Ajker Patrika

নিরাপত্তার জন্য বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি চান প্রবাসীরা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ২০: ৩৩
নিরাপত্তার জন্য বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি চান প্রবাসীরা

ঢাকা: নিরাপত্তার জন্য বন্দুক ব্যবহারের অনুমতি চান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ফিরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা বলেছেন যে, দেশে এলে তাঁরা নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। এ কারণে দেশে এলে তাঁদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছেন। না হলে বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি চেয়েছেন প্রবাসীরা। গ্রামে প্রবাসীরা এলে সেখানকার মানুষেরা মনে করে, অনেক ধনী, ফলে আক্রমণ করে। এ নিয়ে প্রবাসীরা ঝামেলায় থাকেন।

প্রবাসীদের অস্ত্র ব্যবহারের দাবি নিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করবো। আমরা নিরাপত্তা দিই সবাইকে। অনেক সময়ে তাদের সম্পত্তি পরিবারের লোকদের দ্বারা বেহাত হয়।

প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র চান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি আমরা যুক্তরাজ্যে, মালয়েশিয়াতে শুরু করেছিলাম। কোভিডের কারণে একটু বাধা পড়েছে।

প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মিশন যেমন তথ্য নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠায়, এনআইডির ক্ষেত্রেও একই ভাবে করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এনআইডি তৈরি করে পররাষ্ট্রকে দেবে। পররাষ্ট্র মিশনগুলোর মাধ্যমে তা বিতরণ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু বাংলাদেশি কমিউনিটির বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দেড় বছরে ৩০০ বাংলাদেশি মারা গেছেন। বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কয়েকটি দাবি তুলেছেন। কোভিডের সময়ে অনেক অর্থ আয় করেছেন তাঁরা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশ থেকে এক ব্যক্তি ১ কোটি টাকার ওপর বন্ড কিনতে পারেন না। তাঁরা এ সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সুদের হার কমিয়ে দিয়ে হলেও এটি প্রবাসীরা চান।

এতে করে পাচারকৃত টাকা সাদা করার সুযোগ বাড়বে কি–না? এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার আত্মীয় স্বজন এঁরাইতো টাকা পাঠান? কে যে পাঠান, এটা বলা বড় মুশকিল। যাঁরা পাঠান তাঁরা বলেন না। খালি মুখে বলেন, তথ্য দেন না। আমরা যখন চাই কে পাঠাইসে, কয় টাকা পাঠাইসে, ওইটা তখন আর বলে না। ওই দেশে সরকার যারা রয়েছেন তাঁরা প্রটেক্ট করেন। আপনি যদি টাকা পাঠান, ওই দেশ আপনার তথ্য কখনও দেবে না। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি টাকা বাড়ছে। কিন্তু কোনো তথ্য দেয় না। বলে ‘প্রাইভেসি অ্যাক্ট’।

কালো টাকার সংজ্ঞা ও কর না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমার এক ইকোনমিস্ট বন্ধু বলেছেন, এটা খুব ভালো। আমি বললাম, কেন ভালো? সরকারকে ট্যাক্স দিলে সরকার ট্যাক্সের টাকা ঠিকমতো ইউজ করে না, ওনার ধারণায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ চান প্রবাসীরা। সম্প্রতি ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’–এর আবেদন অনেক বেড়ে গেছে। এটি আমরা দিব। তাঁরা জমি বিক্রি করে আইনত অর্থ নিতে পারেন না। ফলে আইন অনুযায়ী অর্থ নেওয়ার আবেদন করেছেন। এ জন্য ফি দিতে হলেও রাজি প্রবাসীরা। না হলে মানিলন্ডারিং করে টাকা নিয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত