প্রিলিমিনারির মতো লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও বিগত বিজেএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে হবে। এতে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়।
বাংলা ও ইংরেজিতে বিশেষ নজর
লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজিতে ৪০ করে মোট ৮০ নম্বর আসে ব্যাকরণ ও সাহিত্যসংক্রান্ত প্রশ্ন থেকে। এ অংশে পুরো নম্বর তোলা সম্ভব, যদি প্রস্তুতি যথাযথ হয়। সাহিত্যের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারির বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের যেকোনো একটি করে বই পড়া যেতে পারে। ব্যাকরণ অংশের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ব্যাকরণ বই সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। বাংলা ও ইংরেজির বাকি ১২০ নম্বর রচনামূলক লেখার জন্য বরাদ্দ থাকে। এ অংশের জন্য কোনো কিছু মুখস্থ না করে রচনা, আবেদনপত্র, ভাব সম্প্রসারণ প্রভৃতির ফরম্যাট দেখে রাখা যেতে পারে। আর তথ্য-উপাত্তের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তে হবে।
নিয়মিত পত্রিকা পড়া
নিয়মিত পত্রিকা পড়লে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানা যায়। পত্রিকায় শিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক পাতাগুলো পড়া যেতে পারে। যেগুলো বিজেএসসহ বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় সহায়ক হয়। উল্লেখ্য, লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বরাদ্দ নম্বর ১০০।
গণিত বুঝে পড়া
গণিতের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫০ নম্বর। গণিতে ভালো করতে হলে বুঝে পড়া ও নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস দেখে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো যেকোনো ভালো প্রকাশনীর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার একটি গণিত বই অনুসরণ করা যেতে পারে।
বিজ্ঞান ও কম্পিউটার
বিজ্ঞান ও কম্পিউটার অংশে ২৫টি ২ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। কোনো বিকল্প থাকে না। এ অংশের জন্য ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই এবং বিসিএস প্রিলিমিনারির বিজ্ঞান ও কম্পিউটারের একটি করে বই পড়লে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
উত্তরাধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শিতা
বিজেএস পরীক্ষায় ১ হাজার নম্বরের মধ্যে আইন অংশের জন্য ৬০০ ও জেনারেল অংশের জন্য ৪০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। আইনের ৬০০ নম্বরের মধ্যে কেবল মুসলিম আইনের উত্তরাধিকারসংক্রান্ত অঙ্কের ২০ এবং হিন্দু আইনের উত্তরাধিকারসংক্রান্ত অঙ্কের ১০ নম্বর, এই ৩০ নম্বরে ৩০ তোলা সম্ভব।
আইনের বাকি অংশের জন্য করণীয় আইন অংশে বাকি ৫৭০ নম্বরের জন্য পূর্ণ নম্বর তোলার সুযোগ নেই, কিন্তু ভালো নম্বর তুলতে কিছু কৌশল অনুসরণ করা যায়। সেগুলো হলো:
ক. বিজেএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে বারবার আসা টপিকগুলোর ওপর জোর দিতে হবে। মূল আইনগুলো কদাচিৎ পরিবর্তন হয়, ফলে দেখা যায়, এসব আইনের কিছু নির্দিষ্ট বিষয় থেকেই বারবার লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে।
খ. মূল আইনগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
গ. যে বিষয়গুলোর উত্তর সরাসরি মূল আইনে পাওয়া যাবে না, কেবল সেগুলো পড়ার জন্য কোনো ভালো বইয়ের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তবে আইন অংশে বেশি নম্বর তুলতে চাইলে মূল আইন পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
ঘ. ঐচ্ছিক আইন বাছাই করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ঐচ্ছিক আইনসংক্রান্ত যে দুটি বিকল্প আছে, সেখান থেকে পুরোনো আইনগুলো বাছাই করা উচিত।
যেগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লিখিত পরীক্ষার ১ হাজার নম্বরের মধ্যে বাংলা-ইংরেজি ব্যাকরণ ও সাহিত্য অংশের ৮০, গণিত-বিজ্ঞানের ১০০, হিন্দু-মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের ৩০ অর্থাৎ ২১০ নম্বরে ২১০ নম্বরই তোলা সম্ভব। সুতরাং এই অংশে গুরুত্ব দিতে হবে। এখানে যত বেশি নম্বর তোলা যাবে, বিচারক হওয়ার দৌড়ে তত এগিয়ে থাকা যাবে।
বেশি নম্বর পাওয়ার চেষ্টা করা
লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫০০। তবে কোনো বিষয়ে ৩০-এর কম নম্বর পেলে তা মোট নম্বরে যুক্ত হয় না। আবার কেবল ৫০০ পাওয়াই বিচারক হওয়ার জন্য যথেষ্ট না। সুতরাং যত বেশি নম্বর পাওয়া যাবে, ততটাই ভালো।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
প্রিলিমিনারির মতো লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও বিগত বিজেএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে হবে। এতে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়।
বাংলা ও ইংরেজিতে বিশেষ নজর
লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজিতে ৪০ করে মোট ৮০ নম্বর আসে ব্যাকরণ ও সাহিত্যসংক্রান্ত প্রশ্ন থেকে। এ অংশে পুরো নম্বর তোলা সম্ভব, যদি প্রস্তুতি যথাযথ হয়। সাহিত্যের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারির বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের যেকোনো একটি করে বই পড়া যেতে পারে। ব্যাকরণ অংশের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ব্যাকরণ বই সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। বাংলা ও ইংরেজির বাকি ১২০ নম্বর রচনামূলক লেখার জন্য বরাদ্দ থাকে। এ অংশের জন্য কোনো কিছু মুখস্থ না করে রচনা, আবেদনপত্র, ভাব সম্প্রসারণ প্রভৃতির ফরম্যাট দেখে রাখা যেতে পারে। আর তথ্য-উপাত্তের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তে হবে।
নিয়মিত পত্রিকা পড়া
নিয়মিত পত্রিকা পড়লে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানা যায়। পত্রিকায় শিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক পাতাগুলো পড়া যেতে পারে। যেগুলো বিজেএসসহ বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় সহায়ক হয়। উল্লেখ্য, লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বরাদ্দ নম্বর ১০০।
গণিত বুঝে পড়া
গণিতের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫০ নম্বর। গণিতে ভালো করতে হলে বুঝে পড়া ও নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস দেখে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো যেকোনো ভালো প্রকাশনীর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার একটি গণিত বই অনুসরণ করা যেতে পারে।
বিজ্ঞান ও কম্পিউটার
বিজ্ঞান ও কম্পিউটার অংশে ২৫টি ২ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। কোনো বিকল্প থাকে না। এ অংশের জন্য ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই এবং বিসিএস প্রিলিমিনারির বিজ্ঞান ও কম্পিউটারের একটি করে বই পড়লে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
উত্তরাধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শিতা
বিজেএস পরীক্ষায় ১ হাজার নম্বরের মধ্যে আইন অংশের জন্য ৬০০ ও জেনারেল অংশের জন্য ৪০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। আইনের ৬০০ নম্বরের মধ্যে কেবল মুসলিম আইনের উত্তরাধিকারসংক্রান্ত অঙ্কের ২০ এবং হিন্দু আইনের উত্তরাধিকারসংক্রান্ত অঙ্কের ১০ নম্বর, এই ৩০ নম্বরে ৩০ তোলা সম্ভব।
আইনের বাকি অংশের জন্য করণীয় আইন অংশে বাকি ৫৭০ নম্বরের জন্য পূর্ণ নম্বর তোলার সুযোগ নেই, কিন্তু ভালো নম্বর তুলতে কিছু কৌশল অনুসরণ করা যায়। সেগুলো হলো:
ক. বিজেএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে বারবার আসা টপিকগুলোর ওপর জোর দিতে হবে। মূল আইনগুলো কদাচিৎ পরিবর্তন হয়, ফলে দেখা যায়, এসব আইনের কিছু নির্দিষ্ট বিষয় থেকেই বারবার লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে।
খ. মূল আইনগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
গ. যে বিষয়গুলোর উত্তর সরাসরি মূল আইনে পাওয়া যাবে না, কেবল সেগুলো পড়ার জন্য কোনো ভালো বইয়ের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তবে আইন অংশে বেশি নম্বর তুলতে চাইলে মূল আইন পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
ঘ. ঐচ্ছিক আইন বাছাই করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ঐচ্ছিক আইনসংক্রান্ত যে দুটি বিকল্প আছে, সেখান থেকে পুরোনো আইনগুলো বাছাই করা উচিত।
যেগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লিখিত পরীক্ষার ১ হাজার নম্বরের মধ্যে বাংলা-ইংরেজি ব্যাকরণ ও সাহিত্য অংশের ৮০, গণিত-বিজ্ঞানের ১০০, হিন্দু-মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের ৩০ অর্থাৎ ২১০ নম্বরে ২১০ নম্বরই তোলা সম্ভব। সুতরাং এই অংশে গুরুত্ব দিতে হবে। এখানে যত বেশি নম্বর তোলা যাবে, বিচারক হওয়ার দৌড়ে তত এগিয়ে থাকা যাবে।
বেশি নম্বর পাওয়ার চেষ্টা করা
লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫০০। তবে কোনো বিষয়ে ৩০-এর কম নম্বর পেলে তা মোট নম্বরে যুক্ত হয় না। আবার কেবল ৫০০ পাওয়াই বিচারক হওয়ার জন্য যথেষ্ট না। সুতরাং যত বেশি নম্বর পাওয়া যাবে, ততটাই ভালো।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
১ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র)-২০২৫ এর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের পদে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে