ডেন্টাল সার্জন উম্মে কুলসুমা ৪১তম বিসিএসে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার শেখালীপাড়া নামক ছোট্ট গ্রামে। সেখানের একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে ডেন্টিস্ট হিসেবে বিডিএস কোর্স সম্পন্ন করেন। নারী এবং শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থেকে বিসিএস পরীক্ষা দেন। সবশেষে ৪১তম বিসিএসে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে প্রথম হন।
স্বপ্ন দেখার শুরুর পথচলা
ডাক্তারি পাস করার পর ইচ্ছা ছিল উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু স্বামী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পোস্টিং হওয়ায় সেখানে বেসরকারি অনুশীলন শুরু করি। তখন বিসিএস দেওয়ার চিন্তা করি। ৩৪ ও ৩৯তম বিসিএস দুর্ভাগ্যক্রমে হয়নি। কিছুটা হতাশ হয়েছি। কারণ, আমি ডেন্টালের সব পরীক্ষায় ভালো পজিশনসহ উত্তীর্ণ হই আর বিশেষ বিসিএসে এসে হেরে যাই। এরপর জেনারেল বিসিএসের জন্য চেষ্টা শুরু করি।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি
আমি কোনো কোচিং করিনি। শুধু রাজশাহীতে একটি কোচিং সেন্টারে কয়েকটা পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমার স্বামী প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতেন। আর যখনই সুযোগ পেতাম, ছোটদের পড়াতাম। প্রথমে পিএসসির বিগত সালের প্রশ্ন ধরে সেগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়ে ফেলতাম। রুটিন করে প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ে এক-দেড় ঘণ্টা করে পড়তাম। লিখিত এবং ভাইভার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতাম। এভাবে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়েছি। সব শেষে ৪১তম বিসিএসে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে প্রথম হয়ে সফলতা পেলাম।
যাঁদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
সব সময়ের অনুপ্রেরণায় ছিল আমার সন্তান, স্বামী, বাবা-মা, মামা ও ভাই। সন্তানের নিরাপত্তা এবং নিজে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য একটা সরকারি চাকরি দরকার ছিল। আমার এই দীর্ঘ বেকারত্ব জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল স্বামী। তিনি আমাকে অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। ভাইবোন এবং শ্বশুরবাড়ির সবাই সন্তানকে দেখাশোনা করে আমাকে পড়াশোনার সুযোগ করে দিত। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রস্তুতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার
কিছু অনলাইন অ্যাপে নিয়মিত পরীক্ষা দিতাম, যা খুব কাজে দিয়েছিল। বিসিএসের সফলেরা যেসব বইয়ের কথা বলত, সেগুলো কিনে পড়তাম। ইউটিউবে সিলেবাস এবং লিখিত-ভাইভা প্রস্তুতির কিছু ভিডিও দেখতাম, যেগুলো থেকেও উপকৃত হয়েছি। এ ছাড়া ইংরেজির জন্য আল জাজিরা, এবিসি চ্যানেলের খবর শুনতাম। বাসায় বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা রাখতাম এবং নিয়ম করে সম্পাদকীয় ও আন্তর্জাতিক পাতা পড়তাম।
ডেন্টিস্ট থেকে ক্যাডার অফিসার
নারী এবং শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা বহুদিনের। যদিও আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার বলতে শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কাজই মনে করেন। তাই এই ক্যাডারে কাজ করে এই বিভাগের কাজের প্রসার ও পরিচিতি ঘটাতে চাই। আর আমার পেশার জুনিয়রদের জানাতে চাই, ডেন্টিস্ট্রি পড়াশোনা করার পর আরও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করা যায়।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
বিসিএস ক্যাডার হওয়া কষ্টকর হলেও অসম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে লেগে থাকলে সৃষ্টিকর্তা হতাশ করেন না। তবে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে এবং দেশ-বিদেশের রাজনীতি, অর্থনীতির খবর রাখতে হবে। ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
একজন সফল নারী সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। নিজের পেশার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নারী হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে চাই। যাতে অন্য সব নারীর পিতা বা স্বামী তাঁদের মেয়ে বা স্ত্রীর উচ্চশিক্ষা বা ক্যারিয়ারের জন্য
বাধা হয়ে না দাঁড়ান। সংসার বা সন্তান নারীর ক্যারিয়ারের জন্য বাধা নয় বরং অনুপ্রেরণা—এটা প্রমাণ করতে চাই।
ডেন্টাল সার্জন উম্মে কুলসুমা ৪১তম বিসিএসে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার শেখালীপাড়া নামক ছোট্ট গ্রামে। সেখানের একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে ডেন্টিস্ট হিসেবে বিডিএস কোর্স সম্পন্ন করেন। নারী এবং শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থেকে বিসিএস পরীক্ষা দেন। সবশেষে ৪১তম বিসিএসে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে প্রথম হন।
স্বপ্ন দেখার শুরুর পথচলা
ডাক্তারি পাস করার পর ইচ্ছা ছিল উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু স্বামী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পোস্টিং হওয়ায় সেখানে বেসরকারি অনুশীলন শুরু করি। তখন বিসিএস দেওয়ার চিন্তা করি। ৩৪ ও ৩৯তম বিসিএস দুর্ভাগ্যক্রমে হয়নি। কিছুটা হতাশ হয়েছি। কারণ, আমি ডেন্টালের সব পরীক্ষায় ভালো পজিশনসহ উত্তীর্ণ হই আর বিশেষ বিসিএসে এসে হেরে যাই। এরপর জেনারেল বিসিএসের জন্য চেষ্টা শুরু করি।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি
আমি কোনো কোচিং করিনি। শুধু রাজশাহীতে একটি কোচিং সেন্টারে কয়েকটা পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমার স্বামী প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতেন। আর যখনই সুযোগ পেতাম, ছোটদের পড়াতাম। প্রথমে পিএসসির বিগত সালের প্রশ্ন ধরে সেগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়ে ফেলতাম। রুটিন করে প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ে এক-দেড় ঘণ্টা করে পড়তাম। লিখিত এবং ভাইভার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতাম। এভাবে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়েছি। সব শেষে ৪১তম বিসিএসে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে প্রথম হয়ে সফলতা পেলাম।
যাঁদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
সব সময়ের অনুপ্রেরণায় ছিল আমার সন্তান, স্বামী, বাবা-মা, মামা ও ভাই। সন্তানের নিরাপত্তা এবং নিজে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য একটা সরকারি চাকরি দরকার ছিল। আমার এই দীর্ঘ বেকারত্ব জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল স্বামী। তিনি আমাকে অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। ভাইবোন এবং শ্বশুরবাড়ির সবাই সন্তানকে দেখাশোনা করে আমাকে পড়াশোনার সুযোগ করে দিত। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রস্তুতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার
কিছু অনলাইন অ্যাপে নিয়মিত পরীক্ষা দিতাম, যা খুব কাজে দিয়েছিল। বিসিএসের সফলেরা যেসব বইয়ের কথা বলত, সেগুলো কিনে পড়তাম। ইউটিউবে সিলেবাস এবং লিখিত-ভাইভা প্রস্তুতির কিছু ভিডিও দেখতাম, যেগুলো থেকেও উপকৃত হয়েছি। এ ছাড়া ইংরেজির জন্য আল জাজিরা, এবিসি চ্যানেলের খবর শুনতাম। বাসায় বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা রাখতাম এবং নিয়ম করে সম্পাদকীয় ও আন্তর্জাতিক পাতা পড়তাম।
ডেন্টিস্ট থেকে ক্যাডার অফিসার
নারী এবং শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা বহুদিনের। যদিও আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার বলতে শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কাজই মনে করেন। তাই এই ক্যাডারে কাজ করে এই বিভাগের কাজের প্রসার ও পরিচিতি ঘটাতে চাই। আর আমার পেশার জুনিয়রদের জানাতে চাই, ডেন্টিস্ট্রি পড়াশোনা করার পর আরও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করা যায়।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
বিসিএস ক্যাডার হওয়া কষ্টকর হলেও অসম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে লেগে থাকলে সৃষ্টিকর্তা হতাশ করেন না। তবে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে এবং দেশ-বিদেশের রাজনীতি, অর্থনীতির খবর রাখতে হবে। ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
একজন সফল নারী সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। নিজের পেশার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নারী হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে চাই। যাতে অন্য সব নারীর পিতা বা স্বামী তাঁদের মেয়ে বা স্ত্রীর উচ্চশিক্ষা বা ক্যারিয়ারের জন্য
বাধা হয়ে না দাঁড়ান। সংসার বা সন্তান নারীর ক্যারিয়ারের জন্য বাধা নয় বরং অনুপ্রেরণা—এটা প্রমাণ করতে চাই।
মৎস্য অধিদপ্তরের ৮টি পদে ৫৮০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক (প্রশাসন) এস এম রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ ধরনের শূন্য পদে ৬০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
২ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ দিন আগে