রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন শাহাজাহান আলী মিলন। সম্প্রতি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১৭তম (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই মিলন বিজেএস পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন। তাঁর বিজেএস জয়ের অভিজ্ঞতা ও নতুনদের জন্য পরামর্শ শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
শাহ বিলিয়া জুলফিকার
মিলনের মা-বাবা সংসার চালানোর জন্য প্রতিদিন পরিশ্রম করতেন। এমন একটি সংগ্রামী পরিবারে মিলন বড় হয়েছেন। ছোটবেলা থেকে তিনি অনুভব করতেন, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন হবে। এ কারণে তিনি নিজের সফলতার জন্য আইন পেশাকে বেছে নিয়েছেন। সমাজে বিচারকদের প্রতি যে সম্মান, সেটিই তাঁকে জজ হতে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে।
নিজের সাফল্যের পেছনে মিলন তাঁর বাবা রবিউল ইসলামের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাবা চা-বিক্রি করে আমাকে মানুষের মতো মানুষ বানিয়েছেন। চা-বিক্রি করতে তিনি প্রতিদিন ভোরে বাসা থেকে বের হতেন। অন্য দোকানিরা দুপুরে কাজে বিরতি নিলেও বাবা তা করতেন না। সারা দিন চা-বিক্রি করে রাতে বাসায় ফিরতেন। আমার মায়েরও অনেক অবদান রয়েছে। তাঁরা সব সময় বলতেন, আমি যেন নিয়মিত পড়াশোনা করি। আর পড়াশোনা না করলে আমারও তাঁদের মতো পরিশ্রম করতে হবে বলে মাঝেমধ্যে ভয় দেখাতেন।’
মিলন বলেন, বাবা আমার জন্য বাইরে পরিশ্রম করেছেন। আর আমি দিনরাত এক করে পড়েছি। তবে মা-বাবা আমার জন্য যা করেছেন, তাঁদের পরিশ্রমের কথা ভাবলে আমার এটুকু চেষ্টা অতি সামান্যই মনে হয়। আমার সাফল্যের খবরে তাঁরা দুজনে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন। আশা করছি, আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে পরিবারের হাল ধরতে পারব। মা-বাবার দুঃখ-কষ্ট এবার কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন
ফোর্থ ইয়ারের শুরুতেই মিলন সিদ্ধান্ত নেন, এবার পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে হবে। পরিকল্পনা ছিল, এই বছরের কোর্সগুলো ভালোভাবে শেষ করার পাশাপাশি গত ইয়ারের বিষয়গুলোকেও নিয়মিত রিভিশনে রাখা। যদিও ব্যস্ততার কারণে আগের কোর্সগুলোর দিকে তেমন নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি, তবে ফোর্থ ইয়ারের পড়াগুলো তিনি মনোযোগ দিয়ে শেষ করতে পেরেছিল। ফলে CPC, CrPC, Evidence, Penal Code—এসব গুরুত্বপূর্ণ আইনের ওপর তাঁর আগে থেকেই ভালো দখল তৈরি হয়।
প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা প্রস্তুতি
মিলনের প্রস্তুতির মূল ভিত্তি ছিল বেয়ার অ্যাক্টভিত্তিক পড়াশোনা। প্রতিটি আইন প্রথমে বেয়ার অ্যাক্ট থেকে ভালোভাবে শেষ করতেন তিনি। এরপর সেই একই বিষয় অ্যাকাডেমিক রেফারেন্স বই থেকে গভীরভাবে অধ্যয়ন করতেন, যাতে বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং আদালতের দৃষ্টিভঙ্গি ভালোভাবে বোঝা যায়। পাশাপাশি সহায়ক হিসেবে প্রিলি মাস্টার ও আইন পাঠ থেকে নিয়মিত পড়তেন, যা তাঁর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করেছিল।
রিটেন প্রস্তুতি: লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে মিলন পড়াশোনার সময় মাথায় রাখতেন, উত্তর কীভাবে লিখতে হবে। প্রতিটি আইনের বিষয়বস্তু প্রথমে বেয়ার অ্যাক্ট থেকে বোঝার পর, রেফারেন্স বই থেকে তার বিশদ ব্যাখ্যা বুঝতেন। সাজানো-গোছানো উত্তর কাঠামো তৈরির জন্য নিয়মিত উত্তর লেখার অনুশীলন করতেন, যেন পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিপূর্ণ উত্তর দিতে পারেন।
ভাইভা প্রস্তুতি: ভাইভা পরীক্ষার জন্য মিলনের প্রস্তুতি ছিল আত্মবিশ্বাস এবং বিশদ জ্ঞান তৈরির ওপর ভিত্তি করে। তিনি আইনের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি সমসাময়িক আইনি ইস্যুগুলো সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করতেন। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে নিজের পড়া বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করার অভ্যাস গড়ে তোলেন। তাঁর প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল—সরাসরি আইনগত ভাষায় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং বিনয়ের সঙ্গে যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
মিলন জানান, আইনের বিশালতা দেখে ভয় না পেয়ে গোছানোভাবে পড়তে হবে, যাতে শুরু থেকেই সঠিক দিকনির্দেশনা মেলে। প্রিলি পরীক্ষায় সফল হতে হলে গুরুত্বপূর্ণ সেকশন ও অধ্যায় দাগিয়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এলোমেলোভাবে পড়লে বিষয়গুলো জটিল মনে হতে পারে, তাই পরিকল্পিত উপায়ে অধ্যয়ন করাই উত্তম।
মিলনের মা-বাবা সংসার চালানোর জন্য প্রতিদিন পরিশ্রম করতেন। এমন একটি সংগ্রামী পরিবারে মিলন বড় হয়েছেন। ছোটবেলা থেকে তিনি অনুভব করতেন, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন হবে। এ কারণে তিনি নিজের সফলতার জন্য আইন পেশাকে বেছে নিয়েছেন। সমাজে বিচারকদের প্রতি যে সম্মান, সেটিই তাঁকে জজ হতে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে।
নিজের সাফল্যের পেছনে মিলন তাঁর বাবা রবিউল ইসলামের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাবা চা-বিক্রি করে আমাকে মানুষের মতো মানুষ বানিয়েছেন। চা-বিক্রি করতে তিনি প্রতিদিন ভোরে বাসা থেকে বের হতেন। অন্য দোকানিরা দুপুরে কাজে বিরতি নিলেও বাবা তা করতেন না। সারা দিন চা-বিক্রি করে রাতে বাসায় ফিরতেন। আমার মায়েরও অনেক অবদান রয়েছে। তাঁরা সব সময় বলতেন, আমি যেন নিয়মিত পড়াশোনা করি। আর পড়াশোনা না করলে আমারও তাঁদের মতো পরিশ্রম করতে হবে বলে মাঝেমধ্যে ভয় দেখাতেন।’
মিলন বলেন, বাবা আমার জন্য বাইরে পরিশ্রম করেছেন। আর আমি দিনরাত এক করে পড়েছি। তবে মা-বাবা আমার জন্য যা করেছেন, তাঁদের পরিশ্রমের কথা ভাবলে আমার এটুকু চেষ্টা অতি সামান্যই মনে হয়। আমার সাফল্যের খবরে তাঁরা দুজনে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন। আশা করছি, আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে পরিবারের হাল ধরতে পারব। মা-বাবার দুঃখ-কষ্ট এবার কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন
ফোর্থ ইয়ারের শুরুতেই মিলন সিদ্ধান্ত নেন, এবার পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে হবে। পরিকল্পনা ছিল, এই বছরের কোর্সগুলো ভালোভাবে শেষ করার পাশাপাশি গত ইয়ারের বিষয়গুলোকেও নিয়মিত রিভিশনে রাখা। যদিও ব্যস্ততার কারণে আগের কোর্সগুলোর দিকে তেমন নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি, তবে ফোর্থ ইয়ারের পড়াগুলো তিনি মনোযোগ দিয়ে শেষ করতে পেরেছিল। ফলে CPC, CrPC, Evidence, Penal Code—এসব গুরুত্বপূর্ণ আইনের ওপর তাঁর আগে থেকেই ভালো দখল তৈরি হয়।
প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা প্রস্তুতি
মিলনের প্রস্তুতির মূল ভিত্তি ছিল বেয়ার অ্যাক্টভিত্তিক পড়াশোনা। প্রতিটি আইন প্রথমে বেয়ার অ্যাক্ট থেকে ভালোভাবে শেষ করতেন তিনি। এরপর সেই একই বিষয় অ্যাকাডেমিক রেফারেন্স বই থেকে গভীরভাবে অধ্যয়ন করতেন, যাতে বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং আদালতের দৃষ্টিভঙ্গি ভালোভাবে বোঝা যায়। পাশাপাশি সহায়ক হিসেবে প্রিলি মাস্টার ও আইন পাঠ থেকে নিয়মিত পড়তেন, যা তাঁর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করেছিল।
রিটেন প্রস্তুতি: লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে মিলন পড়াশোনার সময় মাথায় রাখতেন, উত্তর কীভাবে লিখতে হবে। প্রতিটি আইনের বিষয়বস্তু প্রথমে বেয়ার অ্যাক্ট থেকে বোঝার পর, রেফারেন্স বই থেকে তার বিশদ ব্যাখ্যা বুঝতেন। সাজানো-গোছানো উত্তর কাঠামো তৈরির জন্য নিয়মিত উত্তর লেখার অনুশীলন করতেন, যেন পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিপূর্ণ উত্তর দিতে পারেন।
ভাইভা প্রস্তুতি: ভাইভা পরীক্ষার জন্য মিলনের প্রস্তুতি ছিল আত্মবিশ্বাস এবং বিশদ জ্ঞান তৈরির ওপর ভিত্তি করে। তিনি আইনের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি সমসাময়িক আইনি ইস্যুগুলো সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করতেন। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে নিজের পড়া বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করার অভ্যাস গড়ে তোলেন। তাঁর প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল—সরাসরি আইনগত ভাষায় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং বিনয়ের সঙ্গে যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
মিলন জানান, আইনের বিশালতা দেখে ভয় না পেয়ে গোছানোভাবে পড়তে হবে, যাতে শুরু থেকেই সঠিক দিকনির্দেশনা মেলে। প্রিলি পরীক্ষায় সফল হতে হলে গুরুত্বপূর্ণ সেকশন ও অধ্যায় দাগিয়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এলোমেলোভাবে পড়লে বিষয়গুলো জটিল মনে হতে পারে, তাই পরিকল্পিত উপায়ে অধ্যয়ন করাই উত্তম।
সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অধিদপ্তরের ৫ ধরনের শূন্য পদে মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সেলস বিভাগের একটি পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেআইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ ধরনের শূন্য পদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে অপারেটর/ সুপারভাইজারের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগে