হিযবুত তাহরীর এবার যুক্তরাজ্যেও নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৫৭

যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিতর্কিত ইসলামপন্থী সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকর্মী সংগঠন হামাসের ইসরায়েলে হামলার প্রশংসা করার জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, এই গোষ্ঠী ‘সাম্প্রদায়িক’ এবং ‘সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও উৎসাহ দেয়’। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশে হিযবুত তাহরীর অনুসারীদের ‘জিহাদ’–এর পক্ষে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হলো। 

হিযবুত তাহরীর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে সক্রিয়। যদিও সব সময় সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে এসেছে।

বাংলাদেশেও এই ইসলামি সংগঠন নিষিদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক। ২০০৯ সালে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালে তিনি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযুক্ত হন। ২০১৭ মার্চে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস হত্যার অভিযোগে সংগঠনটির নেতা শফিউর রহমান ফারাবীকে অভিযুক্ত করা হয়। 

যুক্তরাজ্যে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করার আদেশ আজ সোমবার পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদেশের বিপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পড়লে আগামী শুক্রবার থেকেই নিষিদ্ধের আদেশ কার্যকর হবে।

এর মানে হলো, এই সংগঠনের প্রতি সমর্থন জানালে বা সমর্থনের ডাক দিলে বা তাদের সমর্থন জানানো বোঝায় এমন কোনো কিছু প্রদর্শন করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। 

যুক্তরাজ্য সরকারের কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে এখনো গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি। 

গত অক্টোবরে হিযবুত তাহরীরের অনুসারীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বড় একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সেখানে জিহাদের ডাক দেওয়ার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। 

যুক্তরাজ্যের আইনে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। নিষিদ্ধ হওয়ার পর সেই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত যে কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে পুলিশ। 

হিযবুত তাহরীর ১৯৫৩ সালে একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা সমগ্র মুসলিম বিশ্ব মিলে একক ইসলামি সরকার বা খিলাফত কায়েমের আহ্বান জানায়। যুক্তরাজ্যসহ কমপক্ষে ৩২টি দেশে তাদের শাখা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে এখন অন্য শাখাগুলোও নিষিদ্ধ বিবেচিত হবে। 

মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অতীতে যুক্তরাজ্যে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ২০১০ সালে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত