আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় হয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি তাঁর যাত্রা শুরু হবে। মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রিপাবলিকানদের হাতে।
এ ছাড়া নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ফলের আভাসে দেখা যাচ্ছে, এই কক্ষের নিয়ন্ত্রণও নেবে ট্রাম্পের দল। এ পরিস্থিতিতে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তবে তিনি হাল না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন সমর্থকদের প্রতি।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সিএনএন বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯৫টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছেন। কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি ইলেকটোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন। ট্রাম্পের ঝুলিতে পড়েছে ৭ কোটি ২৭ লাখের বেশি ভোট। আর কমলা পেয়েছেন ৬ কোটি ৮০ লাখের বেশি। যদিও গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত অ্যারিজোনা ও নেভাদার ফলাফল ঘোষণা বাকি ছিল।
গতকাল পর্যন্ত সিনেটের ৫২টি আসন রিপাবলিকানদের দখলে গেছে। ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছেন ৪৪টি আসন। ফল ঘোষণা বাকি চারটির। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অন্তত ৫০টি আসন প্রয়োজন। প্রতিনিধি পরিষদও রিপাবলিকানদের দখলে যাবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রিপাবলিকানরা ২০৮টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ১৮৯টি। ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দলকে অন্তত ২১৮টি আসন পেতে হয়।
এ পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস নিজের পরাজয় স্বীকার করে নেন। অনেক আবেগাক্রান্ত হয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে কথা বলেন তিনি। ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে যদি জায়গা করে নিতে নাও পারেন তারপরও গণতন্ত্রের লড়াই চালিয়ে যাবেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, কমলা বলেন, ‘আমি নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করছি। তবে আমার নির্বাচনী প্রচারে যে লড়াই শুরু হয়েছে, সেই লড়াইয়ে হারব না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যত দিন হতাশ না হবো, আমরা যত দিন লড়াই চালিয়ে যাব—যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির আলো তত দিন জ্বলবে।’
নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে দলের অভ্যন্তরীণ চাপ এবং সমালোচনার মুখে সরে যেতে বাধ্য হন বাইডেন। এরপর প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন কমলা। নির্বাচন ১০৭ দিন প্রচার চালিয়ে হেরে গেলেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে নিজের নির্বাচনী প্রচারশিবিরের শেষ ভাষণটি দিলেন তিনি।
ভাষণ দেওয়ার সময় কমলার সমর্থকদের বেশির ভাগের চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। এ সময় তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রাপ্য মর্যাদার জন্য লড়াই করুন।’ তিনি নারী অধিকার ও বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
কমলা আরও বলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ভাষণে অবশ্য ট্রাম্পকে খানিকটা খোঁচাও দিয়েছেন কমলা। ২০২০ সালের নির্বাচনের পর জো বাইডেন জয়ের স্বীকৃতি দিতে বলা কংগ্রেসের অধিবেশনে বাধা দেওয়া এবং নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে না থাকার বিষয়টিও যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন কমলা। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মূলনীতি হলো, আমরা নির্বাচনে হেরে গেলে সে ফলাফল মেনে নিই। এই মূলনীতি একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রকে আলাদা করে। আর কেউ যদি জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে চায়, তবে সেটির প্রতি তাঁকে অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকবে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় হয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি তাঁর যাত্রা শুরু হবে। মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রিপাবলিকানদের হাতে।
এ ছাড়া নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ফলের আভাসে দেখা যাচ্ছে, এই কক্ষের নিয়ন্ত্রণও নেবে ট্রাম্পের দল। এ পরিস্থিতিতে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তবে তিনি হাল না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন সমর্থকদের প্রতি।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সিএনএন বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯৫টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছেন। কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি ইলেকটোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন। ট্রাম্পের ঝুলিতে পড়েছে ৭ কোটি ২৭ লাখের বেশি ভোট। আর কমলা পেয়েছেন ৬ কোটি ৮০ লাখের বেশি। যদিও গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত অ্যারিজোনা ও নেভাদার ফলাফল ঘোষণা বাকি ছিল।
গতকাল পর্যন্ত সিনেটের ৫২টি আসন রিপাবলিকানদের দখলে গেছে। ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছেন ৪৪টি আসন। ফল ঘোষণা বাকি চারটির। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অন্তত ৫০টি আসন প্রয়োজন। প্রতিনিধি পরিষদও রিপাবলিকানদের দখলে যাবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রিপাবলিকানরা ২০৮টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ১৮৯টি। ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দলকে অন্তত ২১৮টি আসন পেতে হয়।
এ পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস নিজের পরাজয় স্বীকার করে নেন। অনেক আবেগাক্রান্ত হয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে কথা বলেন তিনি। ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে যদি জায়গা করে নিতে নাও পারেন তারপরও গণতন্ত্রের লড়াই চালিয়ে যাবেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, কমলা বলেন, ‘আমি নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করছি। তবে আমার নির্বাচনী প্রচারে যে লড়াই শুরু হয়েছে, সেই লড়াইয়ে হারব না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যত দিন হতাশ না হবো, আমরা যত দিন লড়াই চালিয়ে যাব—যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির আলো তত দিন জ্বলবে।’
নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে দলের অভ্যন্তরীণ চাপ এবং সমালোচনার মুখে সরে যেতে বাধ্য হন বাইডেন। এরপর প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন কমলা। নির্বাচন ১০৭ দিন প্রচার চালিয়ে হেরে গেলেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে নিজের নির্বাচনী প্রচারশিবিরের শেষ ভাষণটি দিলেন তিনি।
ভাষণ দেওয়ার সময় কমলার সমর্থকদের বেশির ভাগের চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। এ সময় তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রাপ্য মর্যাদার জন্য লড়াই করুন।’ তিনি নারী অধিকার ও বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
কমলা আরও বলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ভাষণে অবশ্য ট্রাম্পকে খানিকটা খোঁচাও দিয়েছেন কমলা। ২০২০ সালের নির্বাচনের পর জো বাইডেন জয়ের স্বীকৃতি দিতে বলা কংগ্রেসের অধিবেশনে বাধা দেওয়া এবং নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে না থাকার বিষয়টিও যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন কমলা। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মূলনীতি হলো, আমরা নির্বাচনে হেরে গেলে সে ফলাফল মেনে নিই। এই মূলনীতি একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রকে আলাদা করে। আর কেউ যদি জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে চায়, তবে সেটির প্রতি তাঁকে অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকবে হবে।’
তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির অঞ্চলের একটি জেলা সেফেরিহিসার। এই জেলারই একটি থিয়েটার গ্রুপের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন স্থানীয় কিছু নারী। তাঁরা আবিষ্কার করেছেন, শিল্পের শক্তির ভেতরেই লুকিয়ে আছে আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়া।
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছেন পুতিনকে কোনো ছাড় দেওয়ার ধারণা ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য। ছাড় দেওয়া হলে পুরো বিষয়টি ইউরোপের জন্য আত্মহত্যার শামিল হবে বলেও মনে করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যে ‘কো-অপ’ নামে একটি সুপারশপে প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ৩ পাউন্ড বেতনে কাজ করতেন ক্যালি রজার্স। সেই সময়টিতে তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর। আর এই বয়সেই কি-না তিনি জিতে নিয়েছিলেন একটি ব্রিটিশ জ্যাকপট! এর ফলে সবচেয়ে কম বয়সী লটারি বিজয়ী হিসেবে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় আবারও নিন্দা জানিয়েছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নয়াদিল্লির সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে