Ajker Patrika

সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি বলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ২৫
সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি বলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি বলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।’ 

আজ রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনটা কতটা স্বস্তিদায়ক ছিল—জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব, সেটা আমরা আগেও বলেছি। কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। সে ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, দলীয় সরকারের অধীনে সরকারের যে পলিটিক্যাল উইল অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করার, সেটা ছিল। সেই সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে আন্তরিকতা ছিল। নিশ্চয়তা বিধান করার কথা ছিল, প্রকাশ্যে বলা হয়েছিল নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। যে সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন ছিল, সেই সহযোগিতা পেয়েছিলাম। সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হয়েছে।’ 

আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বোঝা যাবে ফলাফলের পরে। এটা আপনারা বলবেন, জনগণ বলবে। গণমাধ্যমে কীভাবে উঠে আসে, সেটর ওপর নির্ভর করবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো গ্রহণযোগ্য হয়েছে, এখনো বলিনি। ফলাফল প্রকাশের পরে চূড়ান্ত মূল্যায়নটা হবে। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।’ 

এই নির্বাচন নিয়ে স্বস্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের শঙ্কা ছিল, ভোটার উপস্থিতি হয়তো আরও অনেক কম হবে। এটার কারণ হচ্ছে, একটি জাতীয় নির্বাচনে বড় একটি পক্ষ নির্বাচন বর্জন করে পরোক্ষভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। তার কিছু সিম্পটম হয়তো ওটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। কিন্তু কয়েকটি কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত দিন একটি ট্রেনে আগুনের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। অনেকের মনে এগুলো দেখে একধরনের শঙ্কা জাগ্রত হতে পারত যে নির্বাচনটা সহিংস হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, অনেক ভোটার স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের চেষ্টা করেছে।’ 

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘২৯৯ আসনে নির্বাচন হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে সর্বক্ষণ খোঁজখবর রেখেছিলাম। আমি কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরেছি। আমার সহকর্মীরাও ঘুরেছে। আমরা যেগুলো দেখেছি, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা পরে টিভিতে দেখেছি। সহিংসতার ঘটনা, গুরুতর কিছু ঘটেনি। এ জন্য কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করতে হয়েছে। একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে হয়েছে। একটি বিষয় স্বস্তিদায়ক, নির্বাচনী সহিংসতায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিছু আহত হতে পারে। তবে কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে। কিছু জায়গায় সিল মারা হয়েছে। কিছু ফলস নিউজও এসেছিল। চেক, ক্রস চেক করে নিশ্চিত হওয়ার পর রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সারা দেশে চষে বেড়ানোয় ভোট নিয়ে আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিটিংয়ের সময় তাঁদের (প্রার্থীরা) অনাস্থার কথা বলেননি। তাঁরা কিন্তু প্রশাসন ও পুলিশের ব্যাপারে খুব সামান্য দু-চারটি অভিযোগ ছাড়া অধিকাংশই আমাদের বলেছেন, প্রশাসনের আচরণে আমরা পক্ষপাতিত্ব দেখছি না। আর যাঁদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তাঁদের উইথড্র করেছি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিবসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে জানাজা হলো না সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের, তীব্র সমালোচনার মুখে প্রশাসন

প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় সাবেক শিবির নেতা আটক

মধ্যরাতে মহাসড়কে ৩৭ লাখ টাকাসহ এলজিইডি প্রকৌশলী আটক

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে রাষ্ট্রদূতের ফেসবুকে পোস্ট, পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত

প্রত্যাহার হওয়া ওসির খোঁজে থানায় ভিড় পাওনাদারদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত