Ajker Patrika

ডেসমন্ড টুটুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ৩৭
ডেসমন্ড টুটুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী প্রচারক ও আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কেপটাউনের অ্যাংলিকান ক্যাথেড্রালে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শনিবার। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী টুটু গত রোববার ৯০ বছর বয়সে মারা যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসানে তাঁর অবদান কিংবদন্তিতুল্য।   

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে সেইন্ট জর্জ ক্যাথেড্রালে অনুষ্ঠিত টুটুর শেষকৃত্যে পরিবার-পরিজন, বন্ধু ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি সীমিত রাখা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেসমন্ড টুটুর স্ত্রী। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা অনুষ্ঠানে টুটুকে ‘নতুন জাতির আধ্যাত্মিক পিতা’ হিসেবে অভিহিত করেন। 

১৯৪৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠদের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু সরকারের জাতিগত বিচ্ছিন্নতা ও বৈষম্যের নীতির অবসান ঘটানোর আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ডেসমন্ড টুটু। শনিবার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আয়োজিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অনুষ্ঠানে প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন প্রেসিডেন্ট রামাফোসা। তাঁর কথায়, আর্চবিশপ টুটু স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একজন ‘ক্রুসেডার’ ছিলেন। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্য তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। 

রামাফোসা আরও বলেন, ‘তিনি আমাদের বিশ্বব্যাপী নৈতিক মর্যাদার প্রতীক। তাঁর ব্যতিক্রমী গুণাবলির জন্য তিনি সবার কাছে পরিচিত। এই মানুষটি আজ আমাদের সামনে শুয়ে আছেন।’ 

১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এরপর বর্ণবাদের যুগে শ্বেতাঙ্গ–কৃষ্ণাঙ্গ উভয়ের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের তদন্তের জন্য গঠিত একটি কমিশনে টুটুকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি বর্ণবৈষম্য প্রথা বিলোপের সংগ্রামে ভূমিকা পালন করে ১৯৮৪ সালে নোবেল পুরস্কার পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত