অনলাইন ডেস্ক
এক প্রতিষ্ঠান তাঁর কর্মীদের লোভনীয় একটি সুযোগ দিয়েছে। তাঁরা একটি সন্তান নিলেই পাবেন ৭৫ হাজার ডলার বা ৮২ লাখ ১২ হাজার টাকার বেশি। আশ্চর্য এই ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি। মূলত দেশটির অস্বাভাবিক কম জন্মহারের কারণে বাচ্চা নিতে দম্পতিদের উৎসাহ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
সিউলভিত্তিক এই কনস্ট্রাকশন কোম্পানিটির নাম বুইয়ং গ্রুপ। গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের কোনো কর্মীর একটি বাচ্চা হলেই তাঁকে ১০ কোটি কোরিয়ান ওয়ন বা ৭৫ হাজার ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা। শুধু তাই নয়, এখনকার কর্মী যাদের ২০২১ সাল থেকে ৭০টি বাচ্চা হয়েছে, তাঁদেরও ৭০০ কোটি কোরিয়ান ওয়ন বা ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৫৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি। (১ ডলার = ১০৯.৫০ টাকা)
প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছে, পুরুষ ও নারী সব কর্মীর জন্যই এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়া সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ফারটিলিটি বা উর্বরতার হারের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্বের সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে, এটি ০.৭৮। এ অনুপাতে একজন নারী তাঁর জীবদ্দশায় গড়ে কতটি সন্তান ধারণ করবেন তা নির্দেশ করে। এটি ২০২৫ সাল নাগাদ ০.৬৫ এ নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য পূর্ব এশীয় দেশের বয়স্ক জনসংখ্যার হার ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।
অনেক ইউরোপীয় দেশও বয়স্ক জনসংখ্যার হার বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু সেই পরিবর্তনের গতি এবং প্রভাব অভিবাসনের কারণে কিছুটা কমে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের মতো দেশগুলো তাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যার হ্রাস মোকাবিলায় অভিবাসনের প্রতি আগ্রহী নয়।
বুইয়ং গ্রুপের চেয়ারম্যান লি জুং-কুউন বলেন, কোম্পানি তার কর্মীদের শিশুদের লালন-পালনে সহায়তা করতে ‘সরাসরি আর্থিক সহায়তা’র প্রস্তাব দিয়েছে। তিনটি শিশু আছে এমন কর্মী সরাসরি ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার পাবেন। গত সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
‘আমি আশা করি আমরা এমন একটি কোম্পানি হিসেবে পরিচিত হব, যারা শিশু জন্মকে উৎসাহিত করতে অবদান রাখছে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ লি তাঁর কর্মচারীদের বলেন।
বুইয়ং গ্রুপ ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বাড়ি তৈরি করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যে মানুষকে আরও সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে। তবে বুইয়ং গ্রুপের যে সুযোগ দিচ্ছে, এর সঙ্গে সেগুলোর তুলনা চলে না। চীনেও একই ধরনের কর্মসূচি রয়েছে। কারণ টানা দুই বছর ধরে সেখানে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
গত বছর, বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলির মধ্যে একটি চীনের ট্রিপ ডটকম বলে, যেসব কর্মী কমপক্ষে তিন বছর ধরে কোম্পানির সঙ্গে আছেন, তাঁরা নতুন জন্ম নেওয়া শিশুর জন্য প্রতিবছর ১০ হাজার ইউয়ান (১ হাজার ৩৭৬ ডলার) বার্ষিক বোনাস পাবেন। শিশুর বয়স পাঁচ বছর না হওয়া পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
এক প্রতিষ্ঠান তাঁর কর্মীদের লোভনীয় একটি সুযোগ দিয়েছে। তাঁরা একটি সন্তান নিলেই পাবেন ৭৫ হাজার ডলার বা ৮২ লাখ ১২ হাজার টাকার বেশি। আশ্চর্য এই ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি। মূলত দেশটির অস্বাভাবিক কম জন্মহারের কারণে বাচ্চা নিতে দম্পতিদের উৎসাহ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
সিউলভিত্তিক এই কনস্ট্রাকশন কোম্পানিটির নাম বুইয়ং গ্রুপ। গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের কোনো কর্মীর একটি বাচ্চা হলেই তাঁকে ১০ কোটি কোরিয়ান ওয়ন বা ৭৫ হাজার ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা। শুধু তাই নয়, এখনকার কর্মী যাদের ২০২১ সাল থেকে ৭০টি বাচ্চা হয়েছে, তাঁদেরও ৭০০ কোটি কোরিয়ান ওয়ন বা ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৫৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি। (১ ডলার = ১০৯.৫০ টাকা)
প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছে, পুরুষ ও নারী সব কর্মীর জন্যই এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়া সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ফারটিলিটি বা উর্বরতার হারের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্বের সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে, এটি ০.৭৮। এ অনুপাতে একজন নারী তাঁর জীবদ্দশায় গড়ে কতটি সন্তান ধারণ করবেন তা নির্দেশ করে। এটি ২০২৫ সাল নাগাদ ০.৬৫ এ নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য পূর্ব এশীয় দেশের বয়স্ক জনসংখ্যার হার ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।
অনেক ইউরোপীয় দেশও বয়স্ক জনসংখ্যার হার বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু সেই পরিবর্তনের গতি এবং প্রভাব অভিবাসনের কারণে কিছুটা কমে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের মতো দেশগুলো তাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যার হ্রাস মোকাবিলায় অভিবাসনের প্রতি আগ্রহী নয়।
বুইয়ং গ্রুপের চেয়ারম্যান লি জুং-কুউন বলেন, কোম্পানি তার কর্মীদের শিশুদের লালন-পালনে সহায়তা করতে ‘সরাসরি আর্থিক সহায়তা’র প্রস্তাব দিয়েছে। তিনটি শিশু আছে এমন কর্মী সরাসরি ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার পাবেন। গত সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
‘আমি আশা করি আমরা এমন একটি কোম্পানি হিসেবে পরিচিত হব, যারা শিশু জন্মকে উৎসাহিত করতে অবদান রাখছে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ লি তাঁর কর্মচারীদের বলেন।
বুইয়ং গ্রুপ ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বাড়ি তৈরি করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যে মানুষকে আরও সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে। তবে বুইয়ং গ্রুপের যে সুযোগ দিচ্ছে, এর সঙ্গে সেগুলোর তুলনা চলে না। চীনেও একই ধরনের কর্মসূচি রয়েছে। কারণ টানা দুই বছর ধরে সেখানে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
গত বছর, বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলির মধ্যে একটি চীনের ট্রিপ ডটকম বলে, যেসব কর্মী কমপক্ষে তিন বছর ধরে কোম্পানির সঙ্গে আছেন, তাঁরা নতুন জন্ম নেওয়া শিশুর জন্য প্রতিবছর ১০ হাজার ইউয়ান (১ হাজার ৩৭৬ ডলার) বার্ষিক বোনাস পাবেন। শিশুর বয়স পাঁচ বছর না হওয়া পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় এক নিরাপত্তা চৌকিতে বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৯ মিনিট আগেফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। গতকাল মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে বিকল্প প্রস্তাবটি উত্থাপন করে মিসর; যা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিসরের...
৩৩ মিনিট আগেহোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডার পর দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া খনিজ চুক্তি ভেস্তে গিয়েছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ফের সেই খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিকটতম প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকো তাদের পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিক শুল্ক আরোপের কঠোর সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই ব্যাপক শুল্ক নীতি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপরও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে বেইজিং
৯ ঘণ্টা আগে