নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ বছরে দেশে ৬০ হাজার ৯৮০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩৩৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৭ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৫৫৩ জন নিহত এবং ৪৬ হাজার ১৬৭ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সড়ক সেক্টরে সীমাহীন অব্যবস্থাপনা: দায়িত্ব নেবে কে?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আলোচনায় বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জনের মধ্যে ৭৫ হাজার ৮৮৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে; যাদের মধ্যে চালক, পথচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশের ইতিহাসে সড়ক মন্ত্রণালয়ের এক যুগেরও বেশি সময়ের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়কে চাঁদাবাজি, মানসম্মত গণপরিবহন নামানো, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে চরমভাবে ব্যর্থতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পরেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএতে ওবায়দুল কাদেরের প্রেতাত্মারা পদে পদে বসে আছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গণপরিবহন সংকটে মোটরসাইকেলে যাতায়াতের কারণে ২০ হাজার ১২৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৫৫৩ জন নিহত এবং ৪৬ হাজার ১৬৭ জন আহত হয়েছেন; যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জনের মধ্যে ৭৫ হাজার ৮৮৪ জনের পরিচয় মিলেছে। যার মধ্যে ১৪ হাজার ৯২৮ জন চালক, ১৭ হাজার ১৫০ জন পথচারী, ৭ হাজার ৩৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী, ১ হাজার ৫৯৩ জন শিক্ষক, ৫১৪ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১২ হাজার ১০৯ জন নারী, ৮ হাজার ৬৭ শিশু, ৫৫৯ জন সাংবাদিক, ৪৩০ জন চিকিৎসক, ২৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৫৫ জন শিল্পী, ৩৬১ জন আইনজীবী, ৩৩০ জন প্রকৌশলী এবং ৩ হাজার ৪১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮৮ হাজার ১২৭টি যানবাহনের পরিচয় গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে; যার ২০ হাজার ৫৪৯টি ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ডভ্যান, ২০ হাজার ১২৪টি মোটরসাইকেল, ১৫ হাজার ৩০১টি বাস, ৮ হাজার ২১৫টি নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৯ হাজার ৪৪টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ হাজার ৩১২টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৫ হাজার ৫৮২টি কার-জিপ-মাইক্রোবাস।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ৮২ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৮৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম শাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেকে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ বছরে দেশে ৬০ হাজার ৯৮০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩৩৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৭ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৫৫৩ জন নিহত এবং ৪৬ হাজার ১৬৭ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সড়ক সেক্টরে সীমাহীন অব্যবস্থাপনা: দায়িত্ব নেবে কে?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আলোচনায় বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জনের মধ্যে ৭৫ হাজার ৮৮৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে; যাদের মধ্যে চালক, পথচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশের ইতিহাসে সড়ক মন্ত্রণালয়ের এক যুগেরও বেশি সময়ের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়কে চাঁদাবাজি, মানসম্মত গণপরিবহন নামানো, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে চরমভাবে ব্যর্থতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পরেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএতে ওবায়দুল কাদেরের প্রেতাত্মারা পদে পদে বসে আছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গণপরিবহন সংকটে মোটরসাইকেলে যাতায়াতের কারণে ২০ হাজার ১২৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৫৫৩ জন নিহত এবং ৪৬ হাজার ১৬৭ জন আহত হয়েছেন; যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জনের মধ্যে ৭৫ হাজার ৮৮৪ জনের পরিচয় মিলেছে। যার মধ্যে ১৪ হাজার ৯২৮ জন চালক, ১৭ হাজার ১৫০ জন পথচারী, ৭ হাজার ৩৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী, ১ হাজার ৫৯৩ জন শিক্ষক, ৫১৪ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১২ হাজার ১০৯ জন নারী, ৮ হাজার ৬৭ শিশু, ৫৫৯ জন সাংবাদিক, ৪৩০ জন চিকিৎসক, ২৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৫৫ জন শিল্পী, ৩৬১ জন আইনজীবী, ৩৩০ জন প্রকৌশলী এবং ৩ হাজার ৪১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮৮ হাজার ১২৭টি যানবাহনের পরিচয় গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে; যার ২০ হাজার ৫৪৯টি ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ডভ্যান, ২০ হাজার ১২৪টি মোটরসাইকেল, ১৫ হাজার ৩০১টি বাস, ৮ হাজার ২১৫টি নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৯ হাজার ৪৪টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ হাজার ৩১২টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৫ হাজার ৫৮২টি কার-জিপ-মাইক্রোবাস।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ৮২ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৮৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম শাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেকে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে দলগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তৈরি করেছিল উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হচ্ছে, এর লিখিত রূপ হিসেবে জাতীয় সনদের কথা বলা হচ্ছে। সেটা হচ্ছে সামাজিক চুক্তি। রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সঙ্গে চুক্তি করবে। ফলে নাগরিকের
৩৭ মিনিট আগেপুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই ও এনএসআইসহ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতি নির্বিচার বিষোদগার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান। তিনি বলেছেন, কেউ অপরাধ করলে তার বিচার অবশ্যই হতে হবে, কিন্তু সংস্থাকে আন্ডারমাইন করবেন না। আজ মঙ্গলবার মহাখালীর
১ ঘণ্টা আগেহজযাত্রাকে সহজ, সুন্দর ও নিরাপদ করতে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালু করে যাত্রীদের সার্বক্ষণিক সেবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেজনগণ সংগঠিত না হয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি ও বিষোদ্গার করতে থাকলে তা অপরাধীদের চমৎকার সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে আয়োজিত ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে