Ajker Patrika

ভাগনার বিদ্রোহের সময় মুখ ফসকানো কথা কাল হতে পারে পুতিনের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩, ১১: ৩৩
ভাগনার বিদ্রোহের সময় মুখ ফসকানো কথা কাল হতে পারে পুতিনের

ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ থামানোর জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নানামুখী প্রচেষ্টায় এমন একটি ভুল ছিল, যা তাঁকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি কথার মধ্য দিয়ে ভাগনার গ্রুপের দ্বারা সংগঠিত সব যুদ্ধাপরাধের দায় রাষ্ট্র ও নিজের ওপর নিয়ে নিয়েছেন পুতিন। বিষয়টি তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মামলা করা সহজ করে তুলেছে। 

এ বিষয়ে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বে ভাগনার গ্রুপ যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করে, পুতিন তখন বলেছিলেন, ওই ভাড়াটে দলটির যাবতীয় খরচ বহন করে রুশ কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, পুতিন জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শুধু মে মাসেই রুশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৮৬ বিলিয়ন রুবল বা এক বিলিয়নেরও বেশি ডলার গ্রহণ করেছে ভাগনার গ্রুপ। 

পুতিনের মুখ থেকে বেরোনো এই কথাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ভাগনার গ্রুপকে শান্ত করার জন্য হলেও এর মধ্য দিয়ে তিনি অনেক বড় ভুল করেছেন বলে মনে করেন আইনের অধ্যাপক ফিলিপ্পে স্যান্ডস। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের উৎস অনুসন্ধান বিষয় ‘ইস্ট ওয়েস্ট স্ট্রিট’ বইটি তাঁরই লেখা। 

ফিলিপ্পের মতে, মুখ ফসকে বলা কথার মধ্য দিয়ে রুশ রাষ্ট্রের নেতা হিসেবে ভাগনার গ্রুপের দ্বারা সংগঠিত সব অপরাধের দায় পুতিন নিজের কাঁধে নিয়েছেন। 

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভাগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংগঠনের নানা অভিযোগ জমতে থাকে। জাতিসংঘের তদন্তেও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে এই গ্রুপের সদস্যরা যুদ্ধাপরাধ করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাগনার গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন পুতিন। 

২০১৮ সালে সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়েছিল ভাগনার যোদ্ধারা। সে সময়ও দলটির সঙ্গে কোনো ধরনের সংযোগ থাকার অভিযোগকে নাকচ করেছিল মস্কো। 

অক্সফোর্ডের আইনবিষয়ক অধ্যাপক ড্যাপো আকন্দে মত দিয়েছেন—ওয়াগনারকে অর্থ সরবরাহ করায় এই দলের সব অপকর্মের দায় পুতিন কিংবা রাশিয়ার ওপর বর্তাবে তা নয়। তবে বিষয়টি অনেক বড় একটি মামলার ছোট অংশ হতে পারে। 

যুদ্ধাপরাধের জন্য আধা সামরিক বাহিনীকে দোষী সাব্যস্ত করার নজির থাকলেও এখন পর্যন্ত এর জন্য কোনো রাষ্ট্রকে দায়ী করা হয়নি। ১৯৯৫ সালে বসনিয়ান মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সার্বিয়ান মিলিশিয়াদের। আর সার্বিয়াকে শুধু গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। 

এ বিষয়ে ফিলিপ্পে স্যান্ডস বলেন, ‘অভিযুক্ত মিলিশিয়াদের সঙ্গে সার্বিয়ান কর্তৃপক্ষের সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন আদালত।’ 

তবে পুতিনের মুখ ফসকানো মন্তব্যটি ভবিষ্যতে যুদ্ধাপরাধবিষয়ক মামলায় আদালতের এ ধরনের সীমাবদ্ধতাকে দূর করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত