শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
প্রতারণা ও ডিজিটাল জালিয়াতি করে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩১টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আরও নজরদারিতে আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, ঢাকঢোল পিটিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তদন্তও আর সেভাবে এগোচ্ছে না। অনেক মামলার তদন্ত এরই মধ্যে থমকে গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় মনে করছে, ই-কমার্সের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার যে উদ্যোগ, তাতে ভাটা পড়তে পারে। তাঁরা মনে করছেন, মামলা দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে বরং তাদের নীতিমালার আওতায় এনে সংশোধন করাটা সহজ পন্থা। সে কারণে মামলা নিয়ে আপাতত কোনো তোড়জোড় হচ্ছে না।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে বলেছেন, ঝুলে না গেলেও মামলাগুলোর তদন্তের গতি কিছুটা কমে গেছে।
তবে কেন কমেছে, জানতে চাইলে সিআইডি কর্মকর্তারা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে ভালো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তদের জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। এখন সেসব নিয়েই পরিকল্পনা চলছে।
জানতে চাইলে সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মাসুদ উল হাসান বলেন, কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠানের জন্য তো পুরো ই-কমার্স ব্যবসা হুমকিতে পড়তে পারে না।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একটি সূত্র বলছে, ই-কমার্স এবং অনলাইন কেলেঙ্কারির বিষয়ে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি একটি ছাতার নিচে আনা হচ্ছে। যেখানে নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারিতে থাকছে সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। প্রতারণার অর্থ ফেরত দিয়ে জবাবদিহির মধ্যে থেকে সেখানে ব্যবসা করার সুযোগ পেতে পারেন পুরোনো ব্যবসায়ীরাও। তাই মামলার তদন্তের গতি কিছুটা কমে গেছে।
গত কয়েক বছরে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজারো কোটি টাকা লুটে নেওয়া ২৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) আইনে ৩৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১১২ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারসহ ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তার সঠিক হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
সাধারণ হিসাব করে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারের তথ্য উঠে এসেছে সিআইডির অনুসন্ধানে।
সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ই-কমার্সে জালিয়াতির মাধ্যমে যারা অর্থ পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আরও মামলা হচ্ছে।
এদিকে ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে এ-সংক্রান্ত কঠোর বিধিবিধান প্রস্তাব করে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার–এনটিএমসি। এনটিএমসিএর খসড়া নীতিমালায় বলা হচ্ছে, এটি বাস্তবায়ন হলে ই-কমার্স এবং ডিজিটাল ই-কমার্স ব্যবসা তদারকি ও পর্যবেক্ষণ সহজ হবে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেকোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অভিযোগ-মামলার পরও কেউ যদি নীতিমালার মধ্যে থেকে ব্যবসা করতে পারে, তাহলে সেটা করুক। দু-একজনের জন্য ই-কমার্স পুরো ব্যবসা বন্ধ করা উচিত হবে না।
প্রতারণা ও ডিজিটাল জালিয়াতি করে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩১টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আরও নজরদারিতে আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, ঢাকঢোল পিটিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তদন্তও আর সেভাবে এগোচ্ছে না। অনেক মামলার তদন্ত এরই মধ্যে থমকে গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় মনে করছে, ই-কমার্সের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার যে উদ্যোগ, তাতে ভাটা পড়তে পারে। তাঁরা মনে করছেন, মামলা দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে বরং তাদের নীতিমালার আওতায় এনে সংশোধন করাটা সহজ পন্থা। সে কারণে মামলা নিয়ে আপাতত কোনো তোড়জোড় হচ্ছে না।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে বলেছেন, ঝুলে না গেলেও মামলাগুলোর তদন্তের গতি কিছুটা কমে গেছে।
তবে কেন কমেছে, জানতে চাইলে সিআইডি কর্মকর্তারা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে ভালো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তদের জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। এখন সেসব নিয়েই পরিকল্পনা চলছে।
জানতে চাইলে সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মাসুদ উল হাসান বলেন, কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠানের জন্য তো পুরো ই-কমার্স ব্যবসা হুমকিতে পড়তে পারে না।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একটি সূত্র বলছে, ই-কমার্স এবং অনলাইন কেলেঙ্কারির বিষয়ে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি একটি ছাতার নিচে আনা হচ্ছে। যেখানে নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারিতে থাকছে সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। প্রতারণার অর্থ ফেরত দিয়ে জবাবদিহির মধ্যে থেকে সেখানে ব্যবসা করার সুযোগ পেতে পারেন পুরোনো ব্যবসায়ীরাও। তাই মামলার তদন্তের গতি কিছুটা কমে গেছে।
গত কয়েক বছরে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজারো কোটি টাকা লুটে নেওয়া ২৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) আইনে ৩৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১১২ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারসহ ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তার সঠিক হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
সাধারণ হিসাব করে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারের তথ্য উঠে এসেছে সিআইডির অনুসন্ধানে।
সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ই-কমার্সে জালিয়াতির মাধ্যমে যারা অর্থ পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আরও মামলা হচ্ছে।
এদিকে ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে এ-সংক্রান্ত কঠোর বিধিবিধান প্রস্তাব করে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার–এনটিএমসি। এনটিএমসিএর খসড়া নীতিমালায় বলা হচ্ছে, এটি বাস্তবায়ন হলে ই-কমার্স এবং ডিজিটাল ই-কমার্স ব্যবসা তদারকি ও পর্যবেক্ষণ সহজ হবে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেকোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অভিযোগ-মামলার পরও কেউ যদি নীতিমালার মধ্যে থেকে ব্যবসা করতে পারে, তাহলে সেটা করুক। দু-একজনের জন্য ই-কমার্স পুরো ব্যবসা বন্ধ করা উচিত হবে না।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশের একাধিক সংস্থা। আইনজীবীরা এই অভিযোগগুলোকে ‘সুনাম নষ্টের প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন।
১৩ মিনিট আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য সাবেক কমিশনার (তদন্ত) জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল ও তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কামরুজ্জামানের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তিন আলোচিত আসামিকে দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ আড়াই বছর পর কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে প্রধান অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ওরফে শিব শংকর হালদার। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময়
৩ ঘণ্টা আগে