Ajker Patrika

ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব ‘রাজনৈতিক নাটক’, প্রত্যাখ্যান ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর

অনলাইন ডেস্ক
লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার (মাঝে), ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ (ডানে) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি
লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার (মাঝে), ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ (ডানে) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখতে ‘আগ্রহীদের জোটের’ আওতায় শান্তিরক্ষী পাঠানোর যে পরিকল্পনা করেছিলেন সেটিকে ‘রাজনৈতিক নাটক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী এ মাসের শুরুতে শান্তিরক্ষা উদ্যোগের প্রস্তাব করেছিলেন এবং জোর দিয়ে বলেছিলেন, বেশ কয়েকটি দেশ যেকোনো শান্তি চুক্তি কার্যকর করতে প্রস্তুত।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইউকের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব দিলেও কী পরিমাণ সৈন্য ও সরঞ্জাম পাঠানো হবে সে সম্পর্কে খুব কম সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। স্টারমারের এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে গতকাল রোববার ঊর্ধ্বতন সামরিক সূত্রগুলো টেলিগ্রাফকে বলেছে, স্টারমার এই ইস্যুতে ‘নিজের থেকেই এগিয়ে গেছেন।’

এ সপ্তাহের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ও ইউক্রেন সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাকে স্রেফ ‘অঙ্গভঙ্গি ও প্রদর্শনী’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন। উইটকফ বলেন, এই ধারণাটি স্টারমার ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের ‘আমাদের উইনস্টন চার্চিলের মতো হতে হবে’ এই সরল ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি।

প্রতিবেদন অনুসারে, হোয়াইট হাউস ২০ এপ্রিলের মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এক ঊর্ধ্বতন সেনা সূত্র বলেছেন, ওই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের জন্য একটি সহায়তা পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা ‘দূরে বসে সম্ভব নয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র আরও বলেছেন, ‘ (এই পরিকল্পনায়) কোনো সংজ্ঞায়িত সামরিক শেষ অবস্থা বা সামরিক-কৌশলগত পরিকল্পনার অনুমান নেই। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক নাটক।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্টারমার, তিনি কী বলছেন তা জানার আগেই মাঠে সৈন্য নামানোর কথা বলে নিজে থেকে এগিয়ে গিয়েছিলেন, যে কারণে আমরা এখন এ সম্পর্কে কম শুনি এবং যুদ্ধবিমান ও রণতরীর কথা বেশি শুনি, যা করা সহজ এবং ইউক্রেনে ঘাঁটি স্থাপনের প্রয়োজন নেই।’

এদিকে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো রোববার রাতে জোর দিয়ে বলেছে, এই আগ্রহীদের জোট গঠনের পেছনে গতি বাড়ছে, এবং জড়িত দেশগুলো ‘একটি শান্তি সুরক্ষিত করতে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।’

টেলিগ্রাফ গত সপ্তাহে প্রকাশ করে যে, ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের (আরএএফ) যুদ্ধবিমানগুলো ইউক্রেনের আকাশসীমা পাহারা দেবে। ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩০টি দেশ পশ্চিম লন্ডনের পারমানেন্ট জয়েন্ট হেডকোয়ার্টার্সে (পিজেএইচকিউ) মিলিত হয়ে এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিল।

বৈঠকে এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে, ব্রিটিশ টাইফুন যুদ্ধবিমানগুলো মাটিতে থাকা যেকোনো সৈন্যকে আকাশ সুরক্ষা প্রদান করতে পারে, যদিও কত সৈন্য পাঠানো হতে পারে তা স্পষ্ট করা হয়নি।

এক জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া বা আমেরিকা কেউই যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন এই জোটকে সমর্থন করেনি এবং সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জোটের আলোচনা জটিল হয়ে পড়েছে কারণ ‘কেউ জানে না মিশন কী।’ তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন এবং এর আশপাশে প্রায় ৭ লাখ রুশ সেনা ও অস্ত্রধারী ১০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় আছে। তো এই অবস্থায় ১০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী কী করবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা তো নিজেকেও রক্ষা করতে পারবে না। মিশন কী? এর বৈধতা কী? এর নিয়মনীতি কী? এটি কীভাবে পরিচালিত, সরবরাহ ও আবাসন করা হবে? এটি কত দিনের জন্য এবং কেন সেখানে থাকবে? কেউ জানে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন ফেডারেল সংস্থার

‘মদের বোতল’ হাতে বৈষম্যবিরোধী নেতা-নেত্রীর ভিডিও, সদস্যপদ স্থগিত

ভারত নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রিকশাচালকের সঙ্গে তর্ক, বাংলাদেশিকে ফেরত

আকরামদের প্রথম খবর দেওয়া হয়েছিল, তামিম আর নেই

১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো এক পরিবারের সেই উমানাথপুর গ্রাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত