি বলেই কখনোই এভাবে এই প্রস্তাবগুলোও উঠে আসেনি। গীতিকবি সংঘ, সিঙ্গারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ–তিনটি সংগঠন এবার এক হয়েছি। সরকারের উচ্চমহলে আমাদের গানসংশ্লিষ্ট মানুষগুলোর দাবিগুলো তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছি।
কত দিন ধরে এই প্রস্তাবের প্ল্যানিং হয়েছে?
কুমার বিশ্বজিৎ: বছরখানেক ধরে আমরা নিজেরা অনেকবার বসেছি এই দাবির জন্য। নিজেরা পর্যালোচনা করেছি যেগুলো সংগীতের জন্য খুবই দরকার। তিন গ্রুপ বারবার পর্যালোচনা করেছি আসলে আমাদের কংক্রিট স্তম্ভ কী হতে পারে। দাবির তো শেষ নেই। কিন্তু এই ১৭টা দাবি মনে হয় হয়েছে কংক্রিট। সংগীতকে বাঁচিয়ে রাখতে এগুলো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই এই মুহূর্তে। আমাদের এই দাবিগুলো ন্যায্য দাবি।
সংগীতের সবাই কি একমত?
কুমার বিশ্বজিৎ: এখানে দ্বিমত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সবার দাবি এটা। এখানে সবার উন্নতি হবে। আমাদের সংগীতের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে এখানে। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে থাকতে পারি, তাহলে সামগ্রিকভাবে উন্নতি হবে। প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই ন্যায্যতা আছে। প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই আমাদের সম্মানের জায়গাটা আছে। এই দাবিগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক কোনো বিষয় নেই। আমরা যেভাবে অবহেলিত হচ্ছি বা যে বিষয়বস্তুগুলো আমাদের প্রাপ্য, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছি। আমাদের পাওনা নিয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করতে গিয়েছিলাম।
বৈঠকের ফলাফল কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: কিছু কিছু জিনিস প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবেই মেনে নিয়েছেন। যেমন একটা ঠিকানা। তিন গ্রুপের তিনটা অফিস। সেটা আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের নতুন বিল্ডিংয়ের ওপরই আমাদের দেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের বড় একটা প্রাপ্তি। আমাদের একটা নির্দিষ্ট ঠিকানা তো হলো। যেখানে সবাই মিলে বসতে পারি। এই ৫০ বছরে আমরা কত কিছু করেছি কিন্তু একটা ঠিকানাই গড়তে পারিনি। মন্ত্রী মহোদয় সব দাবিতেই একমত হয়েছেন। তিনিও বলেছেন যে আপনাদের অযৌক্তিক কোনো দাবি নেই। এখান থেকে পর্যায়ক্রমে এগোতে হবে আমাদের। এক বৈঠকে তো সব পাস করা সম্ভব না। তিনটা ধাপ করে দিয়েছেন, যেভাবে পূরণ হতে পারে আমাদের দাবি।
দাবিগুলো নিয়ে অল্প করে যদি কিছু বলতে বলি…
কুমার বিশ্বজিৎ: সব দাবিই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আমাদের জন্য একটা ইন্স্যুরেন্সের বিষয় আছে। আমাদের জন্য একটা অডিটরিয়মের বিষয়। বাংলাদেশে এখনো কিন্তু সেভাবে প্রফেশনাল অডিটরিয়ম নেই। আরও কিছু বিষয় আছে। যেমন আমাদের গানের লভ্যাংশগুলো। গীতিকার, সুরকারের যে প্রাপ্তিগুলো, সেগুলো নিয়ে নিচ্ছে তৃতীয় শক্তি। সেগুলো সমভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করা। আমাদের কর্মের যে প্রাপ্তি, সেগুলোই চাওয়া। সেটা সিস্টেমাইজ করে দিলে আমরা দুস্থ শব্দটা থেকে হয়তো মুক্তি পাব। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের কর্মের রেজাল্টটা যদি পাই, তাহলে সংগীতসংশ্লিষ্ট মানুষগুলো স্বনির্ভরশীল হতে পারবেন। আমাদের যেটা দেখা যায় শেষ জীবনে গিয়ে দুস্থ অবস্থা। এই অবস্থা আর থাকবে বলে আমাদের মনে হয় না। কারণ শিল্পীরা তো হিসাবি হয় না। তাদের মনটা বাউলিয়ানা হয়। তারা সৃষ্টির পেছনে নিজেদের সময়টা এত বেশি ব্যয় করে, সেখানে ভবিষ্যতের চিন্তাটা আর থাকে না। একজন শিল্পীর যে সৃষ্টি, সেটা তার একটা প্রপার্টি। সেটা যদি অন্য কেউ নিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই শেষ জীবনে গিয়ে অসহায়ত্ব কাজ করে।
প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই ন্যায্যতা আছে। প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই আমাদের সম্মানের জায়গাটা আছে। এই দাবিগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক কোনো বিষয় নেই। আমরা যেভাবে অবহেলিত হচ্ছি বা যে বিষয়বস্তুগুলো আমাদের প্রাপ্য, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছি। আমাদের পাওয়া নিয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করতে গিয়েছিলাম।
সংগীতবিমার ব্যাপারটি কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: যেকোনো একজন শিল্পীর ভবিষ্যতের জন্য। এখানে সরকারের যে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলো ইনক্লুড করলে আমাদের জন্য প্রিমিয়ামের বিষয়টা অনেকটা সহজ হবে।
‘সংগীতে জাতীয় পুরস্কার’ বিষয়টি কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে এই পুরস্কার প্রথা। আমাদের এখানে পার্টিকুলারলি নেই। আমাদের এখানে যে পদকগুলো আছে, সেখানে অবশ্যই সংগীতের স্থান আছে। কিন্তু সেই পুরস্কার এই জগৎটার জন্য যথেষ্ট নয়। যেমন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেখানে দেখা যায়, অনেক মানুষ যারা সংগীতে কাজ করছে, কিন্তু চলচ্চিত্রে না। একজন ক্ল্যাসিক্যাল সিঙ্গার, তিনি সংগীতে অনেক অবদান রেখেছেন কিন্তু দেখা গেল চলচ্চিত্রে সুযোগ পাননি, পুরস্কৃতও হননি। তাই বলে তাঁর অবদান কোনো অংশে কম নয়। শিল্পকলার ক্ষেত্রে শিল্পকলা পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয় সাহিত্যের জন্য। সংগীতসংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা একটা জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার প্রাপ্য।
প্রতিমন্ত্রী কী বললেন?
কুমার বিশ্বজিৎ: যেহেতু আমরা একুশে পদক দিচ্ছি, স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছি। সেই হিসেবে এটার আলাদা করে কী প্রয়োজন, এই প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন। সেখানে অনেক বিষয় উঠে এসেছে। যেমন আমাদের কিছু কিছু শাখা আছে সংগীতের, যেগুলোর জন্য কিছু কিছু মানুষ স্লিপ কেটে যায় কিছু নিয়মকানুনের জন্য। সে কারণেই জাতীয় পুরস্কারের একটা বিষয়। সবচেয়ে বড় কথা, সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই দাবিগুলোর প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভব করেছেন। তাঁরা বেশ আন্তরিক। আশা করি আমাদের অনেক দিনের এই চাওয়াগুলো পূরণ হবে।
এই সময়ে সংগীতের কী অবস্থা?
কুমার বিশ্বজিৎ: মানুষের ব্যাসিক জিনিসগুলোর পরে কিন্তু বিনোদনের জায়গা। বিনোদন সবকিছু ঠিক থাকলেই তো করে। সেই হিসেবে সমগ্র পৃথিবীতেই সমস্যা হচ্ছে। আমার জন্য দুঃখজনক এই অবস্থাটা বোঝানো। এই যেমন আমার গান তৈরি আছে কিন্তু প্রকাশ করছি না। ভালো লাগছে না এই অবস্থায় প্রকাশ করতে।
ঢাকা: কয়েক দিন আগে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে দেখা করেছেন সংগীতসংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর অন্যতম প্রতিনিধি কুমার বিশ্বজিৎ। তাঁরা সরকারের কাছে ১৭টি দাবি নিয়ে কথা বলেছেন। দাবিগুলোর প্রয়োজনীয়তা ও বৈঠক নিয়ে কুমার বিশ্বজিতের সাক্ষাৎকার।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। উদ্দেশ্য কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: আমাদের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭টি দাবি জানিয়েছি, যেগুলো সংগীতের ক্ষেত্রে এত দিন ধরে প্রত্যাশিত ছিল। আমাদের এই চাওয়াগুলো ৫০ বছরেও পূরণ হয়নি। আমার মনে হয়, আমরা সংগঠিত হতে পারিনি বলেই কখনোই এভাবে এই প্রস্তাবগুলোও উঠে আসেনি। গীতিকবি সংঘ, সিঙ্গারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ–তিনটি সংগঠন এবার এক হয়েছি। সরকারের উচ্চমহলে আমাদের গানসংশ্লিষ্ট মানুষগুলোর দাবিগুলো তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছি।
কত দিন ধরে এই প্রস্তাবের প্ল্যানিং হয়েছে?
কুমার বিশ্বজিৎ: বছরখানেক ধরে আমরা নিজেরা অনেকবার বসেছি এই দাবির জন্য। নিজেরা পর্যালোচনা করেছি যেগুলো সংগীতের জন্য খুবই দরকার। তিন গ্রুপ বারবার পর্যালোচনা করেছি আসলে আমাদের কংক্রিট স্তম্ভ কী হতে পারে। দাবির তো শেষ নেই। কিন্তু এই ১৭টা দাবি মনে হয় হয়েছে কংক্রিট। সংগীতকে বাঁচিয়ে রাখতে এগুলো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই এই মুহূর্তে। আমাদের এই দাবিগুলো ন্যায্য দাবি।
সংগীতের সবাই কি একমত?
কুমার বিশ্বজিৎ: এখানে দ্বিমত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সবার দাবি এটা। এখানে সবার উন্নতি হবে। আমাদের সংগীতের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে এখানে। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে থাকতে পারি, তাহলে সামগ্রিকভাবে উন্নতি হবে। প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই ন্যায্যতা আছে। প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই আমাদের সম্মানের জায়গাটা আছে। এই দাবিগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক কোনো বিষয় নেই। আমরা যেভাবে অবহেলিত হচ্ছি বা যে বিষয়বস্তুগুলো আমাদের প্রাপ্য, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছি। আমাদের পাওনা নিয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করতে গিয়েছিলাম।
বৈঠকের ফলাফল কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: কিছু কিছু জিনিস প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবেই মেনে নিয়েছেন। যেমন একটা ঠিকানা। তিন গ্রুপের তিনটা অফিস। সেটা আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের নতুন বিল্ডিংয়ের ওপরই আমাদের দেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের বড় একটা প্রাপ্তি। আমাদের একটা নির্দিষ্ট ঠিকানা তো হলো। যেখানে সবাই মিলে বসতে পারি। এই ৫০ বছরে আমরা কত কিছু করেছি কিন্তু একটা ঠিকানাই গড়তে পারিনি। মন্ত্রী মহোদয় সব দাবিতেই একমত হয়েছেন। তিনিও বলেছেন যে আপনাদের অযৌক্তিক কোনো দাবি নেই। এখান থেকে পর্যায়ক্রমে এগোতে হবে আমাদের। এক বৈঠকে তো সব পাস করা সম্ভব না। তিনটা ধাপ করে দিয়েছেন, যেভাবে পূরণ হতে পারে আমাদের দাবি।
দাবিগুলো নিয়ে অল্প করে যদি কিছু বলতে বলি…
কুমার বিশ্বজিৎ: সব দাবিই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আমাদের জন্য একটা ইন্স্যুরেন্সের বিষয় আছে। আমাদের জন্য একটা অডিটরিয়মের বিষয়। বাংলাদেশে এখনো কিন্তু সেভাবে প্রফেশনাল অডিটরিয়ম নেই। আরও কিছু বিষয় আছে। যেমন আমাদের গানের লভ্যাংশগুলো। গীতিকার, সুরকারের যে প্রাপ্তিগুলো, সেগুলো নিয়ে নিচ্ছে তৃতীয় শক্তি। সেগুলো সমভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করা। আমাদের কর্মের যে প্রাপ্তি, সেগুলোই চাওয়া। সেটা সিস্টেমাইজ করে দিলে আমরা দুস্থ শব্দটা থেকে হয়তো মুক্তি পাব। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের কর্মের রেজাল্টটা যদি পাই, তাহলে সংগীতসংশ্লিষ্ট মানুষগুলো স্বনির্ভরশীল হতে পারবেন। আমাদের যেটা দেখা যায় শেষ জীবনে গিয়ে দুস্থ অবস্থা। এই অবস্থা আর থাকবে বলে আমাদের মনে হয় না। কারণ শিল্পীরা তো হিসাবি হয় না। তাদের মনটা বাউলিয়ানা হয়। তারা সৃষ্টির পেছনে নিজেদের সময়টা এত বেশি ব্যয় করে, সেখানে ভবিষ্যতের চিন্তাটা আর থাকে না। একজন শিল্পীর যে সৃষ্টি, সেটা তার একটা প্রপার্টি। সেটা যদি অন্য কেউ নিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই শেষ জীবনে গিয়ে অসহায়ত্ব কাজ করে।
প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই ন্যায্যতা আছে। প্রতিটা চাওয়ার মধ্যেই আমাদের সম্মানের জায়গাটা আছে। এই দাবিগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক কোনো বিষয় নেই। আমরা যেভাবে অবহেলিত হচ্ছি বা যে বিষয়বস্তুগুলো আমাদের প্রাপ্য, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছি। আমাদের পাওয়া নিয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করতে গিয়েছিলাম।
সংগীতবিমার ব্যাপারটি কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: যেকোনো একজন শিল্পীর ভবিষ্যতের জন্য। এখানে সরকারের যে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলো ইনক্লুড করলে আমাদের জন্য প্রিমিয়ামের বিষয়টা অনেকটা সহজ হবে।
‘সংগীতে জাতীয় পুরস্কার’ বিষয়টি কী?
কুমার বিশ্বজিৎ: পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে এই পুরস্কার প্রথা। আমাদের এখানে পার্টিকুলারলি নেই। আমাদের এখানে যে পদকগুলো আছে, সেখানে অবশ্যই সংগীতের স্থান আছে। কিন্তু সেই পুরস্কার এই জগৎটার জন্য যথেষ্ট নয়। যেমন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেখানে দেখা যায়, অনেক মানুষ যারা সংগীতে কাজ করছে, কিন্তু চলচ্চিত্রে না। একজন ক্ল্যাসিক্যাল সিঙ্গার, তিনি সংগীতে অনেক অবদান রেখেছেন কিন্তু দেখা গেল চলচ্চিত্রে সুযোগ পাননি, পুরস্কৃতও হননি। তাই বলে তাঁর অবদান কোনো অংশে কম নয়। শিল্পকলার ক্ষেত্রে শিল্পকলা পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয় সাহিত্যের জন্য। সংগীতসংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা একটা জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার প্রাপ্য।
প্রতিমন্ত্রী কী বললেন?
কুমার বিশ্বজিৎ: যেহেতু আমরা একুশে পদক দিচ্ছি, স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছি। সেই হিসেবে এটার আলাদা করে কী প্রয়োজন, এই প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন। সেখানে অনেক বিষয় উঠে এসেছে। যেমন আমাদের কিছু কিছু শাখা আছে সংগীতের, যেগুলোর জন্য কিছু কিছু মানুষ স্লিপ কেটে যায় কিছু নিয়মকানুনের জন্য। সে কারণেই জাতীয় পুরস্কারের একটা বিষয়। সবচেয়ে বড় কথা, সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই দাবিগুলোর প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভব করেছেন। তাঁরা বেশ আন্তরিক। আশা করি আমাদের অনেক দিনের এই চাওয়াগুলো পূরণ হবে।
এই সময়ে সংগীতের কী অবস্থা?
কুমার বিশ্বজিৎ: মানুষের ব্যাসিক জিনিসগুলোর পরে কিন্তু বিনোদনের জায়গা। বিনোদন সবকিছু ঠিক থাকলেই তো করে। সেই হিসেবে সমগ্র পৃথিবীতেই সমস্যা হচ্ছে। আমার জন্য দুঃখজনক এই অবস্থাটা বোঝানো। এই যেমন আমার গান তৈরি আছে কিন্তু প্রকাশ করছি না। ভালো লাগছে না এই অবস্থায় প্রকাশ করতে।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৭ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৭ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৮ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে