অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশের সঙ্গে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশ তিনটি হলো—সুদান, সোমালিয়া এবং এর বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ড।
গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুদানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এপিকে জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের কোনো আলোচনার বিষয়ে অবগত নন।
গোপন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এপিকে নিশ্চিত করেছেন, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, সুদানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তবে, এই আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে বা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ঘটনাটি এমন সময়ে সামনে এল, যার এক মাসেরও বেশি সময় আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও গাজা দখলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেকে এটিকে জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু যখন একসঙ্গে গাজা পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, তার কয়েক দিন পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই তিনটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ শুরু করে। কর্মকর্তারা আরও জানান, আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের তথাকথিত ‘স্বেচ্ছায়’ দেশত্যাগের পক্ষে কথা বলে আসছেন। তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘ইসরায়েল এখন এমন দেশগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করছে, যারা ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি খুব বড় অভিবাসন বিভাগ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এদিকে, কেনিয়ার নাইরোবিভিত্তিক আইনজীবী ও সংঘাত গবেষক সাম্বু চেপকোরির এপিকে বলেন, ‘সোমালিয়া ফিলিস্তিনের স্বশাসনের দৃঢ় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তারা কেন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে চাইবে, তা বোঝা কঠিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ সব সময় পরিবর্তিত হয়। হয়তো সোমালিয়াকে নিয়ে কোনো গোপন উদ্দেশ্য আছে।’
সুদানের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপিকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক নেতৃত্বাধীন সুদান সরকারকে ফিলিস্তিনিদের গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই এই যোগাযোগ শুরু হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর বিনিময়ে সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের বিরুদ্ধে সামরিক সহায়তা, যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’
দুজনই নিশ্চিত করেছেন যে, সুদান সরকার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়। এরপর আর কেউ এ বিষয়ে আলোচনা তোলেনি।’
এর আগে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এন ১২-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজাবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য তিনটি সম্ভাব্য এলাকা বিবেচনা করছে। এলাকাগুলো হলো—মরক্কো এবং সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড ও সোমালিল্যান্ড।
আরও খবর পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশের সঙ্গে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশ তিনটি হলো—সুদান, সোমালিয়া এবং এর বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ড।
গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুদানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এপিকে জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের কোনো আলোচনার বিষয়ে অবগত নন।
গোপন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এপিকে নিশ্চিত করেছেন, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, সুদানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তবে, এই আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে বা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ঘটনাটি এমন সময়ে সামনে এল, যার এক মাসেরও বেশি সময় আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও গাজা দখলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেকে এটিকে জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু যখন একসঙ্গে গাজা পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, তার কয়েক দিন পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই তিনটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ শুরু করে। কর্মকর্তারা আরও জানান, আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের তথাকথিত ‘স্বেচ্ছায়’ দেশত্যাগের পক্ষে কথা বলে আসছেন। তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘ইসরায়েল এখন এমন দেশগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করছে, যারা ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি খুব বড় অভিবাসন বিভাগ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এদিকে, কেনিয়ার নাইরোবিভিত্তিক আইনজীবী ও সংঘাত গবেষক সাম্বু চেপকোরির এপিকে বলেন, ‘সোমালিয়া ফিলিস্তিনের স্বশাসনের দৃঢ় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তারা কেন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে চাইবে, তা বোঝা কঠিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ সব সময় পরিবর্তিত হয়। হয়তো সোমালিয়াকে নিয়ে কোনো গোপন উদ্দেশ্য আছে।’
সুদানের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপিকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক নেতৃত্বাধীন সুদান সরকারকে ফিলিস্তিনিদের গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই এই যোগাযোগ শুরু হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর বিনিময়ে সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের বিরুদ্ধে সামরিক সহায়তা, যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’
দুজনই নিশ্চিত করেছেন যে, সুদান সরকার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়। এরপর আর কেউ এ বিষয়ে আলোচনা তোলেনি।’
এর আগে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এন ১২-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজাবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য তিনটি সম্ভাব্য এলাকা বিবেচনা করছে। এলাকাগুলো হলো—মরক্কো এবং সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড ও সোমালিল্যান্ড।
আরও খবর পড়ুন:
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব সমাধি সরিয়ে ফেলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বজরং দল। পরবর্তীতে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন আহত হয়েছেন বলে
৮ ঘণ্টা আগেইতালিতে মাত্র এক ইউরো দিয়ে বাড়ি কেনার সুযোগ এখনো শেষ হয়নি! এবার এক ইউরোতে বাড়ি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পেন্নে নামে আরও একটি শহর। এবারের বিশেষ আকর্ষণ হলো—সেখানে বাড়ি কিনতে চাইলে কোনো জামানত দিতে হবে না, শুধু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেই হবে।
৯ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একত্র হয়েছেন। এতে ফাইভ আইস জোটের তিন সদস্য—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দাপ্রধানেরাও উপস্থিত রয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট থেকে মোদির একটি পডকাস্ট শেয়ার করেছিলেন। মূলত এরপরই...
১০ ঘণ্টা আগে