রুশ যুদ্ধবিমানের আঘাতে মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত, ওয়াশিংটনে উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩, ০১: ১৬
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১: ৪০

কৃষ্ণসাগরের ওপরের আকাশে একটি মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে রুশ যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, রুশ জেটের সঙ্গে মানববিহীন মার্কিন ড্রোনের সংঘর্ষের পর ড্রোনটি কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। 

এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছে, কৃষ্ণসাগরের ওপরে রাশিয়ার জেট এবং মার্কিন ড্রোনের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমনকি দুই আকাশযান পরস্পরের সংস্পর্শেই যায়নি!

মার্কিন ইউরোপীয় কমান্ড মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) গ্রিনিচ মান সময় ৬টা ৩ মিনিটে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে ‘রুশদের একটি অ-পেশাদার কাজ’ বলে আখ্যায়িত করেছে। দুর্ঘটনার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছে তারা। এতে রাশিয়ার জেটটিও বিধ্বস্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় কৃষ্ণসাগরে ড্রোন বিধ্বস্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন কর্মকর্তারা। এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ স্থানীয় সময় বিকেলে মার্কিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী পশ্চিমাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়নি। তবে এ ঘটনা নিশ্চিতভাবেই সংঘর্ষের সবচেয়ে কাছাকাছি এনে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

পেন্টাগন বলছে, রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সু-২৭ ফ্ল্যাংকার ফাইটার জেট উত্তর কৃষ্ণসাগরের ওপর ব্যস্ত আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় একটি মনুষ্যবিহীন মার্কিন মিলিটারি রিপার ড্রোনের প্রপেলারে আঘাত করে। পরক্ষণেই ড্রোনটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়। 

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এ ঘটনাকে ‘বেপরোয়া এবং অপেশাদার’ বলে বর্ণনা করেছেন। 

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ড বলছে, সোভিয়েত যুগের এক জোড়া ফাইটার জেট আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় নজরদারির কাজে নিযুক্ত ড্রোনটির পথ রোধ করে এবং এর ওপর জ্বালানি ফেলে। ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এটিকে সমুদ্রে নামানো ছাড়া উপায় ছিল না। 

রাশিয়া ও পশ্চিমা বাহিনী প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা এড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। সিরিয়ায় বেশ কয়েকবার এমন ঘটেছে। তবে সর্বশেষ ঘটনাটি মস্কো ও পশ্চিমের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈরী সম্পর্কের আরেকটি বড় ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত