নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আবারও বসলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কথা বললেন বর্তমান পরিস্থিতি, সংস্কারের রূপরেখা ও আগামীর নির্বাচন নিয়ে। এ সময় নেতাদের বেশির ভাগই জানিয়েছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে তাঁদের সায় রয়েছে। তবে সে কাজ শেষ করে উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। আর তা করার জন্য সময়ও তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারকে দেবেন।
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ মতবিনিময় হয়। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। রাজনৈতিক নেতারাও বৈঠক শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, বেলা ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খেলাফত মজলিসের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর যথাক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি,ইসলামী আন্দোলন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাসদ, ১২ দলীয় ঐক্য জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম এবং সবশেষে রাত ৮টায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকেরা আমন্ত্রণ পায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোটও আমন্ত্রণ পায়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলোর মতবিনিময় সভায় প্রাতিষ্ঠানিক, সংবিধান, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে কোনো দলই এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কারের স্বার্থে ধৈর্য ধরতে রাজি আছে। প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই রূপরেখা প্রকাশ করবেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর নির্ভর করবে এই সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে।
মতবিনিময় শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। সংস্কার করে তারপর নির্বাচন। যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময় জাতীয় পার্টি সমর্থন করে।’
‘অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে’ বলে জানান গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি কামাল হোসেন। তাঁর পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণফোরামের পক্ষ থেকে ২১টি দাবি উপস্থাপন করেছি। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে প্রস্তাব করেছি। আমরা সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক পুনঃ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে বলেছি। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণফোরাম একটি প্রস্তাবনা জমা দেবে।’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনটা হতে হবে। কিন্তু সংস্কারের আগে নির্বাচন হওয়া কোনো অবস্থাতেই বাঞ্ছনীয় নয়।’
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দল ও মার্কা থাকবে। জনগণ ভোট দেবে, যে দল যেভাবে ভোট পাবে সে অনুযায়ী তাঁদের প্রতিনিধি সংসদে থাকবে, দেশ পরিচালনা করবে। সেখানে সবার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হবে, যে কারণে দেশ সুন্দরভাবে চলবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের। দলটির মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহযোগিতা করার প্রত্যয় জানিয়েছি। নির্বাচন ও প্রশাসনসহ প্রতিটি খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে অন্যান্য দল ও সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারকে স্বাগত জানানো হলেও গত ২৪ আগস্ট থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রশ্নে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি জানাচ্ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে। সেখান থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে উপদেষ্টা মতবিনিময় করবেন।
গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার ও নির্বাচনী রূপরেখা নিয়ে অনেকের মনে সংশয়-সন্দেহ আছে। প্রধান উপদেষ্টা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে শুনতে চেয়েছেন। তাঁরা আসলে কী ধরনের সংস্কার চান, ক্ষমতা পরিবর্তনের রূপরেখা কীভাবে চান, কীভাবে তাঁরা নির্বাচনী রূপান্তর দেখতে চাচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো অনেকগুলো সংস্কার প্রস্তাব মতবিনিময় সভায় উপস্থাপন করেছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আশাবাদ শুনতে পেয়েছেন। তিনিও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সবার সঙ্গে মিলে, সবগুলো রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্মকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা শিগগিরই উপস্থাপন করবেন।
সংবিধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘সংবিধান কি সংস্কার করা হবে, নাকি পুনরায় লেখা হবে, তা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার মতামতের ভিত্তিতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চান।
উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আবারও বসলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কথা বললেন বর্তমান পরিস্থিতি, সংস্কারের রূপরেখা ও আগামীর নির্বাচন নিয়ে। এ সময় নেতাদের বেশির ভাগই জানিয়েছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে তাঁদের সায় রয়েছে। তবে সে কাজ শেষ করে উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। আর তা করার জন্য সময়ও তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারকে দেবেন।
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ মতবিনিময় হয়। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। রাজনৈতিক নেতারাও বৈঠক শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, বেলা ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খেলাফত মজলিসের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর যথাক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি,ইসলামী আন্দোলন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাসদ, ১২ দলীয় ঐক্য জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম এবং সবশেষে রাত ৮টায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকেরা আমন্ত্রণ পায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোটও আমন্ত্রণ পায়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলোর মতবিনিময় সভায় প্রাতিষ্ঠানিক, সংবিধান, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে কোনো দলই এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কারের স্বার্থে ধৈর্য ধরতে রাজি আছে। প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই রূপরেখা প্রকাশ করবেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর নির্ভর করবে এই সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে।
মতবিনিময় শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। সংস্কার করে তারপর নির্বাচন। যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময় জাতীয় পার্টি সমর্থন করে।’
‘অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে’ বলে জানান গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি কামাল হোসেন। তাঁর পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণফোরামের পক্ষ থেকে ২১টি দাবি উপস্থাপন করেছি। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে প্রস্তাব করেছি। আমরা সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক পুনঃ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে বলেছি। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণফোরাম একটি প্রস্তাবনা জমা দেবে।’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনটা হতে হবে। কিন্তু সংস্কারের আগে নির্বাচন হওয়া কোনো অবস্থাতেই বাঞ্ছনীয় নয়।’
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দল ও মার্কা থাকবে। জনগণ ভোট দেবে, যে দল যেভাবে ভোট পাবে সে অনুযায়ী তাঁদের প্রতিনিধি সংসদে থাকবে, দেশ পরিচালনা করবে। সেখানে সবার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হবে, যে কারণে দেশ সুন্দরভাবে চলবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের। দলটির মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহযোগিতা করার প্রত্যয় জানিয়েছি। নির্বাচন ও প্রশাসনসহ প্রতিটি খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে অন্যান্য দল ও সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারকে স্বাগত জানানো হলেও গত ২৪ আগস্ট থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রশ্নে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি জানাচ্ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে। সেখান থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে উপদেষ্টা মতবিনিময় করবেন।
গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার ও নির্বাচনী রূপরেখা নিয়ে অনেকের মনে সংশয়-সন্দেহ আছে। প্রধান উপদেষ্টা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে শুনতে চেয়েছেন। তাঁরা আসলে কী ধরনের সংস্কার চান, ক্ষমতা পরিবর্তনের রূপরেখা কীভাবে চান, কীভাবে তাঁরা নির্বাচনী রূপান্তর দেখতে চাচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো অনেকগুলো সংস্কার প্রস্তাব মতবিনিময় সভায় উপস্থাপন করেছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আশাবাদ শুনতে পেয়েছেন। তিনিও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সবার সঙ্গে মিলে, সবগুলো রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্মকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা শিগগিরই উপস্থাপন করবেন।
সংবিধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘সংবিধান কি সংস্কার করা হবে, নাকি পুনরায় লেখা হবে, তা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার মতামতের ভিত্তিতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চান।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার মত বা সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্টজনেরা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা এবং মতামত-সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন মনে করছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের পরই হতে পারে স্থানীয় নির্বাচন। আবার এ নির্বাচন আলাদাভাবে না করে একসঙ্গে করা যায় কি না, সেটাও রয়
৪৪ মিনিট আগেউন্নয়ন প্রকল্প শেষ হওয়ার পর প্রকল্পে ব্যবহৃত গাড়ির বেশির ভাগই সরকারি দপ্তরে জমা হয় না। প্রভাবশালীরা কৌশলে এসব গাড়ি ব্যবহার করেন। ফলে প্রকল্পের গাড়ির ব্যবহার ও জমা দেওয়ার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগেবিচারপতি রুহুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিদিন ১ হাজার ৩৪০টি অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে। সে হিসাবে ঘণ্টায় অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে ৫৬টি। দেশে অপরিণত শিশু জন্মে প্রতিরোধ কার্যক্রমে গতি নেই। এখনো বছরে সাড়ে চার লাখ অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে