Ajker Patrika

লক্ষ্য যখন করপোরেট চাকরি

লক্ষ্য যখন করপোরেট চাকরি

অনেক শিক্ষার্থীরই করপোরেট চাকরি বা বেসরকারি ভালো চাকরিতে যোগদানের লক্ষ্য থাকে। যেখানে থাকে মোটা অঙ্কের বেতন আর অফিসের সুন্দর পরিবেশ। তবে এমন স্বপ্ন শুধু দেখলেই হবে না, বাস্তবায়নের জন্য নিতে হবে প্রস্তুতি। আর এ প্রস্তুতি শুরু করতে হবে ছাত্রজীবন থেকেই। করপোরেট চাকরির প্রস্তুতির পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

স্মার্ট হতে হবে
করপোরেট চাকরির জন্য আপনাকে স্মার্ট হতেই হবে। স্মার্ট হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। নিয়োগ দেওয়ার সময় নিয়োগকারী অবশ্যই একজন স্মার্ট মানুষকে পছন্দ করবেন। তবে স্মার্টনেস মানেই কিন্তু শুধু সুন্দর পোশাক আর সুন্দর চেহারা নয়। 

স্মার্ট হতে হলে আপনাকে সব রকম পরিবেশ-পরিস্থিতি মানিয়ে চলার দক্ষতা থাকতে হবে। কোথায় কোন ধরনের পোশাক পরতে হবে, কোথায় কার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে—এগুলো জানতে হবে। তাই ছাত্রজীবন থেকেই স্মার্ট হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

কম্পিউটার দক্ষতা থাকতে হবে
আপনি যে সেক্টরেই চাকরি করেন না কেন আপনাকে কম্পিউটারের ন্যূনতম দক্ষতা থাকতেই হবে। বর্তমান যুগে কম্পিউটারের দক্ষতা ছাড়া চাকরির বাজারে টিকে থাকা কষ্টকর। তাই গড়িমসি না করে আজ থেকেই কম্পিউটারে দক্ষতা বাড়ানো শুরু করুন। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারের দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেখান থেকে চাইলে কোর্স করে নিতে পারেন। তা ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোর্স করেও আপনি দক্ষ হতে পারেন।

নেটওয়ার্কিং বাড়ান
বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্কিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই আপনার কাঙ্ক্ষিত সেক্টরের মানুষের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং গড়ে তুলুন। যার যত ভালো নেটওয়ার্ক রয়েছে, তাঁর চাকরি বা অন্যান্য সুযোগ তত বেশি হাতছানি দেবে। আবার নেটওয়ার্কিং মানেই কিন্তু শুধু মানুষের সঙ্গে পরিচয় থাকা নয় বা সেলফি তোলা নয়। কার্যকর নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হলে নিজকে ভ্যালুয়েবল করতে হবে, দক্ষ করতে হবে। যাতে আপনি যাঁর সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ছেন, তাঁর জীবনে ছোট হলেও যেন কোনো ভ্যালু অ্যাড করতে পারেন। তিনিও আপনাকে মূল্য দেন। তবেই কার্যকর নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে।

আপডেট সিভি লিখুন
বেসরকারি চাকরি বা করপোরেট চাকরিতে আবেদন করতে হলে সিভি জমা দিতে হয়। সিভিটা দেখেই কিন্তু নিয়োগকারী প্রাথমিক বাছাই করে থাকেন। নিয়োগকর্তারা সিভি দেখে আপনার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাও পান। তাই সিভি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিভি লিখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই। প্রত্যেক সেমিস্টারে সিভি আপডেট করতে হবে। আর যখন সিভি আপডেট করবেন তখন বুঝতে পারবেন, আপনার অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট আরেকটু ভালো করা দরকার ছিল না কি না, সিভিতে লেখার মতো অন্যান্য সফলতা দরকার আছে কি না, সহশিক্ষা কার্যক্রম কিছু হচ্ছে কি না—প্রভৃতি বিষয় আপনাকে সিভি আপডেট করার সময় মনে করিয়ে দেবে।

সার্টিফিকেটই শুধু অর্জন নয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অনেকের শুধু অ্যাকাডেমিক দু-একটা সার্টিফিকেট অর্জন হয়। এর বাইরে তেমন কিছু অর্জন হয় না। বর্তমান প্রতিযোগিতার এই যুগে নিজের ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে হলে শুধু অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট দিয়েই সব সময় হয় না। এর বাইরে আরও কিছু অর্জন ও সফলতা থাকলে ভালো পজিশনে যাওয়া সহজ হয়।

তাই অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট তো অবশ্যই ভালো করতে হবে। এর পাশাপাশি অন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর জন্যও প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিভিন্ন ক্লাব, অরাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত হওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশ-বিদেশের চাকরিসহ নানা খোঁজ-খবর রাখতে হবে। আর সে অনুযায়ী প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরকে গণপিটুনি, আহত ৭ পুলিশ

জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ: ৯ শিক্ষক বরখাস্ত, উপাচার্যের পেনশন বাতিল

বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র

জাবির সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা হত্যা: ৭ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার

জুলাই আন্দোলনে হামলা: জাবির ২৮৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারসহ ৩ রকম শাস্তি দিল প্রশাসন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত