অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী বিধ্বংসী যুদ্ধ শেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল ও হামাস। এই যুদ্ধ ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির আবাসস্থল গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি, নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি এবং আহত ১ লাখ ১০ হাজারের মতো।
আগামী রোববার থেকে শুরু হতে পারে। তিন ধাপের এই চুক্তি হামাস গতকাল বুধবার অনুমোদন করে। তবে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই চুক্তি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনুমোদিত হয়নি। ফলে চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ‘শেষ মুহূর্তে সংকট’ সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছেন। নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী মিত্ররা এই চুক্তিকে সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে, এই চুক্তি তিন মাস কার্যকর থাকবে এবং এই সময়ের মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো, অঞ্চলটি থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হবে।
কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিতে যুদ্ধ পরবর্তী গাজা পুনর্গঠনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলায় গাজার ৬০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে, ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি জানিয়েছেন, চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হবে। ওই দিনই প্রথম ইসরায়েলি বন্দীর মুক্তি এবং অস্ত্রবিরতি শুরু হবে।
যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিনে গাজায় অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এই অঞ্চলটি অক্টোবর থেকে ভয়াবহ সামরিক অবরোধের মুখে ছিল। তবে এই চলাচল নিরস্ত্র অবস্থায় এবং কোনো তল্লাশি ছাড়াই আল-রশিদ স্ট্রিট দিয়ে সম্পন্ন হবে।
গাজাকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশ বিভক্ত করা নেতজারিম করিডরেও যান চলাচল অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে যানবাহনের তল্লাশি একটি বেসরকারি কোম্পানি করবে। এই কাজে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি পক্ষ সমন্বিতভাবে পরিচালিত করবে।
ফেব্রুয়ারি ৩ তারিখ অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি শুরুর ১৬তম দিনের মধ্যে, হামাস-ইসরায়েল উভয় পক্ষ দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য সম্মত হয়েছে। এরপর ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি শুরুর ২২তম দিনে গাজার আল-রশিদ স্ট্রিট ও সালাহ আল-দিন স্ট্রিট দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিনা তল্লাশিতে উত্তরাঞ্চলে নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।
আগামী ১ মার্চ অর্থাৎ ৪২তম দিনে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সমাপ্তি ঘটবে। এই সময়ের মধ্যে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিপরীতে ১০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। পরিকল্পনা অনুসারে, দ্বিতীয় ধাপের শুরুও হবে এই দিন থেকে। এই ধাপে বাকি ৬৫ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিপরীতে, ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে মোট ৯৪ জন জিম্মিকে (জীবিত বা মৃত) মুক্তি দেবে হামাস। এর বিপরীতে ১ হাজারের বেশি বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাবেন।
দ্বিতীয় ধাপে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলাডেলফি করিডর থেকে (গাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত) চলে যেতে শুরু করবে। তবে ইসরায়েল লিখিতভাবে নিশ্চিত করেনি যে, সংঘর্ষ আবার শুরু হবে না। মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামাসকে মৌখিকভাবে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে যে আলোচনা চলতে থাকবে। আলোচনা চলতে থাকলে এবং কোনো বিঘ্ন না ঘটলে মার্চের ৯ তারিখের মধ্যে ইসরায়েল ফিলাডেলফি করিডর থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার শেষ করবে।
এরপর, এপ্রিলের ১২ তারিখ ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির ৮৪ তম দিন থেকে তৃতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা। তৃতীয় ধাপে ঠিক কী ঘটবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদি দ্বিতীয় ধাপের শর্তগুলো পূরণ হয়, তবে এই সময়ে বাকি বন্দীদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদি পুনর্গঠন পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। যুদ্ধবিরতির পর গাজার প্রশাসন কে পরিচালনা করবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র চায়, সংস্কার করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই দায়িত্ব নিক।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা
গাজায় ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী বিধ্বংসী যুদ্ধ শেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল ও হামাস। এই যুদ্ধ ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির আবাসস্থল গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি, নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি এবং আহত ১ লাখ ১০ হাজারের মতো।
আগামী রোববার থেকে শুরু হতে পারে। তিন ধাপের এই চুক্তি হামাস গতকাল বুধবার অনুমোদন করে। তবে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই চুক্তি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনুমোদিত হয়নি। ফলে চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ‘শেষ মুহূর্তে সংকট’ সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছেন। নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী মিত্ররা এই চুক্তিকে সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে, এই চুক্তি তিন মাস কার্যকর থাকবে এবং এই সময়ের মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো, অঞ্চলটি থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হবে।
কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিতে যুদ্ধ পরবর্তী গাজা পুনর্গঠনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলায় গাজার ৬০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে, ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি জানিয়েছেন, চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হবে। ওই দিনই প্রথম ইসরায়েলি বন্দীর মুক্তি এবং অস্ত্রবিরতি শুরু হবে।
যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিনে গাজায় অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এই অঞ্চলটি অক্টোবর থেকে ভয়াবহ সামরিক অবরোধের মুখে ছিল। তবে এই চলাচল নিরস্ত্র অবস্থায় এবং কোনো তল্লাশি ছাড়াই আল-রশিদ স্ট্রিট দিয়ে সম্পন্ন হবে।
গাজাকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশ বিভক্ত করা নেতজারিম করিডরেও যান চলাচল অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে যানবাহনের তল্লাশি একটি বেসরকারি কোম্পানি করবে। এই কাজে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি পক্ষ সমন্বিতভাবে পরিচালিত করবে।
ফেব্রুয়ারি ৩ তারিখ অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি শুরুর ১৬তম দিনের মধ্যে, হামাস-ইসরায়েল উভয় পক্ষ দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য সম্মত হয়েছে। এরপর ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি শুরুর ২২তম দিনে গাজার আল-রশিদ স্ট্রিট ও সালাহ আল-দিন স্ট্রিট দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিনা তল্লাশিতে উত্তরাঞ্চলে নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।
আগামী ১ মার্চ অর্থাৎ ৪২তম দিনে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সমাপ্তি ঘটবে। এই সময়ের মধ্যে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিপরীতে ১০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। পরিকল্পনা অনুসারে, দ্বিতীয় ধাপের শুরুও হবে এই দিন থেকে। এই ধাপে বাকি ৬৫ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিপরীতে, ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে মোট ৯৪ জন জিম্মিকে (জীবিত বা মৃত) মুক্তি দেবে হামাস। এর বিপরীতে ১ হাজারের বেশি বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাবেন।
দ্বিতীয় ধাপে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলাডেলফি করিডর থেকে (গাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত) চলে যেতে শুরু করবে। তবে ইসরায়েল লিখিতভাবে নিশ্চিত করেনি যে, সংঘর্ষ আবার শুরু হবে না। মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামাসকে মৌখিকভাবে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে যে আলোচনা চলতে থাকবে। আলোচনা চলতে থাকলে এবং কোনো বিঘ্ন না ঘটলে মার্চের ৯ তারিখের মধ্যে ইসরায়েল ফিলাডেলফি করিডর থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার শেষ করবে।
এরপর, এপ্রিলের ১২ তারিখ ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির ৮৪ তম দিন থেকে তৃতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা। তৃতীয় ধাপে ঠিক কী ঘটবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদি দ্বিতীয় ধাপের শর্তগুলো পূরণ হয়, তবে এই সময়ে বাকি বন্দীদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদি পুনর্গঠন পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। যুদ্ধবিরতির পর গাজার প্রশাসন কে পরিচালনা করবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র চায়, সংস্কার করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই দায়িত্ব নিক।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা
ভারতের ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ বস্তারে আজ বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাওবাদীর সঙ্গে এখনো থেমে থেমে বন্দুক যুদ্ধ চলছে এবং পুরো এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে নিরাপত্তা বাহিনী...
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলেস ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই দাবানল শহরটির সহ্যশক্তির কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছে। শুষ্ক শরৎকাল, প্রচণ্ড খরা এবং ২০১১ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাসের প্রভাবে শহরের শুষ্ক পাহাড়গুলো জ্বলন্ত...
২ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব সমাবেশ মহাকুম্ভ মেলা। এটি শুধু আধ্যাত্মিকতার নয়, বরং এটি বিভিন্ন জীবনধারার এক বিশাল মেলবন্ধন। এবার মহাকুম্ভ মেলায় এমন কিছু সাধু বিশেষ নজর কেড়েছেন, যারা তাঁদের অভিনব জীবনধারা ও গল্পের জন্য শিরোনাম হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেগত বছর আদানি গ্রুপের শেয়ারের ব্যাপক ধসের কারণ হয়েছিল মার্কিন শর্ট-সেলিং প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদন। সে সময় আদানি গ্রুপ প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছিল। তবে সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা ন্যাট...
২ ঘণ্টা আগে