অনলাইন ডেস্ক
গাজার চলমান সংঘাতের ফলে সেখানে বসবাসরত শিশুদের মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব পড়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গাজায় বসবাসকারী ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে তাদের ‘মৃত্যু অতি সন্নিকটে’। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু, বিশেষত ছেলেরা (৭২ শতাংশ) তাদের মৃত্যু কামনা করছে। এই পরিসংখ্যানটি গাজার শিশুমনের ভয়াবহ অবস্থা এবং যুদ্ধে তাদের প্রতি চলমান মানসিক আঘাতের দিকটিকে প্রতিফলিত করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্সে’র সহায়তায় গাজার একটি স্থানীয় এনজিও এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। এনজিওটি প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন বা ‘নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ জরিপের মাধ্যমে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯২ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, তারা ‘বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছে না’। অর্থাৎ তারা তাদের বর্তমান পরিস্থিতি গ্রহণ করতে অক্ষম। ৭৯ শতাংশ শিশু রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে এবং ৭৩ শতাংশ শিশুর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের লক্ষণ দেখা গেছে।
ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্স ইউকে’র প্রধান নির্বাহী হেলেন প্যাটিনসন বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, শিশুদের থাকার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক স্থানগুলির একটি গাজা। হাসপাতাল, স্কুল এবং বাড়িঘরের মতো মৌলিক অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি, গাজার শিশুদের মানসিক অবস্থা গুরুতর আঘাতের শিকার। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে চরমভাবে প্রভাব ফেলছে।’
জরিপটি গাজার ৫০৪ টি পরিবারের ৫০৪ জন শিশুর ওপর পরিচালিত হয়। যেখানে প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন শারীরিকভাবে অক্ষম, আহত বা একা শিশু আছে। শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই হতাশ, উদ্বিগ্ন এবং মানসিক চাপের শিকার। শিশুদের এই অবস্থা শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই তাদের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গাজায় চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৮০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশু ৪২ শতাংশ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি শিশুদের মানসিক অবস্থা আরও জটিল করছে। তবে এই শিশুরা শুধু শারীরিক ও মানসিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, গাজার শিশুদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা খুবই গুরুতর। গাজার প্রায় ১.৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু, যারা তাদের বাড়ি এবং প্রতিবেশী এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।
এ ছাড়া ৬০ শতাংশ শিশু ঘর-বাড়ি, স্কুলে বোমা হামলার দৃশ্য, প্রিয়জনদের হারানো, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক আঘাতের মাধ্যমে ট্রমার শিকার হয়েছে। এই ধরনের অভিজ্ঞতাগুলি তাদের মস্তিষ্কে গভীর মানসিক ক্ষত রেখে যাচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ আচরণ এবং সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
গবেষণায় আরও জানা গেছে, গাজার প্রায় ১৭,০০০ শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই শোষণ, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে আছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই অবস্থায় থাকা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে শোষণের শিকার হতে পারে।
ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত গাজার ১৭ হাজার শিশুকে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করেছে। তবে তারা ভবিষ্যতে এক মিলিয়ন শিশুকে মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক সহায়তা দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য হল এই তিন দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা প্রদান করা।
হেলেন প্যাটিনসন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে, আমরা যে মানসিক বিপর্যয় দেখছি তা যেন বহু প্রজন্মের ট্রমায় পরিণত না হয়।’
এই গবেষণায় গাজার শিশুদের বর্তমান মানসিক অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই ধরনের মানসিক বিপর্যয় শুধুমাত্র গাজার শিশুদের ওপর নয় বরং পুরো অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।
গাজার চলমান সংঘাতের ফলে সেখানে বসবাসরত শিশুদের মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব পড়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গাজায় বসবাসকারী ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে তাদের ‘মৃত্যু অতি সন্নিকটে’। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু, বিশেষত ছেলেরা (৭২ শতাংশ) তাদের মৃত্যু কামনা করছে। এই পরিসংখ্যানটি গাজার শিশুমনের ভয়াবহ অবস্থা এবং যুদ্ধে তাদের প্রতি চলমান মানসিক আঘাতের দিকটিকে প্রতিফলিত করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্সে’র সহায়তায় গাজার একটি স্থানীয় এনজিও এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। এনজিওটি প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন বা ‘নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ জরিপের মাধ্যমে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯২ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, তারা ‘বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছে না’। অর্থাৎ তারা তাদের বর্তমান পরিস্থিতি গ্রহণ করতে অক্ষম। ৭৯ শতাংশ শিশু রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে এবং ৭৩ শতাংশ শিশুর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের লক্ষণ দেখা গেছে।
ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্স ইউকে’র প্রধান নির্বাহী হেলেন প্যাটিনসন বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, শিশুদের থাকার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক স্থানগুলির একটি গাজা। হাসপাতাল, স্কুল এবং বাড়িঘরের মতো মৌলিক অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি, গাজার শিশুদের মানসিক অবস্থা গুরুতর আঘাতের শিকার। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে চরমভাবে প্রভাব ফেলছে।’
জরিপটি গাজার ৫০৪ টি পরিবারের ৫০৪ জন শিশুর ওপর পরিচালিত হয়। যেখানে প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন শারীরিকভাবে অক্ষম, আহত বা একা শিশু আছে। শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই হতাশ, উদ্বিগ্ন এবং মানসিক চাপের শিকার। শিশুদের এই অবস্থা শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই তাদের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গাজায় চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৮০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশু ৪২ শতাংশ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি শিশুদের মানসিক অবস্থা আরও জটিল করছে। তবে এই শিশুরা শুধু শারীরিক ও মানসিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, গাজার শিশুদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা খুবই গুরুতর। গাজার প্রায় ১.৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু, যারা তাদের বাড়ি এবং প্রতিবেশী এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।
এ ছাড়া ৬০ শতাংশ শিশু ঘর-বাড়ি, স্কুলে বোমা হামলার দৃশ্য, প্রিয়জনদের হারানো, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক আঘাতের মাধ্যমে ট্রমার শিকার হয়েছে। এই ধরনের অভিজ্ঞতাগুলি তাদের মস্তিষ্কে গভীর মানসিক ক্ষত রেখে যাচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ আচরণ এবং সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
গবেষণায় আরও জানা গেছে, গাজার প্রায় ১৭,০০০ শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই শোষণ, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে আছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই অবস্থায় থাকা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে শোষণের শিকার হতে পারে।
ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত গাজার ১৭ হাজার শিশুকে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করেছে। তবে তারা ভবিষ্যতে এক মিলিয়ন শিশুকে মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক সহায়তা দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য হল এই তিন দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা প্রদান করা।
হেলেন প্যাটিনসন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে, আমরা যে মানসিক বিপর্যয় দেখছি তা যেন বহু প্রজন্মের ট্রমায় পরিণত না হয়।’
এই গবেষণায় গাজার শিশুদের বর্তমান মানসিক অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই ধরনের মানসিক বিপর্যয় শুধুমাত্র গাজার শিশুদের ওপর নয় বরং পুরো অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোগ্য পণ্যের বাজারে মূল্যস্ফীতি চলছে বেশ কিছু দিন হলো। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই সহনীয় হয়ে এলেও দেশটির ডিমের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। আর এই বাজার নিয়ন্ত্রণে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়া গেছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এই সফরের আগে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ৬টি জ্যান্ত হাতি উপহার দেন। বৈঠকে এই উপহার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পুতিন। তবে বিশ্লেষকেরা এই ‘হস্তী কূটনীতিকে’ ব্যয়বহুল প্রকল্পের কূটনীতির স্মারক হিসেবে...
২ ঘণ্টা আগেআরব বিশ্বের দেশগুলোর নেতারা ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের
২ ঘণ্টা আগে‘অবৈধ বিক্ষোভ’ করবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, সেসব স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবে ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে এ তথ্য। গতকাল মঙ্গলবার নিজের সামাজিক মাধ্যম...
৩ ঘণ্টা আগে