অনলাইন ডেস্ক
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। নিহত হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। অবশেষে দুই পক্ষ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের ভেতর প্রবেশ করে হামলা এবং ১ হাজার ২০০ জনকে অপহরণ করে আনে হামাস। এরপর গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া প্রায় ১৭ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে আসলে কী পেতে যাচ্ছে দুই পক্ষ?
যেসব বিষয়ে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল:
১. উভয় পক্ষ চার দিনের যুদ্ধবিরতি দিতে সম্মত হয়েছে।
২. গত ৭ অক্টোবর অপহৃতদের মধ্যে বর্তমানে হাতে থাকা ২৩৭ জনের মধ্যে ৫০ নারী ও শিশুকে ছেড়ে দেবে হামাস।
৩. বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের জেল থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে।
৪. কাতার জানিয়েছে, এই সাময়িক বিরতির মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ নির্বিঘ্ন হবে।
৫. ইসরায়েল বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চার দিন থেকে আরও বাড়াতে প্রস্তুত। প্রতি ১০ জন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে তারা এক দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়াতে রাজি।
৬. তবে যুদ্ধবিরতি যদি বাড়ানো হয় তাহলে ইসরায়েল আরও ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে কি না সেটি পরিষ্কার নয়।
যেভাবে সম্ভব হলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি:
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও দূতিয়ালির পাশাপাশি কাতার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গেও এ নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুই পক্ষ ছিল মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষকে সম্মত করতে পারায় কাতার ও মিসরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সঙ্গে জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে নেতানিয়াহু পরিষ্কার করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মানে এই নয় যে ইসরায়েল তার লক্ষ্য থেকে সরে আসছে। গাজায় যুদ্ধ শুধু সাময়িকভাবেই বন্ধ থাকবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে কি?
উভয় পক্ষ সম্মত হলেও এখনো গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি। উভয় পক্ষ আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কাতার বলেছে, কখন থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে সেটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো হবে।
কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে কী হবে:
এটি পরিষ্কার যে, কোনো পক্ষ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে যুদ্ধ আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। যেখানে ইসরায়েল গাজার ভূমি থেকে সৈন্য ও যুদ্ধযান প্রত্যাহার করে নিচ্ছে না। অক্টোবরের শেষের দিকে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর সেখানে বর্তমানে যেসব সৈন্য, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় সেগুলো সেখানেই থাকছে।
এরপর কী হবে?
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আপিল করার জন্য ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ২৪ ঘণ্টার সময় পাবে। এই সময়ের পরই প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার মানে এটি ঘটতে পারে আগামীকাল বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার।
তবে এ নিয়ে অনেকেই আশাবাদী। যেমন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো জেমস ডরিস বলছেন, হামাস-ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে ভবিষ্যৎ জটিল ও কঠিন আলোচনা শুরুর প্রথম ধাপ হতে পারে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এমনটিই আশা করছে। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির পথে এটিকে একটি অগ্রগতি হিসেবেই দেখছে দেশটি।
জেমস ডরসি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নানামুখী চাপের মধ্যে রয়েছেন। একদিকে অভ্যন্তরীণ চাপ—দ্রুত জিম্মিদের মুক্ত করে আনা এবং অপর পক্ষে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপ।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের আগে পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারে ৫ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন। আর ৭ অক্টোবরের পর ৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করে নিয়ে গেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ১৪৫টি শিশু, ৯৫ জন নারী এবং ৩৭ জন সাংবাদিক।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। নিহত হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। অবশেষে দুই পক্ষ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের ভেতর প্রবেশ করে হামলা এবং ১ হাজার ২০০ জনকে অপহরণ করে আনে হামাস। এরপর গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া প্রায় ১৭ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে আসলে কী পেতে যাচ্ছে দুই পক্ষ?
যেসব বিষয়ে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল:
১. উভয় পক্ষ চার দিনের যুদ্ধবিরতি দিতে সম্মত হয়েছে।
২. গত ৭ অক্টোবর অপহৃতদের মধ্যে বর্তমানে হাতে থাকা ২৩৭ জনের মধ্যে ৫০ নারী ও শিশুকে ছেড়ে দেবে হামাস।
৩. বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের জেল থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে।
৪. কাতার জানিয়েছে, এই সাময়িক বিরতির মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ নির্বিঘ্ন হবে।
৫. ইসরায়েল বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চার দিন থেকে আরও বাড়াতে প্রস্তুত। প্রতি ১০ জন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে তারা এক দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়াতে রাজি।
৬. তবে যুদ্ধবিরতি যদি বাড়ানো হয় তাহলে ইসরায়েল আরও ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে কি না সেটি পরিষ্কার নয়।
যেভাবে সম্ভব হলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি:
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও দূতিয়ালির পাশাপাশি কাতার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গেও এ নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুই পক্ষ ছিল মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষকে সম্মত করতে পারায় কাতার ও মিসরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সঙ্গে জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে নেতানিয়াহু পরিষ্কার করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মানে এই নয় যে ইসরায়েল তার লক্ষ্য থেকে সরে আসছে। গাজায় যুদ্ধ শুধু সাময়িকভাবেই বন্ধ থাকবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে কি?
উভয় পক্ষ সম্মত হলেও এখনো গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি। উভয় পক্ষ আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কাতার বলেছে, কখন থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে সেটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো হবে।
কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে কী হবে:
এটি পরিষ্কার যে, কোনো পক্ষ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে যুদ্ধ আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। যেখানে ইসরায়েল গাজার ভূমি থেকে সৈন্য ও যুদ্ধযান প্রত্যাহার করে নিচ্ছে না। অক্টোবরের শেষের দিকে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর সেখানে বর্তমানে যেসব সৈন্য, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় সেগুলো সেখানেই থাকছে।
এরপর কী হবে?
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আপিল করার জন্য ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ২৪ ঘণ্টার সময় পাবে। এই সময়ের পরই প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার মানে এটি ঘটতে পারে আগামীকাল বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার।
তবে এ নিয়ে অনেকেই আশাবাদী। যেমন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো জেমস ডরিস বলছেন, হামাস-ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে ভবিষ্যৎ জটিল ও কঠিন আলোচনা শুরুর প্রথম ধাপ হতে পারে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এমনটিই আশা করছে। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির পথে এটিকে একটি অগ্রগতি হিসেবেই দেখছে দেশটি।
জেমস ডরসি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নানামুখী চাপের মধ্যে রয়েছেন। একদিকে অভ্যন্তরীণ চাপ—দ্রুত জিম্মিদের মুক্ত করে আনা এবং অপর পক্ষে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপ।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের আগে পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারে ৫ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন। আর ৭ অক্টোবরের পর ৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করে নিয়ে গেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ১৪৫টি শিশু, ৯৫ জন নারী এবং ৩৭ জন সাংবাদিক।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে নতুন হাইপারসনিক ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ, রাশিয়া ইউক্রেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাবে।
১০ মিনিট আগেএকজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
১০ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১০ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
১১ ঘণ্টা আগে