নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের অনুদীপ এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ২২ দশমিক ১৭ লিটার অটো গ্যাস নেন বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফ আলম। জুন মাসের জন্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া দর অনুযায়ী আশরাফ আলমের কেনা গ্যাসের সর্বোচ্চ দাম হওয়ার কথা ৯২৫ টাকা। কিন্তু দাবি করা হয় এক হাজার টাকা। এ নিয়ে ফিলিং স্টেশনের বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকাই শোধ করতে হয় আশরাফ আলমকে। এমন চিত্র দেশের প্রতিটি অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনের।
মূলত নতুন করে পেট্রল পাম্প আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন বন্ধ থাকার সুযোগে গড়ে উঠছে এসব অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশন। যানবাহনে ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অটো গ্যাস নামে পরিচিত।
গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো বাসা–বাড়ির রান্নার এলপিজি এবং যানবাহনের অটো গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূলত এলপিজির আমদানি খরচ হিসেবে সৌদি আরামকোর চুক্তি মূল্যকে (সিপি) ভিত্তি ধরে প্রতি মাসেই বাসাবাড়ির এলপিজি আর অটো গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণ করছে সংস্থাটি। বিইআরসি নির্ধারিত দর অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে প্রতি লিটার অটো গ্যাসের দাম ছিল ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা, মে মাসে যা ছিল ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা। চলতি মাসে এটি নেমে এসেছে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সায়। কিন্তু দেশের কোথাও সরকার নির্ধারিত এ দামে অটো গ্যাস মিলছে না।
এদিকে আশরাফ আলমের মতো ফিলিং স্টেশনের চাপিয়ে দেওয়া দাম নিয়ে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করছেন ভোক্তা অধিদপ্তরে। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানে জরিমানা গুনতে হচ্ছে অনেক অটো গ্যাস স্টেশনকে। এমনই এক ফিলিং স্টেশন যশোরের মেসার্স ইউনিক ফিলিং স্টেশন। জরিমানা এড়াতে গত ৫ জুন থেকে তারা বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাজ্জাদ কবির কাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা বেসরকারি কোম্পানির নির্ধারিত দরেই বিক্রি করে আসছিলাম। এপ্রিলে সরকার দর বেঁধে দেওয়ার পর আমরা সে অনুযায়ী বিক্রি শুরু করেছি। গত মাস পর্যন্ত ব্যবসা চালাতে তেমন অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এ মাসের শুরুতে হোঁচট খাই। মে মাসে কোম্পানিগুলো প্রতি লিটার এলপিজি সরবরাহ করত ৩৮ টাকা দরে। সে হিসেবে লিটারে পাঁচ টাকার মতো লাভ থাকত। জুনে সরকারিভাবে প্রতি লিটারের দর বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সা। কিন্তু বেসরকারি কোম্পানিগুলো আমাদের জন্য দাম কমায়নি। তারা এখনো প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা আদায় করছে। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত দামে আমাদের পক্ষে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কোম্পানিগুলো আমাদের জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য করছে। এমনকি আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি এই ভয়ে গ্যাস বিক্রির চালানও কোম্পানিগুলো দিচ্ছে না। এ নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে। পাশাপাশি জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে আমাদের। এ অবস্থায় আমিসহ যশোর-খুলনা এলাকার অনেকেই গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’
চলমান সংকটের বিষয়ে এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর মহাসচিব হাসিন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অটো গ্যাসের দাম নিয়ে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছি আমরা। একদিকে আমাদের ব্যবসা হারাচ্ছি, অন্যদিকে ক্রেতাদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে অন্তত দুই বছরের জন্য অটো গ্যাসের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া দরকার।’
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০টি অটো গ্যাস স্টেশন স্থাপিত হয়েছে। বসুন্ধরা, ওমেরা, বিএম, জি-গ্যাস, পেট্রোম্যাক্স, লাফস, টোটাল গ্যাসসহ প্রায় ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অটো গ্যাস স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে। এসব কোম্পানি বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গ্যাস সরবরাহ করছে। দীর্ঘদিন ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করতে পারলেও বিইআরসি বেঁধে দেওয়ার পর থেকে বেঁকে বসেছে এলপিজি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)-এর সভাপতি আজম জে চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, তা সঠিক হয়নি। এ নিয়ে আমরা কয়েক দফায় কমিশনে গিয়েছি। তবুও তাঁরা আমাদের দাবির প্রতি সুবিচার করছেন না। বিইআরসি কেবল সৌদি সিপি বিবেচনায় নিয়ে দাম নির্ধারণ ও পুনর্নির্ধারণ করছে। কিন্তু পরিবহন খরচ, গুদামজাতকরণ ও বোতলজাতকরণ খরচের বিষয়টি তাঁরা ঠিকভাবে আমলে নিচ্ছেন না। মূলত এ কারণেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের হিসাবে, এই মুহূর্তে প্রতি লিটার এলপিজির দাম অন্তত ৪৫ টাকা হতে হবে। অন্যথায় আমরা ব্যবসা করতে পারব না। আর বিইআরসি যদি এভাবে আমাদের ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।’
এদিকে, অটো গ্যাসের দাম বেঁধে দিয়েই দায়িত্ব সেরেছে বিইআরসি। নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির অভাবের কারণ জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) মকবুল-ই-এলাহী চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাজারে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাঁরা ইচ্ছেমতো ব্যবসা করেছেন, তাঁরা স্বভাবতই অখুশি হবেন। গণশুনানির মাধ্যমে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এটা পরিবর্তন করতে হলে আরেক গণশুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমরা যে দাম নির্ধারণ করেছি, তা কার্যকরে কমিশনের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন করোনার কারণে মাঠ পর্যায়ে আমরা খুব বেশি তদারকি করতে পারছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পাশাপাশি নির্ধারিত দাম নিশ্চিতে আমরা জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সহায়তা নিচ্ছি।’
ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের অনুদীপ এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ২২ দশমিক ১৭ লিটার অটো গ্যাস নেন বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফ আলম। জুন মাসের জন্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া দর অনুযায়ী আশরাফ আলমের কেনা গ্যাসের সর্বোচ্চ দাম হওয়ার কথা ৯২৫ টাকা। কিন্তু দাবি করা হয় এক হাজার টাকা। এ নিয়ে ফিলিং স্টেশনের বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকাই শোধ করতে হয় আশরাফ আলমকে। এমন চিত্র দেশের প্রতিটি অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনের।
মূলত নতুন করে পেট্রল পাম্প আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন বন্ধ থাকার সুযোগে গড়ে উঠছে এসব অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশন। যানবাহনে ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অটো গ্যাস নামে পরিচিত।
গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো বাসা–বাড়ির রান্নার এলপিজি এবং যানবাহনের অটো গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূলত এলপিজির আমদানি খরচ হিসেবে সৌদি আরামকোর চুক্তি মূল্যকে (সিপি) ভিত্তি ধরে প্রতি মাসেই বাসাবাড়ির এলপিজি আর অটো গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণ করছে সংস্থাটি। বিইআরসি নির্ধারিত দর অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে প্রতি লিটার অটো গ্যাসের দাম ছিল ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা, মে মাসে যা ছিল ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা। চলতি মাসে এটি নেমে এসেছে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সায়। কিন্তু দেশের কোথাও সরকার নির্ধারিত এ দামে অটো গ্যাস মিলছে না।
এদিকে আশরাফ আলমের মতো ফিলিং স্টেশনের চাপিয়ে দেওয়া দাম নিয়ে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করছেন ভোক্তা অধিদপ্তরে। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানে জরিমানা গুনতে হচ্ছে অনেক অটো গ্যাস স্টেশনকে। এমনই এক ফিলিং স্টেশন যশোরের মেসার্স ইউনিক ফিলিং স্টেশন। জরিমানা এড়াতে গত ৫ জুন থেকে তারা বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাজ্জাদ কবির কাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা বেসরকারি কোম্পানির নির্ধারিত দরেই বিক্রি করে আসছিলাম। এপ্রিলে সরকার দর বেঁধে দেওয়ার পর আমরা সে অনুযায়ী বিক্রি শুরু করেছি। গত মাস পর্যন্ত ব্যবসা চালাতে তেমন অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এ মাসের শুরুতে হোঁচট খাই। মে মাসে কোম্পানিগুলো প্রতি লিটার এলপিজি সরবরাহ করত ৩৮ টাকা দরে। সে হিসেবে লিটারে পাঁচ টাকার মতো লাভ থাকত। জুনে সরকারিভাবে প্রতি লিটারের দর বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সা। কিন্তু বেসরকারি কোম্পানিগুলো আমাদের জন্য দাম কমায়নি। তারা এখনো প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা আদায় করছে। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত দামে আমাদের পক্ষে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কোম্পানিগুলো আমাদের জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য করছে। এমনকি আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি এই ভয়ে গ্যাস বিক্রির চালানও কোম্পানিগুলো দিচ্ছে না। এ নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে। পাশাপাশি জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে আমাদের। এ অবস্থায় আমিসহ যশোর-খুলনা এলাকার অনেকেই গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’
চলমান সংকটের বিষয়ে এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর মহাসচিব হাসিন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অটো গ্যাসের দাম নিয়ে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছি আমরা। একদিকে আমাদের ব্যবসা হারাচ্ছি, অন্যদিকে ক্রেতাদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে অন্তত দুই বছরের জন্য অটো গ্যাসের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া দরকার।’
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০টি অটো গ্যাস স্টেশন স্থাপিত হয়েছে। বসুন্ধরা, ওমেরা, বিএম, জি-গ্যাস, পেট্রোম্যাক্স, লাফস, টোটাল গ্যাসসহ প্রায় ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অটো গ্যাস স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে। এসব কোম্পানি বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গ্যাস সরবরাহ করছে। দীর্ঘদিন ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করতে পারলেও বিইআরসি বেঁধে দেওয়ার পর থেকে বেঁকে বসেছে এলপিজি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)-এর সভাপতি আজম জে চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, তা সঠিক হয়নি। এ নিয়ে আমরা কয়েক দফায় কমিশনে গিয়েছি। তবুও তাঁরা আমাদের দাবির প্রতি সুবিচার করছেন না। বিইআরসি কেবল সৌদি সিপি বিবেচনায় নিয়ে দাম নির্ধারণ ও পুনর্নির্ধারণ করছে। কিন্তু পরিবহন খরচ, গুদামজাতকরণ ও বোতলজাতকরণ খরচের বিষয়টি তাঁরা ঠিকভাবে আমলে নিচ্ছেন না। মূলত এ কারণেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের হিসাবে, এই মুহূর্তে প্রতি লিটার এলপিজির দাম অন্তত ৪৫ টাকা হতে হবে। অন্যথায় আমরা ব্যবসা করতে পারব না। আর বিইআরসি যদি এভাবে আমাদের ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।’
এদিকে, অটো গ্যাসের দাম বেঁধে দিয়েই দায়িত্ব সেরেছে বিইআরসি। নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির অভাবের কারণ জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) মকবুল-ই-এলাহী চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাজারে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাঁরা ইচ্ছেমতো ব্যবসা করেছেন, তাঁরা স্বভাবতই অখুশি হবেন। গণশুনানির মাধ্যমে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এটা পরিবর্তন করতে হলে আরেক গণশুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমরা যে দাম নির্ধারণ করেছি, তা কার্যকরে কমিশনের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন করোনার কারণে মাঠ পর্যায়ে আমরা খুব বেশি তদারকি করতে পারছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পাশাপাশি নির্ধারিত দাম নিশ্চিতে আমরা জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সহায়তা নিচ্ছি।’
গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় মামলা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁদের গ্রেপ্তারে আলাদা টিমও গঠন করেছে পুলিশ।
২২ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংকট’ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট দেশত্যাগ না করলে বিক্ষুব্ধ জনতার সহিংসতার শিকার হতে পারতেন হাসিনা। বিস্তারিত জানুন এই
২ ঘণ্টা আগেদেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
১৩ ঘণ্টা আগে