শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা। কিন্তু তখনো উত্তাপ ছড়ায়নি নোয়াখালীতে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মুসল্লিদের একটি মিছিল আসছিল বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূজামণ্ডপের দিকে। আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা ফোন দেওয়া শুরু করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। সাহায্য চান পুলিশের। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাড়তে থাকে ফোনকলের সংখ্যা। কিন্তু সেদিন দেড় ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়নি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দায়িত্বশীল কাউকে। পুলিশ যখন সাড়া দেয় ততক্ষণে হামলা হয়ে গেছে একাধিক মন্দিরে, আগুনে পুড়ছিল হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাড়িঘর। এ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সবার।
জরুরি সেবা থেকে ফোন যাওয়ার পরই পুলিশের এসব গাফিলতির ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ আরও বড় ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা (জিআইএস) এবং ইন্টারনেট অব থিংগসের (আইওটি) পাশাপাশি আরও অনেক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে এ সেবায়। এতে করে জরুরি সহায়তা আরও দ্রুত ও নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
সূত্র বলছে, কুমিল্লার ঘটনার পরের তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৮২টি। প্রতিটি ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সাহায্যের জন্য ফোন আসে। সে ফোনের সঙ্গে থানা-পুলিশকেও সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৯৯৯ ফোন থেকে ফোন দিলেও চাঁদপুর ও নোয়াখালী, কুড়িগ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় সময়মতো পুলিশি সেবা মেলেনি। এতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
জাতীয় জরুরি সেবার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২৫টা করে ফোন আসে। এক ঘটনায় একটির বেশি ফোনকল গণনা না করলেও অন্তত পাঁচ শটি কল থানা-পুলিশকে পার করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত ফোন পেয়েও থানা-পুলিশ কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি? কার গাফিলতি ছিল এসব ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ অধিদপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের চার মহানগর ও ২৮ জেলায় মামলা হয়েছে ১২৪টি। এসব মামলায় ২২ হাজার ৩০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি নামে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯ জনকে। আসামিদের মধ্যে ৯৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকেই জরুরি সেবায় ফোন এসেছিল। কিন্তু পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সময়মতো পৌঁছালে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলাকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যথাসময়ে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রও (আসক)। আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। এমনকি বিজয়া দশমীর দিনে দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদাও দেওয়া হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করেন, এরপরই হামলা শুরু হয়।
আবার হামলার বিষয়ে অগ্রিম তথ্য পেয়েও পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, সে বিষয়ে তদন্ত টিম করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ চার জেলা পুলিশের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সব জেলার পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদরের একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত দল তদন্ত চালাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হামলার ঘটনাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এসেছে। কারণ, সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তা ছাড়া, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকা এবং ওসির দেড় ঘণ্টা ফোন না ধরার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অবশ্য এ অভিযোগে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ফোন সব সময় হাতেই থাকে। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এক ভুল বারবার হবে না।’
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুসারে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে নোয়াখালীতে। এ জেলায় ২৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এত বেশি মামলা আর কোথাও হয়নি। জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত দল এসেছিল। তারা কাজ করছে।
ঘটনার সময় বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন—এমন একাধিক পুলিশ সদস্য বলেছেন, জাতীয় জরুরি সেবার জন্য থানাতে নির্ধারিত কোনো দল নেই। রয়েছে গাড়ির সংকটও। হঠাৎ ফোন এলেই দিগ্বিদিক ছুটতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। অপারেশনাল কাজে ব্যস্ত থাকায় কখনো কখনো স্পটে যাওয়ার জন্য লোকবল পাওয়া যায় না। থানাতে যদি এই সেবার জন্য আলাদা গাড়ি ও টিম থাকে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা আরও সহজে পৌঁছানো যেত।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি টিম সেখানে গিয়ে তদন্ত করেছে। দায়িত্ব পালনে চৌমুহনীতে পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
৯৯৯ সেবার সমন্বয়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্ল্যাহও বলেছেন একই কথা। তাঁর মতে, টহল গাড়ির জন্য সঠিক সময়ে স্পটে যেতে পারে না থানা-পুলিশ। কোথাও দ্রুত সেবা দিতে পারলেও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। মহানগরগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি কল আসে। সেখানে সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাদের। তেমনি শহর থেকে দূরে থানাগুলোতেও সমস্যা দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনায় অবশ্যই পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিল। এসব ক্ষেত্রে দুইভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। পুলিশের কাছে আগে থেকেই সব ধরনের তথ্য থাকবে। না হয় পুরো পূজা প্রক্রিয়াটা একটা গার্ডের ভেতরে আনতে হবে। সেখানে পুলিশসহ সমাজের লোকেরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবে।’
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা। কিন্তু তখনো উত্তাপ ছড়ায়নি নোয়াখালীতে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মুসল্লিদের একটি মিছিল আসছিল বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূজামণ্ডপের দিকে। আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা ফোন দেওয়া শুরু করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। সাহায্য চান পুলিশের। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাড়তে থাকে ফোনকলের সংখ্যা। কিন্তু সেদিন দেড় ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়নি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দায়িত্বশীল কাউকে। পুলিশ যখন সাড়া দেয় ততক্ষণে হামলা হয়ে গেছে একাধিক মন্দিরে, আগুনে পুড়ছিল হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাড়িঘর। এ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সবার।
জরুরি সেবা থেকে ফোন যাওয়ার পরই পুলিশের এসব গাফিলতির ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ আরও বড় ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা (জিআইএস) এবং ইন্টারনেট অব থিংগসের (আইওটি) পাশাপাশি আরও অনেক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে এ সেবায়। এতে করে জরুরি সহায়তা আরও দ্রুত ও নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
সূত্র বলছে, কুমিল্লার ঘটনার পরের তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৮২টি। প্রতিটি ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সাহায্যের জন্য ফোন আসে। সে ফোনের সঙ্গে থানা-পুলিশকেও সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৯৯৯ ফোন থেকে ফোন দিলেও চাঁদপুর ও নোয়াখালী, কুড়িগ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় সময়মতো পুলিশি সেবা মেলেনি। এতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
জাতীয় জরুরি সেবার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২৫টা করে ফোন আসে। এক ঘটনায় একটির বেশি ফোনকল গণনা না করলেও অন্তত পাঁচ শটি কল থানা-পুলিশকে পার করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত ফোন পেয়েও থানা-পুলিশ কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি? কার গাফিলতি ছিল এসব ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ অধিদপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের চার মহানগর ও ২৮ জেলায় মামলা হয়েছে ১২৪টি। এসব মামলায় ২২ হাজার ৩০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি নামে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯ জনকে। আসামিদের মধ্যে ৯৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকেই জরুরি সেবায় ফোন এসেছিল। কিন্তু পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সময়মতো পৌঁছালে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলাকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যথাসময়ে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রও (আসক)। আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। এমনকি বিজয়া দশমীর দিনে দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদাও দেওয়া হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করেন, এরপরই হামলা শুরু হয়।
আবার হামলার বিষয়ে অগ্রিম তথ্য পেয়েও পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, সে বিষয়ে তদন্ত টিম করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ চার জেলা পুলিশের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সব জেলার পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদরের একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত দল তদন্ত চালাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হামলার ঘটনাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এসেছে। কারণ, সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তা ছাড়া, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকা এবং ওসির দেড় ঘণ্টা ফোন না ধরার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অবশ্য এ অভিযোগে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ফোন সব সময় হাতেই থাকে। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এক ভুল বারবার হবে না।’
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুসারে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে নোয়াখালীতে। এ জেলায় ২৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এত বেশি মামলা আর কোথাও হয়নি। জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত দল এসেছিল। তারা কাজ করছে।
ঘটনার সময় বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন—এমন একাধিক পুলিশ সদস্য বলেছেন, জাতীয় জরুরি সেবার জন্য থানাতে নির্ধারিত কোনো দল নেই। রয়েছে গাড়ির সংকটও। হঠাৎ ফোন এলেই দিগ্বিদিক ছুটতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। অপারেশনাল কাজে ব্যস্ত থাকায় কখনো কখনো স্পটে যাওয়ার জন্য লোকবল পাওয়া যায় না। থানাতে যদি এই সেবার জন্য আলাদা গাড়ি ও টিম থাকে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা আরও সহজে পৌঁছানো যেত।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি টিম সেখানে গিয়ে তদন্ত করেছে। দায়িত্ব পালনে চৌমুহনীতে পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
৯৯৯ সেবার সমন্বয়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্ল্যাহও বলেছেন একই কথা। তাঁর মতে, টহল গাড়ির জন্য সঠিক সময়ে স্পটে যেতে পারে না থানা-পুলিশ। কোথাও দ্রুত সেবা দিতে পারলেও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। মহানগরগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি কল আসে। সেখানে সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাদের। তেমনি শহর থেকে দূরে থানাগুলোতেও সমস্যা দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনায় অবশ্যই পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিল। এসব ক্ষেত্রে দুইভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। পুলিশের কাছে আগে থেকেই সব ধরনের তথ্য থাকবে। না হয় পুরো পূজা প্রক্রিয়াটা একটা গার্ডের ভেতরে আনতে হবে। সেখানে পুলিশসহ সমাজের লোকেরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবে।’
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
১০ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
১২ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
১২ ঘণ্টা আগে