সাইফুল মাসুম, ঢাকা
দূষণে মৃতপ্রায় বুড়িগঙ্গায় আবার প্রাণ ফিরেছে। পানিতে বেড়েছে দ্রবীভূত অক্সিজেন, কমেছে লবণাক্ততার পরিমাণ। গবেষকেরা বলছেন, পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মানমাত্রা প্রতি লিটারে ৫ মিলিমিটার থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বুড়িগঙ্গার পানিতে অক্সিজেন আদর্শ মাত্রায় রয়েছে।
এই আদর্শ মাত্রা জলজ প্রাণীর বসবাসের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে নদীতে। তবে বুড়িগঙ্গার পানি এখনো আদর্শ মানের ওপরে ওঠেনি। তাই এর আরও উন্নতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্টামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় দেখা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় বুড়িগঙ্গার পানির মান অনেক বেড়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বুড়িগঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের গড় মান ছিল ১.৭ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার, যেখানে ২০২০ সালে সেটি ১.৮ ছিল। ২০২১ সালের আগস্টে বুড়িগঙ্গায় প্রতি লিটার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ পাওয়া গেছে পাঁচ মিলিমিটার বা পাঁচের কাছাকাছি।
যা আদর্শ পানির মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে। তবে এলাকাভেদে সামান্য তারতম্য রয়েছে।
মিশ্রিত লবণাক্ততার পরিমাণ পূর্বের তুলনায় কমেছে। পানিতে ভাসমান বিভিন্ন ধরনের বস্তুকণার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় এ বছর কমেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় পানির রং অনেকটা ভালো হয়েছে।
ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পানির উন্নতি খুবই স্পষ্ট। এর কারণ লকডাউনের কারণে মানুষের চলাচল সীমিত হয়েছে। লঞ্চ চলাচল কমেছে। শিল্পকারাখানা সীমিত পরিসর বা বন্ধ রয়েছে। মানুষ সৃষ্ট দূষণ কিছুটা কমেছে। জুন জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নদীর পানি ভালো থাকে। শুষ্ক মৌসুমে পানির চেহারা কুচকুচে কালো হয়ে যায়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘নদীর স্বাস্থ্য সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভালো থাকে। তবে শীতের সময়ে বুড়িগঙ্গায় কোনো দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে না। এতে কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না। এই দূষণের জন্য ৬০ ভাগ দায়ী কলকারখানা, ৩০ ভাগ দায়ী সিটি করপোরেশন ওয়াসাসহ সরকারি সংস্থাগুলো। আর ১০ শতাংশ দূষণ হয় গৃহস্থালি বর্জ্যে।’
সরকারি বিধিনিষেধ ও ভরা বর্ষায় নদীর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে না জানিয়ে নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এবার করোনার কারণে কারখানাসহ অনেক কিছুই বন্ধ। এমন বিশেষ সময়ে বুড়িগঙ্গার পানির প্রকৃত ফলাফল পাওয়া যাবে না। বর্ষার সময় মান অনেক ভালো থাকে। এটাকে বলি ওয়াশ লোড। প্রচুর বৃষ্টি হলে নদীতে ওয়াশ লোড অনেক বেশি থাকে। এই সময় প্রত্যেক নদীতে ৮০ শতাংশ পানি বৃদ্ধি পায়। কোনো কোনো নদীতে ২৫০/৩০০ শতাংশ পানি বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াশ লোডের কারণে নদীর সব ধরনের দূষণ ধুয়ে সাগরে নিয়ে যায়।’
বুড়িগঙ্গার শুধুমাত্র কেরানীগঞ্জ অংশে পাঁচ হাজারেরও বেশি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। রয়েছে শতাধিক ওয়াশিং কারখানা।
ওয়াশিং মালিক সমিতির দেওয়া তথ্য বলছে, প্রতিদিন ২৪ থেকে ৩০ লাখ লিটার বর্জ্য পানি সরাসরি অপরিশোধিত অবস্থায় গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গায়। পাশেই শ্যামপুর শিল্প এলাকার শতাধিক প্রিন্টিং অ্যান্ড নিট-ডায়িং কারখানা থেকে প্রতিদিন বের হয় ৩০ হাজার ঘনমিটারেরও বেশি অপরিশোধিত তরল বর্জ্য, যা সরাসরি মিশছে নদীটিতে।
দূষণে মৃতপ্রায় বুড়িগঙ্গায় আবার প্রাণ ফিরেছে। পানিতে বেড়েছে দ্রবীভূত অক্সিজেন, কমেছে লবণাক্ততার পরিমাণ। গবেষকেরা বলছেন, পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মানমাত্রা প্রতি লিটারে ৫ মিলিমিটার থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বুড়িগঙ্গার পানিতে অক্সিজেন আদর্শ মাত্রায় রয়েছে।
এই আদর্শ মাত্রা জলজ প্রাণীর বসবাসের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে নদীতে। তবে বুড়িগঙ্গার পানি এখনো আদর্শ মানের ওপরে ওঠেনি। তাই এর আরও উন্নতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্টামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় দেখা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় বুড়িগঙ্গার পানির মান অনেক বেড়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বুড়িগঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের গড় মান ছিল ১.৭ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার, যেখানে ২০২০ সালে সেটি ১.৮ ছিল। ২০২১ সালের আগস্টে বুড়িগঙ্গায় প্রতি লিটার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ পাওয়া গেছে পাঁচ মিলিমিটার বা পাঁচের কাছাকাছি।
যা আদর্শ পানির মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে। তবে এলাকাভেদে সামান্য তারতম্য রয়েছে।
মিশ্রিত লবণাক্ততার পরিমাণ পূর্বের তুলনায় কমেছে। পানিতে ভাসমান বিভিন্ন ধরনের বস্তুকণার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় এ বছর কমেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় পানির রং অনেকটা ভালো হয়েছে।
ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পানির উন্নতি খুবই স্পষ্ট। এর কারণ লকডাউনের কারণে মানুষের চলাচল সীমিত হয়েছে। লঞ্চ চলাচল কমেছে। শিল্পকারাখানা সীমিত পরিসর বা বন্ধ রয়েছে। মানুষ সৃষ্ট দূষণ কিছুটা কমেছে। জুন জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নদীর পানি ভালো থাকে। শুষ্ক মৌসুমে পানির চেহারা কুচকুচে কালো হয়ে যায়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘নদীর স্বাস্থ্য সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভালো থাকে। তবে শীতের সময়ে বুড়িগঙ্গায় কোনো দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে না। এতে কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না। এই দূষণের জন্য ৬০ ভাগ দায়ী কলকারখানা, ৩০ ভাগ দায়ী সিটি করপোরেশন ওয়াসাসহ সরকারি সংস্থাগুলো। আর ১০ শতাংশ দূষণ হয় গৃহস্থালি বর্জ্যে।’
সরকারি বিধিনিষেধ ও ভরা বর্ষায় নদীর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে না জানিয়ে নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এবার করোনার কারণে কারখানাসহ অনেক কিছুই বন্ধ। এমন বিশেষ সময়ে বুড়িগঙ্গার পানির প্রকৃত ফলাফল পাওয়া যাবে না। বর্ষার সময় মান অনেক ভালো থাকে। এটাকে বলি ওয়াশ লোড। প্রচুর বৃষ্টি হলে নদীতে ওয়াশ লোড অনেক বেশি থাকে। এই সময় প্রত্যেক নদীতে ৮০ শতাংশ পানি বৃদ্ধি পায়। কোনো কোনো নদীতে ২৫০/৩০০ শতাংশ পানি বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াশ লোডের কারণে নদীর সব ধরনের দূষণ ধুয়ে সাগরে নিয়ে যায়।’
বুড়িগঙ্গার শুধুমাত্র কেরানীগঞ্জ অংশে পাঁচ হাজারেরও বেশি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। রয়েছে শতাধিক ওয়াশিং কারখানা।
ওয়াশিং মালিক সমিতির দেওয়া তথ্য বলছে, প্রতিদিন ২৪ থেকে ৩০ লাখ লিটার বর্জ্য পানি সরাসরি অপরিশোধিত অবস্থায় গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গায়। পাশেই শ্যামপুর শিল্প এলাকার শতাধিক প্রিন্টিং অ্যান্ড নিট-ডায়িং কারখানা থেকে প্রতিদিন বের হয় ৩০ হাজার ঘনমিটারেরও বেশি অপরিশোধিত তরল বর্জ্য, যা সরাসরি মিশছে নদীটিতে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১৩ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
২১ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১ দিন আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
২ দিন আগে