অনলাইন ডেস্ক
কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার।
কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, ফাইজারের ক্যাপসুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও করোনায় মৃত্যু ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজারের নতুন এই ক্যাপসুলের নাম প্যাক্সলোভিড। ফাইজারের দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুল মোলনুপিরাভি যেখানে ৫০ ভাগ কার্যকর সেখানে ফাইজারের ক্যাপসুলের কার্যকারিতা ৮৯ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কের ক্যাপসুল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
তবে রয়টার্স বলছে, মার্ক এবং ফাইজার দুটি কোম্পানির কোনোটিরই পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এরই মধ্যে ফাইজারের শেয়ার ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪৯ দশমিক ৪৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৬৯ ডলারে।
ফাইজার বলছে, প্যাক্সলোভিড ক্যাপসুল দিয়ে ২৮ দিন পর্যন্ত এ চিকিৎসা চালানো হয়। উচ্চ ঝুঁকির ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁদের এই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। দেখা গেছে, যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিলেন এবং এই চিকিৎসা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
আর যাদের প্লাসিবো (ফেক ক্যাপসুল) দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্লাসিবো গ্রুপে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপসর্গ দেখার দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রেও হার একই ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ১ শতাংশ রোগীকে। আর প্লাসিবো নেওয়া রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশকে। প্লাসিবো গ্রুপে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ফাইজার বলছে, প্রাথমিক ফলাফল এতো ভালো ছিল যে ট্রায়াল শেষই করা হয়নি।
তবে এমন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফাইজার। যদিও ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁরা অনুভব করেছেন।
ফাইজার প্রোগ্রামের প্রধান অ্যানালিসা অ্যান্ডারসন রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের উচ্চ কার্যকারিতা রয়েছে। এমনকি যদি উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ার পাঁচ দিন পরও চিকিৎসা শুরু হয় তারপরও এটি কার্যকর। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই এটি বেশ সুবিধাজনক।
এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলা বলেছেন, এটি রোগীদের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই কার্যকরী হবে। এটি করোনার সংক্রমণ কমাবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
চলতি বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার কোর্স ওষুধ উৎপাদন করার আশা করছে ফাইজার। ২০২২ সালের শেষদিকে কমপক্ষে পাঁচ কোটি কোর্স ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দুই কোটির বেশি কোর্স ওষুধ উৎপাদন হবে ২০২২ সালের শুরুর দিকেই।
ঝুঁকি ছাড়াই কীভাবে গুরুতর কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে ফাইজারের ক্যাপসুল কার্যকরী করা যায় এবং কীভাবে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধ করা যায় এ বিষয়ে গবেষণা এখনো চলমান বলে জানিয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুলের অনুমোদন দেয়। তবে কবে থেকে এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলেনি ব্রিটেন সরকার। শুধু ১৮ বা এর বেশি বয়সীদের জন্য কোভিড চিকিৎসায় এই বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মোলনুপিরাভির নামে এই ওষুধ সেবনে স্থূলতা বা হৃদ্রোগের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। কোভিডের সামান্য উপসর্গ যুক্ত রোগীর জন্য চারটি বড়িই যথেষ্ট। তবে গুরুতর হলে দিনে দুটি করে পাঁচ দিন সেবন করতে হবে।
কোভিড চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত মুখে খাওয়ার (অ্যান্টি-ভাইরাল) ক্যাপসুলকে ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার।
কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, ফাইজারের ক্যাপসুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও করোনায় মৃত্যু ৮৯ শতাংশ কমাতে সক্ষম। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজারের নতুন এই ক্যাপসুলের নাম প্যাক্সলোভিড। ফাইজারের দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুল মোলনুপিরাভি যেখানে ৫০ ভাগ কার্যকর সেখানে ফাইজারের ক্যাপসুলের কার্যকারিতা ৮৯ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কের ক্যাপসুল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
তবে রয়টার্স বলছে, মার্ক এবং ফাইজার দুটি কোম্পানির কোনোটিরই পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এরই মধ্যে ফাইজারের শেয়ার ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪৯ দশমিক ৪৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৬৯ ডলারে।
ফাইজার বলছে, প্যাক্সলোভিড ক্যাপসুল দিয়ে ২৮ দিন পর্যন্ত এ চিকিৎসা চালানো হয়। উচ্চ ঝুঁকির ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁদের এই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। দেখা গেছে, যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিলেন এবং এই চিকিৎসা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
আর যাদের প্লাসিবো (ফেক ক্যাপসুল) দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্লাসিবো গ্রুপে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপসর্গ দেখার দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে যাদের ফাইজারের ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রেও হার একই ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ১ শতাংশ রোগীকে। আর প্লাসিবো নেওয়া রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশকে। প্লাসিবো গ্রুপে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ফাইজার বলছে, প্রাথমিক ফলাফল এতো ভালো ছিল যে ট্রায়াল শেষই করা হয়নি।
তবে এমন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফাইজার। যদিও ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, কিছু শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁরা অনুভব করেছেন।
ফাইজার প্রোগ্রামের প্রধান অ্যানালিসা অ্যান্ডারসন রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের উচ্চ কার্যকারিতা রয়েছে। এমনকি যদি উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ার পাঁচ দিন পরও চিকিৎসা শুরু হয় তারপরও এটি কার্যকর। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই এটি বেশ সুবিধাজনক।
এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলা বলেছেন, এটি রোগীদের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই কার্যকরী হবে। এটি করোনার সংক্রমণ কমাবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
চলতি বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার কোর্স ওষুধ উৎপাদন করার আশা করছে ফাইজার। ২০২২ সালের শেষদিকে কমপক্ষে পাঁচ কোটি কোর্স ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। দুই কোটির বেশি কোর্স ওষুধ উৎপাদন হবে ২০২২ সালের শুরুর দিকেই।
ঝুঁকি ছাড়াই কীভাবে গুরুতর কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে ফাইজারের ক্যাপসুল কার্যকরী করা যায় এবং কীভাবে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধ করা যায় এ বিষয়ে গবেষণা এখনো চলমান বলে জানিয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক (Merck)-এর তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ক্যাপসুলের অনুমোদন দেয়। তবে কবে থেকে এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলেনি ব্রিটেন সরকার। শুধু ১৮ বা এর বেশি বয়সীদের জন্য কোভিড চিকিৎসায় এই বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মোলনুপিরাভির নামে এই ওষুধ সেবনে স্থূলতা বা হৃদ্রোগের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। কোভিডের সামান্য উপসর্গ যুক্ত রোগীর জন্য চারটি বড়িই যথেষ্ট। তবে গুরুতর হলে দিনে দুটি করে পাঁচ দিন সেবন করতে হবে।
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৬ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৮ ঘণ্টা আগে