অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে আদেশটিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাহী আদেশটিতে স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্প বলেন, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু সেই অনুপাতে জাতীয় পরীক্ষাগুলোর ফলাফলে কোনো উন্নতি হয়নি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই লিন্ডা ম্যাকমোহন হোক যুক্তরাষ্ট্রের শেষ শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কাজে আসছে না। যত দ্রুত সম্ভব এটি বিলুপ্ত করতে সব আইনি পদক্ষেপ নেবে আমার প্রশাসন।’ এ সময় শিক্ষামন্ত্রী পাশেই ছিলেন এবং হাসিমুখেই ট্রাম্পের বক্তব্যে সম্মতি দেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শিক্ষা বিভাগ বন্ধে তোড়জোড় করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। খুব শিগগিরই যে নির্বাহী আদেশ আসতে যাচ্ছে, তা অনুমেয়ই ছিল। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর মন্ত্রণালয়টি বিলুপ্ত করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা গ্রহণের দায়িত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবেই শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বর্তায়।
ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের আগেই মন্ত্রণালয়টির ক্ষমতা খর্ব করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর প্রশাসন। বহু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে অসংখ্য অনুদান ও চুক্তি। ১৯৮০-এর দশকে রিপাবলিকানদের মধ্যে শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্তের ধারণাটি আলোচিত হয়েছিল। সম্প্রতি ট্রাম্পপন্থী রক্ষণশীলদের তৎপরতায় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই আলাপ। বাইডেনের আমলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্তের চেষ্টা করেছেন রিপাবলিকান সিনেটররা।
বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের নজিরবিহীন পদক্ষেপ দেশটির রাজ্য সরকার তো বটেই, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। এই আদেশের ব্যাপক সমালোচনা করছেন ডেমোক্র্যাটরাও। তাঁদের ভাষ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত হলে হুমকির মুখে পড়বে লাখ লাখ শিক্ষার্থী। দেশটির কয়েক লাখ দরিদ্র শিক্ষার্থী ফেডারেল তহবিলের ওপর নির্ভরশীল। মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত হলে তাদের শিক্ষাগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা।
উল্লেখ্য, শিক্ষা বিভাগের বাজেটের একটি বড় অংশ ফেডারেল অনুদান ও ঋণ কর্মসূচি নিয়ে গঠিত, এর মধ্যে আছে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা প্রায় ২ হাজার কোটি ডলারের ‘টাইটেল আই’ কর্মসূচি এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ‘আইডিয়া’ কর্মসূচি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই কর্মসূচি এবং ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের ফেডারেল শিক্ষাঋণ কর্মসূচি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্তের নির্বাহী আদেশের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। তবে এটি পরিষ্কার নয় যে, এই কর্মসূচিগুলো যদি বন্ধ না হয় তাহলে প্রশাসনের ব্যয় কীভাবে কমানো যাবে।
ট্রাম্পের এই আদেশকে অসাংবিধানিকও বলছেন কেউ কেউ। কংগ্রেসম্যান ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার সাংবিধানিক ক্ষমতা রাখে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট কেটে তারা শুধু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং নিজেদের চরমপন্থী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।’
এই নির্বাহী আদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের একটি ধাপ, যা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে রাজ্য সরকারের প্রভাব বাড়াতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে আদেশটিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাহী আদেশটিতে স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্প বলেন, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু সেই অনুপাতে জাতীয় পরীক্ষাগুলোর ফলাফলে কোনো উন্নতি হয়নি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই লিন্ডা ম্যাকমোহন হোক যুক্তরাষ্ট্রের শেষ শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কাজে আসছে না। যত দ্রুত সম্ভব এটি বিলুপ্ত করতে সব আইনি পদক্ষেপ নেবে আমার প্রশাসন।’ এ সময় শিক্ষামন্ত্রী পাশেই ছিলেন এবং হাসিমুখেই ট্রাম্পের বক্তব্যে সম্মতি দেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শিক্ষা বিভাগ বন্ধে তোড়জোড় করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। খুব শিগগিরই যে নির্বাহী আদেশ আসতে যাচ্ছে, তা অনুমেয়ই ছিল। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর মন্ত্রণালয়টি বিলুপ্ত করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা গ্রহণের দায়িত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবেই শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বর্তায়।
ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের আগেই মন্ত্রণালয়টির ক্ষমতা খর্ব করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর প্রশাসন। বহু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে অসংখ্য অনুদান ও চুক্তি। ১৯৮০-এর দশকে রিপাবলিকানদের মধ্যে শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্তের ধারণাটি আলোচিত হয়েছিল। সম্প্রতি ট্রাম্পপন্থী রক্ষণশীলদের তৎপরতায় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই আলাপ। বাইডেনের আমলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্তের চেষ্টা করেছেন রিপাবলিকান সিনেটররা।
বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের নজিরবিহীন পদক্ষেপ দেশটির রাজ্য সরকার তো বটেই, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। এই আদেশের ব্যাপক সমালোচনা করছেন ডেমোক্র্যাটরাও। তাঁদের ভাষ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত হলে হুমকির মুখে পড়বে লাখ লাখ শিক্ষার্থী। দেশটির কয়েক লাখ দরিদ্র শিক্ষার্থী ফেডারেল তহবিলের ওপর নির্ভরশীল। মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত হলে তাদের শিক্ষাগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা।
উল্লেখ্য, শিক্ষা বিভাগের বাজেটের একটি বড় অংশ ফেডারেল অনুদান ও ঋণ কর্মসূচি নিয়ে গঠিত, এর মধ্যে আছে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা প্রায় ২ হাজার কোটি ডলারের ‘টাইটেল আই’ কর্মসূচি এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ‘আইডিয়া’ কর্মসূচি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই কর্মসূচি এবং ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের ফেডারেল শিক্ষাঋণ কর্মসূচি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্তের নির্বাহী আদেশের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। তবে এটি পরিষ্কার নয় যে, এই কর্মসূচিগুলো যদি বন্ধ না হয় তাহলে প্রশাসনের ব্যয় কীভাবে কমানো যাবে।
ট্রাম্পের এই আদেশকে অসাংবিধানিকও বলছেন কেউ কেউ। কংগ্রেসম্যান ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার সাংবিধানিক ক্ষমতা রাখে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট কেটে তারা শুধু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং নিজেদের চরমপন্থী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।’
এই নির্বাহী আদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের একটি ধাপ, যা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে রাজ্য সরকারের প্রভাব বাড়াতে চায়।
বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি চীন। বিশেষ করে তাইওয়ানের ওপর বেইজিংয়ের ‘জবরদস্তিমূলক চাপ’ এবং ‘মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত সাইবার অভিযানের’ মতো বিষয়গুলো উদ্বেগজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান হু
১৩ মিনিট আগেইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সময়সূচি ও বিস্তারিত তথ্য ব্যক্তিগত বার্তায় পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। আজ বুধবার মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে চালানো মার্কিন বিমান হামলা শুরুর সময়...
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থীশিবিরের অন্তরালে রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের গুঞ্জন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। হাজার হাজার তরুণ এখন অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে, ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারে। শ্বেতা শর্মা দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন তাঁদের সংগ্রামের কাহিনি।
২ ঘণ্টা আগেভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১১ বছরের এক শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়নকে ধর্ষণের চেষ্টা হিসেবে অস্বীকার করা এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন। বিচারকদের মতে, রায়ে সংবেদনশীলতার অভাব ছিল এবং এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
৩ ঘণ্টা আগে