ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দেশে বিপুলসংখ্যক অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত কোনো গার্ড না থাকা বা গার্ডের অবহেলার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রচার করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, ট্রেন লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি চলে এলে লাইন ও চাকার ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে পুরো লাইন আবিষ্ট হয়ে যায়। এতে লাইনের ওপর উঠে পড়া যানবাহনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে দূরে থাকলে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় কোনো সমস্যা হয় না।
আরও দাবি করা হচ্ছে, ট্রেন কাছাকাছি চলে এলে এই তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়ার কারণে রেললাইনে উঠে পড়া মানুষের শরীর অধিক ভারী হয়ে যায়। লাফানোর শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে ওই সময় লাইন পার হতে পারে না।
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, পদার্থবিদ্যার জনৈক অধ্যাপক বলরাম ভৌমিক এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পোস্টগুলোতে উল্লেখ নেই।
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে রেললাইনে ট্রেনের চাকার ঘর্ষণের ফলে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে ইন্দোনেশিয়ার টায়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইপি টায়ারসের ওয়েবসাইটে লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার দাবিটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকে দাবি করে থাকেন, লেভেল ক্রসিংয়ে রেললাইনে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টির কারণে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। দাবিটি সত্য নয়।
প্রতিবেদনটি বলছে, লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ আতঙ্ক। এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ম্যানুয়াল গিয়ারে চলা যানবাহনের ক্ষেত্রে। লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় গাড়ির চালকেরা কখনো কখনো গিয়ার ব্যবহারে দ্বিধায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেন কাছাকাছি চলে এলে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং গাড়ির গিয়ার ও এক্সিলারেটর ব্যবহারে ভুল করেন। ফলে গাড়ি আটকে যায়। ত্রুটিপূর্ণ লেভেল ক্রসিং ব্যবস্থাও রেললাইনের ওপর গাড়ি আটকে যাওয়ার আরেকটি কারণ।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বিভিন্ন দেশের লেভেল ক্রসিং-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোও যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, কানাডার সেফটি কাউন্সিলের লেভেল ক্রসিংয়ের নিরাপত্তাসংক্রান্ত নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন নির্দেশনা পাওয়া যায়। তবে এসব নির্দেশনায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন চলার সময় তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়া এবং এ থেকে সতর্ক থাকাসংক্রান্ত কোনো বিষয় উল্লেখ নেই।
লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার একাধিক ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ও লেভেল ক্রসিংয়ে থাকা যানবাহনগুলো গতিশীলই ছিল। অর্থাৎ ইঞ্জিন চালু ছিল। যেমন ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রেন-প্রাইভেট কার সংঘর্ষের ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, পোল্যান্ডে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় প্রাইভেট কারটিকে দ্রুতগতির ট্রেন ধাক্কা দেয়।
বার্তা সংস্থা এপির ইউটিউব চ্যানেলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রাইভেট কার-ট্রেন সংঘর্ষের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা যায়, ট্রেন লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার রেললাইনে উঠে যায়। এনসিডিওটি কমিউনিকেশনস নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ৩১ মে ট্রেন-প্রাইভেট কার সংঘর্ষের পরীক্ষামূলক একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেন লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি আসার পরেও কার চলমান এবং লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় সংঘর্ষের মুখে পড়ে।
এসব ভিডিও থেকে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি লাইনের সঙ্গে চাকার ঘর্ষণের ফলে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়ায় যানবাহনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার দাবিটির বিপরীত তথ্য পাওয়া যায়।
সুতরাং পদার্থবিদ্যার জনৈক অধ্যাপকের নামে লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার যে কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই।
দেশে বিপুলসংখ্যক অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত কোনো গার্ড না থাকা বা গার্ডের অবহেলার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রচার করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, ট্রেন লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি চলে এলে লাইন ও চাকার ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে পুরো লাইন আবিষ্ট হয়ে যায়। এতে লাইনের ওপর উঠে পড়া যানবাহনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে দূরে থাকলে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় কোনো সমস্যা হয় না।
আরও দাবি করা হচ্ছে, ট্রেন কাছাকাছি চলে এলে এই তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়ার কারণে রেললাইনে উঠে পড়া মানুষের শরীর অধিক ভারী হয়ে যায়। লাফানোর শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে ওই সময় লাইন পার হতে পারে না।
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, পদার্থবিদ্যার জনৈক অধ্যাপক বলরাম ভৌমিক এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পোস্টগুলোতে উল্লেখ নেই।
দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে রেললাইনে ট্রেনের চাকার ঘর্ষণের ফলে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে ইন্দোনেশিয়ার টায়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইপি টায়ারসের ওয়েবসাইটে লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার দাবিটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকে দাবি করে থাকেন, লেভেল ক্রসিংয়ে রেললাইনে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টির কারণে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। দাবিটি সত্য নয়।
প্রতিবেদনটি বলছে, লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ আতঙ্ক। এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ম্যানুয়াল গিয়ারে চলা যানবাহনের ক্ষেত্রে। লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় গাড়ির চালকেরা কখনো কখনো গিয়ার ব্যবহারে দ্বিধায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেন কাছাকাছি চলে এলে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং গাড়ির গিয়ার ও এক্সিলারেটর ব্যবহারে ভুল করেন। ফলে গাড়ি আটকে যায়। ত্রুটিপূর্ণ লেভেল ক্রসিং ব্যবস্থাও রেললাইনের ওপর গাড়ি আটকে যাওয়ার আরেকটি কারণ।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বিভিন্ন দেশের লেভেল ক্রসিং-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোও যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, কানাডার সেফটি কাউন্সিলের লেভেল ক্রসিংয়ের নিরাপত্তাসংক্রান্ত নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন নির্দেশনা পাওয়া যায়। তবে এসব নির্দেশনায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন চলার সময় তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়া এবং এ থেকে সতর্ক থাকাসংক্রান্ত কোনো বিষয় উল্লেখ নেই।
লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার একাধিক ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ও লেভেল ক্রসিংয়ে থাকা যানবাহনগুলো গতিশীলই ছিল। অর্থাৎ ইঞ্জিন চালু ছিল। যেমন ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রেন-প্রাইভেট কার সংঘর্ষের ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, পোল্যান্ডে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় প্রাইভেট কারটিকে দ্রুতগতির ট্রেন ধাক্কা দেয়।
বার্তা সংস্থা এপির ইউটিউব চ্যানেলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রাইভেট কার-ট্রেন সংঘর্ষের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা যায়, ট্রেন লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার রেললাইনে উঠে যায়। এনসিডিওটি কমিউনিকেশনস নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ৩১ মে ট্রেন-প্রাইভেট কার সংঘর্ষের পরীক্ষামূলক একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেন লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি আসার পরেও কার চলমান এবং লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় সংঘর্ষের মুখে পড়ে।
এসব ভিডিও থেকে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি লাইনের সঙ্গে চাকার ঘর্ষণের ফলে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি তৈরি হওয়ায় যানবাহনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার দাবিটির বিপরীত তথ্য পাওয়া যায়।
সুতরাং পদার্থবিদ্যার জনৈক অধ্যাপকের নামে লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার যে কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
১ দিন আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
১ দিন আগে