Ajker Patrika

হামাস-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারে আইসিসি

অনলাইন ডেস্ক
হামাস-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারে আইসিসি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে। আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি করিম খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকাসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো আইসিসির এখতিয়ারের অধীনে পড়ে। এর অর্থ হচ্ছে- গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসের বিরুদ্ধে আইসিসির মামলা করার ক্ষমতা আছে।

এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির শীর্ষ কৌঁসুলি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের হয়ে হামাস বা আল কুদস ব্রিগেড বা হামাসের কোনো সশস্ত্র শাখা কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো সদস্যের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ যদি থাকে তবে সেই অপরাধের বিচারের এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে। ইসরায়েলসহ যেখানেই যুদ্ধাপরাধ ঘটুক না কেন, সেটার বিচারের এখতিয়ার আমাদের আছে।’

গত শনিবার হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৬০০০ বোমা হামলা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন করিম খান। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোকে ‘হৃদয়বিদারক’ আখ্যায়িত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যা হচ্ছে, টেলিভিশনের পর্দায় আমরা যা দেখছি তা ভয়াবহ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইসিসির কৌঁসুলি হওয়ার দরকার নেই। গত কয়েক দিনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন থেকে যেসব ছবি আসছে তা দেখে যে কোনো মানুষের হৃদয় অবশ্যই শীতল হয়ে যাবে, ভেঙে যাবে।’

কথিত অপরাধমূলক আচরণের জন্য কোনো ব্যক্তির বিচার আইসিসি তখনই করে যখন এর ১২৩টি সদস্য রাষ্ট্র নিজেদের বিচার করতে অনিচ্ছুক বা অক্ষম হয়। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভারত এবং মিশর সহ বিশ্বের অনেক বড় শক্তিই আইসিসির সদস্য নয়। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও আইসিসির কোনো পুলিশ বাহিনী নেই এবং গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রেও তারা সদস্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে।

২০২১ সাল থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের বিষয়ে আইসিসির একটি তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনো আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২১ সালে এই তদন্তের ঘোষণা দেওয়ার সময় করিম খানের পূর্বসূরি বলেছিলেন যে, ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগগুলো পরীক্ষা করছে আইসিসি। বর্তমানে চলমান সহিংসতা সেই তদন্তের আওতায় পড়ে বলে জানান করিম খান।

নিজের মুসলিম বিশ্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে সব পক্ষকে ধর্মীয় শিক্ষা অনুসরণ করা, নিরপরাধদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ করার সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান করিম খান। তিনি বলেন, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক ব্যক্তি বা বস্তুকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে না। কেউ ধর্ষণ, হত্যা বা অঙ্গচ্ছেদ করতে পারে না। ইচ্ছাকৃত হত্যা ও জিম্মি করা জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং প্রত্যেককে আইন মেনে চলতে হবে।’

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর জন্য তার কাছে কোনো বার্তা আছে কিনা, এমনটা জানতে চাইলে করিম খান সব পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঠান্ডা মাথার নেতৃত্ব, মানবতা এবং এই উপলব্ধি যে, আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম ছেলে বিয়ে করে পরিবারহারা, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার

মাদারীপুরে ৩ খুন: ঘটনার পেছনে পা ভাঙার প্রতিশোধসহ ৩ কারণ

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

স্ত্রীর সামনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, বোমা ফাটিয়ে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট

ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি-পরিচয় প্রকাশ করলেই আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত