Ajker Patrika

ইউরোপে বন্যায় ১২০ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপে বন্যায় ১২০ জনের মৃত্যু

কাগজের মতো ভেসে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, খেলনার মতো চিৎপটাং পড়ে আছে দামি দামি গাড়ি। ঝোড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণে চেহারা বদলে গেছে গাছপালার। রাস্তাঘাটও বেহাল। আকস্মিক বানের পানিতে এভাবেই ভেসে গেছে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল। ভারী বর্ষণে উপচে পড়েছে এ অঞ্চলের নদীগুলো। হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক বন্যায় ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে জার্মানি ও বেলজিয়ামে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। বন্যায় তলিয়ে গেছে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ডের ও লুক্সেমবার্গেরও বেশ কিছু অঞ্চল।

আজ শুক্রবারও ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণ অব্যাহত ছিল। বলা হচ্ছে, গত ১০০ বছরের মধ্যে এটাই ওই অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ঘটনা। তবে, এর জন্য সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনতে হয়েছে জার্মানিকেই। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে আহরওয়েইলার নামে একটি জেলায়। নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জার্মানির রাইনল্যান্ড–প্যালাটিনেট রাজ্যের একটি অঞ্চলে এখনো ১ হাজার ৩০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। গতকালও বন্যায় আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধার ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত ছিল দেশটিতে।

জার্মান আবহাওয়াবিদ আন্দ্রেস ফ্রিডরিখ সিএনএনকে জানান, দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বৃষ্টিপাত হতে দেখা গেছে। এতে রাইনল্যান্ড–প্যালাটিনেট ছাড়াও দেশটির নর্থ রাইন–ওয়েস্টফেলিয়া এবং সারল্যান্ড অঞ্চলেও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া জার্মানির বাইরে বেলজিয়ামেও অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবগুলো মৃত্যুই ঘটেছে দেশটির ওয়াল্লোনিয়া অঞ্চলে। এই অঞ্চলটি জার্মান বন্যা উপদ্রুত নর্থ রাইন–ওয়েস্টফিলিয়ার সীমান্তবর্তী। ওয়াল্লোনিয়া অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ দল পাঠিয়েছে ইতালি। বন্যার ফলে বেলজিয়ামের রেললাইন যোগাযোগ থমকে গেছে। পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশটির মিউজ নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুর্গত মানুষকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে দেশটির সেনাবাহিনী। এমন বিপদের মধ্যে বেলজিয়ামকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।

এ ছাড়া সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও লুক্সেমবার্গেও হানা দিয়েছে বন্যা। নেদারল্যান্ডসের লিমবার্গ প্রদেশেই মূলত বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। মিউজ নদীর পানি এখনো আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় এই প্রদেশের হিউজেম ও র‍্যান্ডউইক জেলার বাসিন্দাদের বলা হয়েছে–তারা যেন যত দ্রুত সম্ভব তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নেয়।

সামনের দিনগুলোতে বন্যার পানি আরও বাড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে সুইজারল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তরও। দেশটির বেশ কয়েকটি লেক উপচে যাওয়ার পাশাপাশি ভূমিধসের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপে এমন অস্বাভাবিক বন্যা দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জলবায়ু বিজ্ঞানীদের কপালেও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত