Ajker Patrika

বিচিত্র /লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে কেন সাপের নামকরণ

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্রমাগত ক্ষতির বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সরাসরি কাজ করছেন ডিক্যাপ্রিও। ছবি: এএফপি
বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্রমাগত ক্ষতির বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সরাসরি কাজ করছেন ডিক্যাপ্রিও। ছবি: এএফপি

পশ্চিম হিমালয়ে নতুন আবিষ্কৃত সাপের একটি প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে। গত ২১ অক্টোবর নেচার জার্নালে চলমান একটি গবেষণা নিয়ে প্রকাশিত নিবন্ধ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

টুথি স্নেকের এ প্রজাতিটিকে অ্যাঙ্গুইকুলাস ডিক্যাপ্রিও কিংবা ডিক্যাপ্রিও হিমালয়ান স্নেক নামে ডাকা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা সাপটির ডিএনএ পরীক্ষার সময় খেয়াল করেন অন্য সাপগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন মিল থাকলেও এটি একেবারেই নতুন আবিষ্কৃত একটি প্রজাতি।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা ৪৯ বছর বয়স্ক লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে কেন কয়েক ডজন দাঁতের মালিক এই তামাটে-রঙের সাপের প্রজাতিটির নামকরণ করেছেন?

কারণ হিসেবে গবেষকেরা জানান, এই মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক একজন পরিবেশবিদও। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্রমাগত ক্ষতির বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সরাসরি জড়িত তিনি।

ডিক্যাপ্রিও’র এ সাপটির দৈর্ঘ্য কেবল ২২ ইঞ্চি, মাথা ছোট, তবে নাসারন্ধ্র বড়। আগেই বলা হয়েছে বেশ ভালো সংখ্যায় দাঁত আছে এই সাপদের। মৃদু ধূসর বলায়ের মতো রয়েছে শরীরে, যা গলা কাছে কলারের মতো মনে হয়।

সাপটিকে যখন খুঁজে পাওয়া যায় তখন এটি পর্বতের কাঁদাটে মাটিতে রোদ পোহাচ্ছিল। এটি একেবারে স্থির হয়ে ছিল। এমনকি ধরার সময়ও কামড়াবার চেষ্টা করেনি। গবেষকদের বিশ্বাস, ছয় হাজার ১০০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় টিকে থাকার ক্ষমতা আছে এই সাপেদের।

সাপ

গবেষকেরা প্রথম সাপটিকে আবিষ্কার করেন ২০২০ সালে, এখন পর্যন্ত নেপাল এবং ভারতের হিমাচল প্রদেশেই এদের পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বালক বয়সেই পরিবেশের প্রতি আগ্রহ জন্মায় ডিক্যাপ্রিওর। ২০১৬ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন পিপলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অল্প বয়সে, মানুষের কাজের ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রজাতিগুলোর কথা ভেবে আমার খুব দুঃখ হতো। এটাই আমার পরিবেশগত বিষয়ে ভালোভাবে জড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রাখে।’

‘টাইটানিকে’র কারণে আমাদের দেশের দর্শকদের কাছে বিপুল পরিচিতি পাওয়া এ তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। বিশ্বজুড়ে ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্র এবং প্রজাতিকে রক্ষায় কাজ করা ৩৫টিরও বেশি উদ্ভাবনী সংরক্ষণ প্রকল্পকে সাহায্য করে তাঁর এ প্রতিষ্ঠান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত