অনলাইন ডেস্ক
নিজেদের যেকোনো কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। একই সঙ্গে নিজেদের কোনো সদস্যের নিপীড়নমূলক কাজ ও সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত চালানোর প্রতিশ্রুতিও তারা দিয়েছে। আজ শনিবার সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান শাসনের এক নতুন মডেল হাজির করার কথা ভাবছে তালেবান।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এত দ্রুততার সঙ্গে কী করে তারা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিল, তা নিয়ে এখনো বিস্তর আলোচনা চলছে। কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মাত্র এক সপ্তাহ পার হয়েছে। ভবিষ্যৎ সরকারের রূপ সম্পর্কে একটা আভাস তালেবান দিলেও, সত্যিকার অর্থেই সে সরকার কেমন হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আজ শনিবার জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করলেন তালেবান কর্মকর্তা।
রয়টার্সকে এই তালেবান কর্মকর্তা বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে কিছু নৃশংস ও অপরাধমূলক আচরণের খবর আমরা পেয়েছি। যদি আইন–শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তালেবান সদস্যরা কোনো সমস্যার সৃষ্টি করে, তবে তার তদন্ত করা হবে। আমরা মানুষের আতঙ্ক, মানসিক চাপ ও উদ্বেগটা বুঝতে পারছি। মানুষ ভাবছে, আমাদের কোনো জবাবদিহি থাকবে না। কিন্তু এমনটি হবে না। আফগানিস্তান পশ্চিমা ধারার গণতন্ত্র দ্বারা শাসিত হবে না। তবে সব অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
তালেবান এখন পর্যন্ত সাধারণ আফগানদের আশ্বস্ত করতে নানা ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাধারণ ক্ষমা থেকে শুরু করে নারী অধিকারের মতো বহু বিষয় তারা সামনে এনেছে। কিন্তু এতে আফগানরা বা বিশ্বনেতারা তেমন আশ্বস্ত হচ্ছে না। এর প্রমাণ, বহু মানুষ প্রতি দিন আফগানিস্তান ছেড়ে পালাতে যা নয় তাই করছে। এই আতঙ্কের মূল কারণ ১৯৯৬–২০০১ সময়ে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের স্মৃতি। সেই শাসন দেখেছে, এমন কেউ তাদের কথায় পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছে না। তবে কিছু কিছু আশা তারা তৈরি করতে পেরেছে ঠিকই। কারণ, এখন পর্যন্ত একচেটিয়াভাবে তারা কোনো সরকার কাঠামো বা প্রশাসন আফগানিস্তানের ওপর চাপিয়ে দেয়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও মার্কিনদের হয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির যে খবর বেরিয়েছে, তা নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এ অবস্থায় বহু মানুষ বিমানবন্দরের দিকে ছুটছে। হাজার হাজার মানুষ যেকোনোভাবে হোক আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছে। গত ১৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত শুধু বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার কারণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে ন্যাটো ও তালেবান কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে বিমানবন্দরের এই বিশৃঙ্খলার দায় তালেবানের নয় বলে জানালেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এই বিশৃঙ্খলার দায় পশ্চিমা দেশগুলোর। নিজেদের লোকেদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো যথার্থ পরিকল্পনা তারা করেনি।
এদিকে এক ন্যাটো কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে থাকা ১২ হাজার বিদেশি নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তিনি বলেন, খুব ধীর গতিতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, আমরা চাই না বিমানবন্দরে বা এর বাইরে তালেবান বা বেসামরিক মানুষের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘর্ষ হোক। আমরা এ নিয়ে একে অন্যের ওপর দায় চাপাতে চাই না।
নিজেদের যেকোনো কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। একই সঙ্গে নিজেদের কোনো সদস্যের নিপীড়নমূলক কাজ ও সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত চালানোর প্রতিশ্রুতিও তারা দিয়েছে। আজ শনিবার সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান শাসনের এক নতুন মডেল হাজির করার কথা ভাবছে তালেবান।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এত দ্রুততার সঙ্গে কী করে তারা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিল, তা নিয়ে এখনো বিস্তর আলোচনা চলছে। কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মাত্র এক সপ্তাহ পার হয়েছে। ভবিষ্যৎ সরকারের রূপ সম্পর্কে একটা আভাস তালেবান দিলেও, সত্যিকার অর্থেই সে সরকার কেমন হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আজ শনিবার জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করলেন তালেবান কর্মকর্তা।
রয়টার্সকে এই তালেবান কর্মকর্তা বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে কিছু নৃশংস ও অপরাধমূলক আচরণের খবর আমরা পেয়েছি। যদি আইন–শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তালেবান সদস্যরা কোনো সমস্যার সৃষ্টি করে, তবে তার তদন্ত করা হবে। আমরা মানুষের আতঙ্ক, মানসিক চাপ ও উদ্বেগটা বুঝতে পারছি। মানুষ ভাবছে, আমাদের কোনো জবাবদিহি থাকবে না। কিন্তু এমনটি হবে না। আফগানিস্তান পশ্চিমা ধারার গণতন্ত্র দ্বারা শাসিত হবে না। তবে সব অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
তালেবান এখন পর্যন্ত সাধারণ আফগানদের আশ্বস্ত করতে নানা ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাধারণ ক্ষমা থেকে শুরু করে নারী অধিকারের মতো বহু বিষয় তারা সামনে এনেছে। কিন্তু এতে আফগানরা বা বিশ্বনেতারা তেমন আশ্বস্ত হচ্ছে না। এর প্রমাণ, বহু মানুষ প্রতি দিন আফগানিস্তান ছেড়ে পালাতে যা নয় তাই করছে। এই আতঙ্কের মূল কারণ ১৯৯৬–২০০১ সময়ে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের স্মৃতি। সেই শাসন দেখেছে, এমন কেউ তাদের কথায় পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছে না। তবে কিছু কিছু আশা তারা তৈরি করতে পেরেছে ঠিকই। কারণ, এখন পর্যন্ত একচেটিয়াভাবে তারা কোনো সরকার কাঠামো বা প্রশাসন আফগানিস্তানের ওপর চাপিয়ে দেয়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও মার্কিনদের হয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির যে খবর বেরিয়েছে, তা নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এ অবস্থায় বহু মানুষ বিমানবন্দরের দিকে ছুটছে। হাজার হাজার মানুষ যেকোনোভাবে হোক আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছে। গত ১৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত শুধু বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার কারণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে ন্যাটো ও তালেবান কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে বিমানবন্দরের এই বিশৃঙ্খলার দায় তালেবানের নয় বলে জানালেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এই বিশৃঙ্খলার দায় পশ্চিমা দেশগুলোর। নিজেদের লোকেদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো যথার্থ পরিকল্পনা তারা করেনি।
এদিকে এক ন্যাটো কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে থাকা ১২ হাজার বিদেশি নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তিনি বলেন, খুব ধীর গতিতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, আমরা চাই না বিমানবন্দরে বা এর বাইরে তালেবান বা বেসামরিক মানুষের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘর্ষ হোক। আমরা এ নিয়ে একে অন্যের ওপর দায় চাপাতে চাই না।
একজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
৬ মিনিট আগেদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন ডিডি বোসওয়েল নামে এক মার্কিন নারী। সম্প্রতি তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ মুখগুলোকে বেছে নিতে শুরু করেন। সর্বশেষ কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ব্রুক রোলিন্সকে। অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগে ১৫ সদস্য নিয়ে ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভা জন্য চূড়ান্ত করে ফেলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বড় জমায়াতের প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এই মিছিল ঠেকাতে মরিয়া এখন দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। এ জন্য ইসলামাবাদে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা স্থগিত করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে