বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিকের (ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী) ব্যবহার। গত তিন বছরে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অ্যান্টিবায়োটিকের অযৌক্তিক ও অপব্যবহারে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু। বিশ্বে প্রতিবছর ২২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর কারণে মারা যায়। ২০১৯ সালে বিশ্বে এ কারণে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ১২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের একমাত্র কারণ ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু। এভাবে চলতে থাকলে মানবজাতি বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘পাঠ্যপুস্তকে অ্যান্টিবায়োটিক রেমিট্যান্স প্রসঙ্গ অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তার এসব কথা বলেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে ২০১৪ সালে প্রতি ১ হাজার জনে দৈনিক অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ছিল ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ; ২০১৬ সালে ব্যবহারের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ১১ শতাংশে। তবে ২০১৭ সালে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার কিছুটা কমে ২১ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালে এটি আরও কমে ২০ দশমিক ৭ শতাংশ নামলেও ২০১৯ সালে এটি ২৪ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ২০২০ সালে বেড়ে ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে পৌঁছায়। ২০২১ সালে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার অস্বাভাবিক বেড়ে ৫২ শতাংশে পৌঁছে।’
অধ্যাপক সায়েদুর আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে শিক্ষার্থীদের জানানো বেশি কার্যকর। ক্ষুদ্র পরিসরের একটি প্রশিক্ষণে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সফলতা এসেছে ৩৫ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা দানকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সফলতা পাওয়া গেছে মাত্র ৬ শতাংশ এবং সাধারণ মানুষদের প্রশিক্ষণের কার্যকর ছিল ১২ শতাংশ।’
ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতে পারে সে জন্য ওষুধের পাতায় লাল রং ব্যবহারের নিয়ম করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পাতায়ই লাল রং ব্যবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আইন করা হয়েছে। শিক্ষা ক্রমে অ্যান্টিবায়োটিক রেমিট্যান্স বিষয়ে পাঠ যুক্ত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠাব। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, হাইজিন ইত্যাদি মাতো ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেক সংক্রামক-অসংক্রামক রোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি। এখন অ্যান্টিবায়োটিক রেমিট্যান্স ভাবাচ্ছে। এ নিয়ে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্যপুস্তকে এর অন্তর্ভুক্তি এখন সময়ের দাবি।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম, অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা, আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন, আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. জাকির হাসান হাবিব।
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিকের (ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী) ব্যবহার। গত তিন বছরে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অ্যান্টিবায়োটিকের অযৌক্তিক ও অপব্যবহারে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু। বিশ্বে প্রতিবছর ২২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর কারণে মারা যায়। ২০১৯ সালে বিশ্বে এ কারণে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ১২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের একমাত্র কারণ ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু। এভাবে চলতে থাকলে মানবজাতি বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘পাঠ্যপুস্তকে অ্যান্টিবায়োটিক রেমিট্যান্স প্রসঙ্গ অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তার এসব কথা বলেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে ২০১৪ সালে প্রতি ১ হাজার জনে দৈনিক অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ছিল ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ; ২০১৬ সালে ব্যবহারের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ১১ শতাংশে। তবে ২০১৭ সালে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার কিছুটা কমে ২১ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালে এটি আরও কমে ২০ দশমিক ৭ শতাংশ নামলেও ২০১৯ সালে এটি ২৪ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ২০২০ সালে বেড়ে ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে পৌঁছায়। ২০২১ সালে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার অস্বাভাবিক বেড়ে ৫২ শতাংশে পৌঁছে।’
অধ্যাপক সায়েদুর আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে শিক্ষার্থীদের জানানো বেশি কার্যকর। ক্ষুদ্র পরিসরের একটি প্রশিক্ষণে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সফলতা এসেছে ৩৫ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা দানকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সফলতা পাওয়া গেছে মাত্র ৬ শতাংশ এবং সাধারণ মানুষদের প্রশিক্ষণের কার্যকর ছিল ১২ শতাংশ।’
ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতে পারে সে জন্য ওষুধের পাতায় লাল রং ব্যবহারের নিয়ম করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পাতায়ই লাল রং ব্যবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আইন করা হয়েছে। শিক্ষা ক্রমে অ্যান্টিবায়োটিক রেমিট্যান্স বিষয়ে পাঠ যুক্ত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠাব। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, হাইজিন ইত্যাদি মাতো ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেক সংক্রামক-অসংক্রামক রোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি। এখন অ্যান্টিবায়োটিক রেমিট্যান্স ভাবাচ্ছে। এ নিয়ে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্যপুস্তকে এর অন্তর্ভুক্তি এখন সময়ের দাবি।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম, অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা, আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন, আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. জাকির হাসান হাবিব।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে