অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার শপথ নেওয়ার পরপরই এক নির্বাহী আদেশে ফেডারেল (কেন্দ্রীয় সরকারের) কর্মীদের অফিসে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি চাকরিজীবীদের ‘চাকরি সুরক্ষা বিধান’ দুর্বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ফেডারেল আমলাতন্ত্রকে দুর্বল করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে কোভিড–১৯ মহামারির সময় থেকে চালু হওয়া রিমোট ওয়ার্কের (ঘরে বসে কাজ) সুযোগ হারাতে পারেন বহু সরকারি কর্মকর্তা। পাশাপাশি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আদালত বহাল রাখলে মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারা চাকরির আইনি সুরক্ষা হারাবেন। এই বিধান এতদিন তাঁদের ‘মতাদর্শগত শুদ্ধি অভিযান’ থেকে সুরক্ষা দিয়েছে।
সোমবারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারীকে ‘রাজনৈতিক নিয়োগ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এর ফলে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর পদক্ষেপগুলোর প্রতি যথেষ্ট আনুগত্য দেখানোর প্রমাণ না পেলে সেসব কর্মচারীকে সহজে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, ‘বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার প্রধানেরা রিমোট ওয়ার্ক বাতিল করবেন এবং কর্মীদের অফিসে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যেতে পারে।’
অন্য এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সব ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের দ্বারা প্রদত্ত এবং তাঁরা প্রেসিডেন্টের প্রতি দায়বদ্ধ।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষদিকে দেওয়া এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি জারি করা হয়েছিল। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা বাতিল করেন।
নতুন আদেশে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) নামে একটি উপদেষ্টা প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেল ফেডারেল সরকারে বড় আকারের পরিবর্তন আনতে কাজ করবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের সুরক্ষা বিধান শিথিল সংক্রান্ত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে বলা হচ্ছে ‘শিডিউল এফ’। জাতীয় ট্রেজারি কর্মী ইউনিয়ন (এনটিইইউ) ট্রাম্পের ‘শিডিউল এফ’ আদেশের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ওয়াশিংটনের একটি আদালতে মামলা করেছে। সংগঠনটি বলছে, এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মীদের দক্ষতা ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানবে।
অন্যদিকে, মার্কিন ফেডারেল কর্মীদের ইউনিয়নগুলো রিমোট বা হাইব্রিড কাজের ব্যবস্থাকে সরকারি চাকরিতে দক্ষ নাগরিকদের আকর্ষণের একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘রিমোট বা হাইব্রিড কাজের ব্যবস্থা সীমিত করলে, মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে আসার আগ্রহ হারাবেন।’
এদিকে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মচারীদের ‘আমলাতান্ত্রিক এবং অলস’ আখ্যা দিয়ে আসছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে ফেরার আদেশের ফলে অনেক কর্মচারী পদত্যাগ করতে পারেন এবং এতে সরকারি সেবার মান কমে যেতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নিকোলাস ব্লুম বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সরকারি সেবার মান খারাপ করতে পারে। যা সাধারণ জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবা পেতে সমস্যায় ফেলবে।’
সরকারি ডেটা অনুযায়ী, মোট ৪৬ শতাংশ ফেডারেল কর্মী রিমোট ওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত এবং এর মধ্যে মাত্র ২ লাখ ২৮ হাজার কর্মী রিমোট ওয়ার্ক (ঘরে বসে) করেন। কিন্তু নতুন আদেশে এই সুযোগ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার শপথ নেওয়ার পরপরই এক নির্বাহী আদেশে ফেডারেল (কেন্দ্রীয় সরকারের) কর্মীদের অফিসে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি চাকরিজীবীদের ‘চাকরি সুরক্ষা বিধান’ দুর্বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ফেডারেল আমলাতন্ত্রকে দুর্বল করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে কোভিড–১৯ মহামারির সময় থেকে চালু হওয়া রিমোট ওয়ার্কের (ঘরে বসে কাজ) সুযোগ হারাতে পারেন বহু সরকারি কর্মকর্তা। পাশাপাশি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আদালত বহাল রাখলে মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারা চাকরির আইনি সুরক্ষা হারাবেন। এই বিধান এতদিন তাঁদের ‘মতাদর্শগত শুদ্ধি অভিযান’ থেকে সুরক্ষা দিয়েছে।
সোমবারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারীকে ‘রাজনৈতিক নিয়োগ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এর ফলে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর পদক্ষেপগুলোর প্রতি যথেষ্ট আনুগত্য দেখানোর প্রমাণ না পেলে সেসব কর্মচারীকে সহজে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, ‘বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার প্রধানেরা রিমোট ওয়ার্ক বাতিল করবেন এবং কর্মীদের অফিসে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যেতে পারে।’
অন্য এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সব ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের দ্বারা প্রদত্ত এবং তাঁরা প্রেসিডেন্টের প্রতি দায়বদ্ধ।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষদিকে দেওয়া এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি জারি করা হয়েছিল। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা বাতিল করেন।
নতুন আদেশে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) নামে একটি উপদেষ্টা প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেল ফেডারেল সরকারে বড় আকারের পরিবর্তন আনতে কাজ করবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের সুরক্ষা বিধান শিথিল সংক্রান্ত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে বলা হচ্ছে ‘শিডিউল এফ’। জাতীয় ট্রেজারি কর্মী ইউনিয়ন (এনটিইইউ) ট্রাম্পের ‘শিডিউল এফ’ আদেশের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ওয়াশিংটনের একটি আদালতে মামলা করেছে। সংগঠনটি বলছে, এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মীদের দক্ষতা ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানবে।
অন্যদিকে, মার্কিন ফেডারেল কর্মীদের ইউনিয়নগুলো রিমোট বা হাইব্রিড কাজের ব্যবস্থাকে সরকারি চাকরিতে দক্ষ নাগরিকদের আকর্ষণের একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘রিমোট বা হাইব্রিড কাজের ব্যবস্থা সীমিত করলে, মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে আসার আগ্রহ হারাবেন।’
এদিকে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মচারীদের ‘আমলাতান্ত্রিক এবং অলস’ আখ্যা দিয়ে আসছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে ফেরার আদেশের ফলে অনেক কর্মচারী পদত্যাগ করতে পারেন এবং এতে সরকারি সেবার মান কমে যেতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নিকোলাস ব্লুম বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সরকারি সেবার মান খারাপ করতে পারে। যা সাধারণ জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবা পেতে সমস্যায় ফেলবে।’
সরকারি ডেটা অনুযায়ী, মোট ৪৬ শতাংশ ফেডারেল কর্মী রিমোট ওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত এবং এর মধ্যে মাত্র ২ লাখ ২৮ হাজার কর্মী রিমোট ওয়ার্ক (ঘরে বসে) করেন। কিন্তু নতুন আদেশে এই সুযোগ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যেকোনো সময় দেখা করতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুতিন যদি ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার টেবিলে না আসেন, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের...
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশ জারি করে অভিবাসীদের ওপর খড়গহস্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানরত অনেক ভারতীয়র ওপর। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় ১৮ হাজার
১ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার সরকারি পুরুষ কর্মচারীদের জন্য বহুবিবাহ নিয়ে একটি সাম্প্রতিক ডিক্রি নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। তবে সমালোচকেরা বহুবিবাহকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। কারণ তারা মনে করেন, এটি নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং ক্ষতিকর।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ওভাল অফিসে রেজোলিউট ডেস্কে বসে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছিলেন, তখন এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। ট্রাম্প রেজোলিউট ডেস্কের ড্রয়ার খুলে তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের রেখে যাওয়া একটি চিঠি খুঁজে পান। চিঠিটি একটি সাদা খামে ছিল, যেখানে লেখা ছিল ‘৪৭’।
১১ ঘণ্টা আগে