চীন সফরের পর এমনকি ইলন মাস্কও মুখ খুলছেন না

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ১৭: ০৫
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ১৭: ২৪

টেসলার ইলন ও এবং গোল্ডম্যান শ্যাক্সের ডেভিড সলোমনসহ বিদেশি বড় কোম্পানির সিইওদের একটি দল কয়েক মাসে চীন সফর করেছেন। এই সফর সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য গণমাধ্যমে আসেনি। জানতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রও। যা দুই দেশের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, চীন ভ্রমণ নিয়ে তাঁরা দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যবসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তবে এসব তেমন একটা প্রকাশ্যে আনেননি। এর কারণ হতে পারে চীনে করোনা মহামারির পর থেকে গণমাধ্যম নিষ্ক্রিয় হয়ে ওঠা।

এমনকি যেই ইলন মাস্কের ঘনঘন টুইট করার বাতিক রয়েছে তিনিও চীন সফরকালে কোনো টুইট করেননি। তবে সফরে যাওয়ার আগে দুটি পোস্টে তিনি এই সফরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে টেসলার সাংহাই প্ল্যান্টে তৈরি প্রথম গাড়ির ডেলিভারির অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নেচেছিলেন ইলন। এটি গণমামাধ্যমেও দেখানো হয়েছিল। কিন্তু এবার তার প্ল্যান্ট পরিদর্শন কভার করতে মিডিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

গোল্ডম্যানের সলোমন গণমাধ্যমে আরও নিষ্ক্রিয়। ২০১৯ সালে তিনি মিডিয়া সাক্ষাৎকার এবং বিভিন্ন ফোরামে অংশ নিয়েছিলেন। তবে এ বছরের মার্চের সফরকালে তিনি শুধু রুদ্ধদ্বার বৈঠকই করেছেন। এসব বৈঠকের মধ্য রয়েছে চীনের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চেম্বার অফ কমার্স এবং ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র স্টাফ বলেছেন, গত কয়েক দশকে পশ্চিমা বৃহৎ কোম্পানিগুলোর সিইওদের চীন ভ্রমণ ও দেশটিতে তাঁদের কার্যক্রমের তথ্যঘাটতি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

সংস্থাটি বলেছে, রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ত্ব বৃদ্ধি ও পরামর্শদাতা এবং গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করেছে। যা বিদেশি কোম্পানির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে দিয়েছে।

কানাডা-চায়না বিজনেস কাউন্সিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নোয়াহ ফ্রেজার বলেছেন, ‘সফরকারী এসব নির্বাহীরা আর নতুন ব্যবসার সুযোগের আশায় নেই বরং বিদ্যমান সম্পর্ক বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তাঁরা আর কোনো প্রেস বা বড় ডিনারে কথা বলার সুযোগ দেবে না।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চেম্বার অফ কমার্স একটি বিবৃতিতে বলেছে, চীনে পরিচালিত সংস্থাগুলো সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং এখন সংবেদনশীল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে এমন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।

এসব বিষয়ে জানতে টেসলা মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি আর গোল্ডম্যান মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন সিইওদের এসব সফর চীনা অর্থনীতিতে ‘আস্থার ভোট’। এসব ভ্রমণ তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবা মার্কিন সরকারের ‘ভুল নীতি’ ছিল। পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি আইনে ও নিরাপত্তার স্বার্থে এসব সফরের তথ্য গোপন করা চীনের অধিকার ছিল।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত