Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বিজ্ঞপ্তি
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪, ১৩: ১১
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। 

এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামরিক ও অসামরিক অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নবনির্মিত ছয়টি ভৌত অবকাঠামো (বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, নিদ্রাসকিনা ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী) এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরসহ তিনটি জোন, ছয়টি জাহাজ এবং সাতটি স্টেশনে নব সংযোজিত VSATNET System ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন। 

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক ১০ জন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ১০ জন, প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক ১০ জন এবং প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ১০ জনসহ মোট ৪০ জনকে প্রদান করেন। 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী ভাবনার ফলেই আমাদের নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবি সংবলিত The Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974 প্রণীত হয়। পরবর্তীতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। 

বিগত ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিল’ উত্থাপন করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে দুটি জাহাজ ও দুটি বোট এবং প্রেষণে আগত ২২০ জন নৌ-সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তার পথচলা শুরু করে। পরবর্তীতে কালের পরিক্রমায় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে এবং অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য। কোস্টগার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে। 

আসন্ন দিনগুলোতে দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণে সততা, পেশাদারি এবং দেশপ্রেমের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর কোস্টগার্ড। সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলস কাজ করে যাবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত