Ajker Patrika

রাফাহে অভিযানের অনুমতি দিয়ে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠালেন নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯: ৫২
রাফাহে অভিযানের অনুমতি দিয়ে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠালেন নেতানিয়াহু

গাজার সর্বদক্ষিণের অঞ্চল রাফাহে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। এবার সেই রাফাহে অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্যও প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই রাফাহে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) রাফাহে অভিযান চালানো এবং সেখান থেকে (বেসামরিক) লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ 
 
এর আগে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চেয়ে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে। তবে সেই প্রস্তাবকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু। 

হামাসের শান্তি বা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন নেতানিয়াহু। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল দোহার উদ্দেশ্যে ইসরায়েল ত্যাগ করেছে। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজও ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের দোহা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘোষণার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হামাস উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধিদল দেশ ত্যাগ করেছে। 

মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান শুরুর আগেই অন্তত ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে কয়েক দফা বৈঠকও হয়। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। এ কারণে রোজার মধ্যেও গাজায় চলছে ইসরায়েলি হামলা। এখন আবার রাফাহে অভিযান চালানোর অনুমতি দেওয়ায় গাজার পরিস্থিতি আরও নারকীয় হয়ে উঠবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। 

গাজায় কেবল যুদ্ধাস্ত্রের আঘাতেই মানুষ মারা যাচ্ছে বিষয়টি সেরকম নয়। ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ায় অঞ্চলটিতে নীরব দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষুধা, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে ২৩ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অঞ্চলটির গর্ভবতী নারীরা না খেয়ে থাকছেন। নেই কোনো চিকিৎসাসেবা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার অধিকাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও হাসপাতাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত