Ajker Patrika

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত র্নির্বাচন: ৬৯৬ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩, ১২: ৩৯
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত র্নির্বাচন: ৬৯৬ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু 

ব্যাপক অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গত শনিবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে রাজ্যের ২২ জেলায় ভোট হতে না পারা ৬৯৬টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এই ৬৯৬ কেন্দ্রে আজ পুনরায় ভোট নেওয়া হচ্ছে। 

গত শনিবার রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটে ভয়াবহ সহিংসতা হয়। এতে সব মিলিয়ে ১৮ জন নিহত হয়। বস্তুত, ভোটের আগে আরও ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন রাজনৈতিক লড়াইয়ে। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সোমবার সকাল থেকে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে। প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অশান্তি বন্ধ হয়নি। রোববার রাত থেকে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দাঁদরায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনায় বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার ফের নির্বাচন শুরু হয়েছে কয়েকটি বুথে।

বারুইপুরের ভোট
দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি বুথে শনিবার ভোট চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা বুথে ঢুকে ব্যালট বাক্স তুলে তা পুকুরে ফেলে দেয়। পরে সেই বাক্স উদ্ধার হলেও পুনর্নির্বাচনের কথা বলা হয়। সোমবার সকাল থেকে সেখানে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের ভোট
শনিবার সবচেয়ে বেশি গন্ডগোল হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। মুর্শিদাবাদ, মালদা, দিনাজপুর, কোচবিহার উত্তপ্ত ছিল। সবচেয়ে বেশি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। সব মিলিয়ে ১৭৫টি বুথে সেখানে নতুন করে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। মালদায় ১০৯টি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। নদিয়ায় ৮৯টি বুথ, কোচবিহারে ৫৩টি, উত্তর২৪ পরগনায় ৪৬টি এবং উত্তর দিনাজপুরে ৪২টি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে।

পুনর্নির্বাচনে প্রতিটি বুথে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। অর্থাৎ, একেকটি বুথে ৮ জন করে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান থাকবে।

বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোটের প্রথম দিনেই কেন এমন ব্যবস্থা করা হলো না। প্রশ্ন উঠছে। কেন হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রতিটি বুথে যথেষ্ট পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায়নি। বস্তুত, শনিবারের ভোটে কোনো কোনো বুথে সিভিক ভল্যান্টিয়ারদেরও দেখা গেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী সব জায়গায় থাকলে এত মৃত্যু দেখতে হতো না। বুথে ঢুকে বোমাবাজির ঘটনা ঘটত না।

শাসক দল অবশ্য জানিয়েছে, রাজ্যে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল হয়েছে। সামগ্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। যেখানে গন্ডগোল হয়েছে, সেখানে বিরোধীদের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বনশ্রীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ছাত্রলীগের, সুমন শ্রমিক দলের নেতা

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

থানায় থানায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা হচ্ছে

ককটেল ফুটতেই সেলুনে লুকায় পুলিশ, রণক্ষেত্র হয় এলাকা

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত