নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
লবিস্টের পেছনে বিএনপি অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি। ওই অর্থ বছরগুলোর অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এ সব তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরু আধ ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।
সভায় চারটি এজেন্ডা ছিল। তার একটি ছিল বিএনপির লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে তদন্ত করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, তা নিয়ে কমিশন বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। নির্বাচন কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নেই। আইনি কাঠামোতে তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।
ইসি সচিব বলেন, ‘সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। ওই সব তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।’
সচিব বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে কমিশনের পাওয়া তথ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হবে।’
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়-তাহলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে-এ বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। যেসব রাজনৈতিক দল পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দিয়ে থাকে, তাহলে কমিশন শুনানি দিয়ে সর্বোচ্চ নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক পৃষ্ঠার ডিও লেটার ও ১০৩ পৃষ্ঠার সংযুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো অডিট রিপোর্টে বিএনপি লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য নেই। তবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সময়-সময় যে কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চাইতে পারে এবং ওই সব তথ্য দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য। তবে বৈঠকে বিএনপির কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকের অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ উল্লেখ থাকবে। প্রথমে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এ ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যদেরও দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীর গতিতে ভোট নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কারিগরি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।
লবিস্টের পেছনে বিএনপি অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি। ওই অর্থ বছরগুলোর অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এ সব তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরু আধ ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।
সভায় চারটি এজেন্ডা ছিল। তার একটি ছিল বিএনপির লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে তদন্ত করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, তা নিয়ে কমিশন বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। নির্বাচন কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নেই। আইনি কাঠামোতে তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।
ইসি সচিব বলেন, ‘সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। ওই সব তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।’
সচিব বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে কমিশনের পাওয়া তথ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হবে।’
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়-তাহলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে-এ বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। যেসব রাজনৈতিক দল পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দিয়ে থাকে, তাহলে কমিশন শুনানি দিয়ে সর্বোচ্চ নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক পৃষ্ঠার ডিও লেটার ও ১০৩ পৃষ্ঠার সংযুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো অডিট রিপোর্টে বিএনপি লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য নেই। তবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সময়-সময় যে কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চাইতে পারে এবং ওই সব তথ্য দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য। তবে বৈঠকে বিএনপির কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকের অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ উল্লেখ থাকবে। প্রথমে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এ ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যদেরও দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীর গতিতে ভোট নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কারিগরি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।
অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা–সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁদের প্রেস মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
১ ঘণ্টা আগেবিগত সময়ে বঞ্চিত হওয়া অতিরিক্ত সচিবদের গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি থেকে বিদায় করবে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান...
২ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যাবে...
৩ ঘণ্টা আগেপাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনসহ মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগে