সৌগত বসু, ঢাকা
রাজধানীর বাতাসের মান কয়েক দিন ধরে নিচের দিকে নামছে। কোনোভাবেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভৌগোলিক কারণে প্রতিবছর শীতকালে ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ বাড়ে। এবার শীত শেষে রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে প্রায় দিনই রেকর্ড করছে। দূষণের মাত্রা এত বেশি যে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার দূষণের সবচেয়ে বড় দায় সরকারের বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় না থাকা। আইন ভেঙে অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে দূষণের পেছনে যত কারণ আছে, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা অপ্রতুল।
পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, সমন্বয় না থাকায় তারাও নিরুপায়। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বেশির ভাগ দিনই ঢাকার বায়ু দূষিত ছিল, যাকে ‘সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) মতে, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং নির্মাণকাজ থেকে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়, যা মোট দূষণের ৩০ শতাংশ।
ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে ইটভাটা বায়ুদূষণের বড় কারণ ছিল। এখন যে নেই, তা বলা যাবে না। তবে বর্তমানে শহরের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বেশি দূষণ হচ্ছে। কেউ কোনো নিয়ম মানছে না। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে কয়েক শ রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি অবস্থায় আছে। সেখান থেকে গাড়ির চাকার মাধ্যমে ধুলোবালি সব জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি বেড়েছে। এর জন্য কাউকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের পর্যবেক্ষণ মতে, গতকাল বুধবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়। বাতাসের মানসূচকে সকাল ১০টার দিকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৭। এ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ গণ্য করা হয়।
আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। গতকাল ঢাকার বাতাসে এই বস্তুকণা যে পরিমাণে ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা শিশু ও বয়স্ক লোকজনের জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে গত মঙ্গলবার সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান বায়ুমান সূচক ৩০০-এর বেশি। অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও বয়স্কদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সেবা সংস্থাগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় নেই। বায়ুদূষণের প্রধান কারণ নির্মাণকাজ (সরকারি ও ব্যক্তিগত), অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং যানজট। এক কর্মকর্তা বলেন, সকালে একসঙ্গে গাড়ি চলাচল শুরু হওয়া ছাড়াও প্রায় সব প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে সকালে ঝাড়ু দেওয়া হয়। এরপর সেসব ময়লা একত্র করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে দূষণের মাত্রা বাড়ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, দূষণ বাড়ার কারণ নির্দিষ্ট করে বলার মতো তথ্য এখনো নেই। আরও গবেষণা চলছে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে বর্জ্য পোড়াতে মানা করা হয়েছে। এটি এখন সিটি করপোরেশন এলাকায় পালন করলে আরও ভালো হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে সরকারের বড় কোনো উদ্যোগ নেই। এত অপরিকল্পিত নগরায়ণ হচ্ছে যে সেগুলোর একটা বড় প্রভাব পড়ছে দূষণে। ঢাকার চারপাশে বালু ভরাট করে উন্নয়ন চলছে। অবকাঠামো নির্মাণে আইন মানা হচ্ছে না। তিনি বলেন, শহরের ৪০ শতাংশ জায়গা সবুজ থাকতে হয়। ঢাকায় একটু ফাঁকা জায়গা পেলেই সেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যেসব মন্ত্রণালয় প্রতিকার করবে, তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।
রাজধানীর বাতাসের মান কয়েক দিন ধরে নিচের দিকে নামছে। কোনোভাবেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভৌগোলিক কারণে প্রতিবছর শীতকালে ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ বাড়ে। এবার শীত শেষে রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে প্রায় দিনই রেকর্ড করছে। দূষণের মাত্রা এত বেশি যে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার দূষণের সবচেয়ে বড় দায় সরকারের বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় না থাকা। আইন ভেঙে অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে দূষণের পেছনে যত কারণ আছে, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা অপ্রতুল।
পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, সমন্বয় না থাকায় তারাও নিরুপায়। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বেশির ভাগ দিনই ঢাকার বায়ু দূষিত ছিল, যাকে ‘সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) মতে, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং নির্মাণকাজ থেকে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়, যা মোট দূষণের ৩০ শতাংশ।
ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে ইটভাটা বায়ুদূষণের বড় কারণ ছিল। এখন যে নেই, তা বলা যাবে না। তবে বর্তমানে শহরের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বেশি দূষণ হচ্ছে। কেউ কোনো নিয়ম মানছে না। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে কয়েক শ রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি অবস্থায় আছে। সেখান থেকে গাড়ির চাকার মাধ্যমে ধুলোবালি সব জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি বেড়েছে। এর জন্য কাউকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের পর্যবেক্ষণ মতে, গতকাল বুধবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়। বাতাসের মানসূচকে সকাল ১০টার দিকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৭। এ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ গণ্য করা হয়।
আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। গতকাল ঢাকার বাতাসে এই বস্তুকণা যে পরিমাণে ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা শিশু ও বয়স্ক লোকজনের জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে গত মঙ্গলবার সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান বায়ুমান সূচক ৩০০-এর বেশি। অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও বয়স্কদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সেবা সংস্থাগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় নেই। বায়ুদূষণের প্রধান কারণ নির্মাণকাজ (সরকারি ও ব্যক্তিগত), অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং যানজট। এক কর্মকর্তা বলেন, সকালে একসঙ্গে গাড়ি চলাচল শুরু হওয়া ছাড়াও প্রায় সব প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে সকালে ঝাড়ু দেওয়া হয়। এরপর সেসব ময়লা একত্র করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে দূষণের মাত্রা বাড়ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, দূষণ বাড়ার কারণ নির্দিষ্ট করে বলার মতো তথ্য এখনো নেই। আরও গবেষণা চলছে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে বর্জ্য পোড়াতে মানা করা হয়েছে। এটি এখন সিটি করপোরেশন এলাকায় পালন করলে আরও ভালো হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে সরকারের বড় কোনো উদ্যোগ নেই। এত অপরিকল্পিত নগরায়ণ হচ্ছে যে সেগুলোর একটা বড় প্রভাব পড়ছে দূষণে। ঢাকার চারপাশে বালু ভরাট করে উন্নয়ন চলছে। অবকাঠামো নির্মাণে আইন মানা হচ্ছে না। তিনি বলেন, শহরের ৪০ শতাংশ জায়গা সবুজ থাকতে হয়। ঢাকায় একটু ফাঁকা জায়গা পেলেই সেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যেসব মন্ত্রণালয় প্রতিকার করবে, তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৪ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১২ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৩ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে