অনলাইন ডেস্ক
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা প্রত্যাহারের জন্য হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হংকংয়ের একটি আদালত। আজ শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) অধীনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে জিমি লাইয়ের আইনি দলের করা আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ৭৬ বছর বয়সী জিমি লাইয়ের বিচার হচ্ছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশনা হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই।
জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০২০ সালে হংকংয়ের ২৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকর্মী ও আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন জিমি লাই।
শুনানিতে জিমি লাইয়ের আইনজীবীরা কৌঁসুলিদের আনা রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র মামলার সময়সীমা বাতিল বা সীমিত করার আবেদন জানান। তাঁরা বলেন, স্থানীয় আইনের অধীনে কোনো কথিত অপরাধের ব্যাপারে তা ঘটার ছয় মাসের মধ্যে অভিযোগ আনতে হবে।
লাইয়ের আইনজীবী রবার্ট প্যাং যুক্তি দেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগটি এ জন্য খারিজ করা উচিত যে, কথিত অপরাধের ছয় মাসের মধ্যে কৌঁসুলিরা মামলা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্যাং উল্লেখ করেন, জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয় ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, যা কথিত অপরাধের ছয় মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার চার দিন পর।
তবে জিমি লাইয়ের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা প্রযোজ্য নয় বলে রায় দিয়েছেন সরকার নিযুক্ত তিন বিচারক—এসথার তোহ, সুসানা ডি’আলমাদা রেমেডিওস এবং অ্যালেক্স লি। তাঁরা যুক্তি দেন, রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র ছিল একটি ধারাবাহিক অপরাধ। এই অভিযুক্ত অপরাধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সময়সীমার গণনা শুরু হবে না।
বিচারকেরা তাঁদের রায়ে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের বিচার করার জন্য সময়ের কোনো বাধা নেই। সুতরাং, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আসামির বিচার করার এখতিয়ার আদালতের আছে।
জিমি লাই তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে এই ধনকুবেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এনএসএলের অধীনে মামলা ছাড়াও জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে তার টুইট, সাক্ষাৎকার এবং তার মালিকানাধীন অধুনালুপ্ত অ্যাপল ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলোর ওপর ভিত্তি করে ঔপনিবেশিক যুগের একটি আইনের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে।
এনএসএলের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র সমালোচক জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে আমব্রেলা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে বেইজিং সমর্থিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও ছিলেন তিনি। অ্যাপল ডেইলিসহ হংকংয়ের কয়েকটি বিখ্যাত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছিলেন জিমি লাই।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা প্রত্যাহারের জন্য হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হংকংয়ের একটি আদালত। আজ শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) অধীনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে জিমি লাইয়ের আইনি দলের করা আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ৭৬ বছর বয়সী জিমি লাইয়ের বিচার হচ্ছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশনা হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই।
জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০২০ সালে হংকংয়ের ২৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকর্মী ও আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন জিমি লাই।
শুনানিতে জিমি লাইয়ের আইনজীবীরা কৌঁসুলিদের আনা রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র মামলার সময়সীমা বাতিল বা সীমিত করার আবেদন জানান। তাঁরা বলেন, স্থানীয় আইনের অধীনে কোনো কথিত অপরাধের ব্যাপারে তা ঘটার ছয় মাসের মধ্যে অভিযোগ আনতে হবে।
লাইয়ের আইনজীবী রবার্ট প্যাং যুক্তি দেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগটি এ জন্য খারিজ করা উচিত যে, কথিত অপরাধের ছয় মাসের মধ্যে কৌঁসুলিরা মামলা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্যাং উল্লেখ করেন, জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয় ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, যা কথিত অপরাধের ছয় মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার চার দিন পর।
তবে জিমি লাইয়ের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা প্রযোজ্য নয় বলে রায় দিয়েছেন সরকার নিযুক্ত তিন বিচারক—এসথার তোহ, সুসানা ডি’আলমাদা রেমেডিওস এবং অ্যালেক্স লি। তাঁরা যুক্তি দেন, রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র ছিল একটি ধারাবাহিক অপরাধ। এই অভিযুক্ত অপরাধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সময়সীমার গণনা শুরু হবে না।
বিচারকেরা তাঁদের রায়ে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের বিচার করার জন্য সময়ের কোনো বাধা নেই। সুতরাং, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আসামির বিচার করার এখতিয়ার আদালতের আছে।
জিমি লাই তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে এই ধনকুবেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এনএসএলের অধীনে মামলা ছাড়াও জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে তার টুইট, সাক্ষাৎকার এবং তার মালিকানাধীন অধুনালুপ্ত অ্যাপল ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলোর ওপর ভিত্তি করে ঔপনিবেশিক যুগের একটি আইনের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে।
এনএসএলের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র সমালোচক জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে আমব্রেলা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে বেইজিং সমর্থিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও ছিলেন তিনি। অ্যাপল ডেইলিসহ হংকংয়ের কয়েকটি বিখ্যাত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছিলেন জিমি লাই।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারি করায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আয়ারল্যান্ডে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি প
১ ঘণ্টা আগেনিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) ‘মানবতার শত্রু’ বলে অবহিত করেছেন নেতানিয়াহু। হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবতাকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটি মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেলাওসের পর্যটন শহর ভাং ভিয়েং-এ সন্দেহজনক মিথানল বিষক্রিয়ায় আরও একজন অস্ট্রেলীয় তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিষাক্ত অ্যালকোহল সেবনে সেখানে ছয় বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেদখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই।
৩ ঘণ্টা আগে