বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।
দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে