কূটনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা: নিরাপত্তার জন্য বন্দুক ব্যবহারের অনুমতি চান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ফিরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা বলেছেন যে, দেশে এলে তাঁরা নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। এ কারণে দেশে এলে তাঁদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছেন। না হলে বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি চেয়েছেন প্রবাসীরা। গ্রামে প্রবাসীরা এলে সেখানকার মানুষেরা মনে করে, অনেক ধনী, ফলে আক্রমণ করে। এ নিয়ে প্রবাসীরা ঝামেলায় থাকেন।
প্রবাসীদের অস্ত্র ব্যবহারের দাবি নিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করবো। আমরা নিরাপত্তা দিই সবাইকে। অনেক সময়ে তাদের সম্পত্তি পরিবারের লোকদের দ্বারা বেহাত হয়।
প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র চান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি আমরা যুক্তরাজ্যে, মালয়েশিয়াতে শুরু করেছিলাম। কোভিডের কারণে একটু বাধা পড়েছে।
প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মিশন যেমন তথ্য নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠায়, এনআইডির ক্ষেত্রেও একই ভাবে করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এনআইডি তৈরি করে পররাষ্ট্রকে দেবে। পররাষ্ট্র মিশনগুলোর মাধ্যমে তা বিতরণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু বাংলাদেশি কমিউনিটির বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দেড় বছরে ৩০০ বাংলাদেশি মারা গেছেন। বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কয়েকটি দাবি তুলেছেন। কোভিডের সময়ে অনেক অর্থ আয় করেছেন তাঁরা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশ থেকে এক ব্যক্তি ১ কোটি টাকার ওপর বন্ড কিনতে পারেন না। তাঁরা এ সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সুদের হার কমিয়ে দিয়ে হলেও এটি প্রবাসীরা চান।
এতে করে পাচারকৃত টাকা সাদা করার সুযোগ বাড়বে কি–না? এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার আত্মীয় স্বজন এঁরাইতো টাকা পাঠান? কে যে পাঠান, এটা বলা বড় মুশকিল। যাঁরা পাঠান তাঁরা বলেন না। খালি মুখে বলেন, তথ্য দেন না। আমরা যখন চাই কে পাঠাইসে, কয় টাকা পাঠাইসে, ওইটা তখন আর বলে না। ওই দেশে সরকার যারা রয়েছেন তাঁরা প্রটেক্ট করেন। আপনি যদি টাকা পাঠান, ওই দেশ আপনার তথ্য কখনও দেবে না। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি টাকা বাড়ছে। কিন্তু কোনো তথ্য দেয় না। বলে ‘প্রাইভেসি অ্যাক্ট’।
কালো টাকার সংজ্ঞা ও কর না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমার এক ইকোনমিস্ট বন্ধু বলেছেন, এটা খুব ভালো। আমি বললাম, কেন ভালো? সরকারকে ট্যাক্স দিলে সরকার ট্যাক্সের টাকা ঠিকমতো ইউজ করে না, ওনার ধারণায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ চান প্রবাসীরা। সম্প্রতি ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’–এর আবেদন অনেক বেড়ে গেছে। এটি আমরা দিব। তাঁরা জমি বিক্রি করে আইনত অর্থ নিতে পারেন না। ফলে আইন অনুযায়ী অর্থ নেওয়ার আবেদন করেছেন। এ জন্য ফি দিতে হলেও রাজি প্রবাসীরা। না হলে মানিলন্ডারিং করে টাকা নিয়ে যান।
ঢাকা: নিরাপত্তার জন্য বন্দুক ব্যবহারের অনুমতি চান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ফিরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা বলেছেন যে, দেশে এলে তাঁরা নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। এ কারণে দেশে এলে তাঁদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছেন। না হলে বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি চেয়েছেন প্রবাসীরা। গ্রামে প্রবাসীরা এলে সেখানকার মানুষেরা মনে করে, অনেক ধনী, ফলে আক্রমণ করে। এ নিয়ে প্রবাসীরা ঝামেলায় থাকেন।
প্রবাসীদের অস্ত্র ব্যবহারের দাবি নিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করবো। আমরা নিরাপত্তা দিই সবাইকে। অনেক সময়ে তাদের সম্পত্তি পরিবারের লোকদের দ্বারা বেহাত হয়।
প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র চান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি আমরা যুক্তরাজ্যে, মালয়েশিয়াতে শুরু করেছিলাম। কোভিডের কারণে একটু বাধা পড়েছে।
প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মিশন যেমন তথ্য নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠায়, এনআইডির ক্ষেত্রেও একই ভাবে করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এনআইডি তৈরি করে পররাষ্ট্রকে দেবে। পররাষ্ট্র মিশনগুলোর মাধ্যমে তা বিতরণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু বাংলাদেশি কমিউনিটির বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দেড় বছরে ৩০০ বাংলাদেশি মারা গেছেন। বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কয়েকটি দাবি তুলেছেন। কোভিডের সময়ে অনেক অর্থ আয় করেছেন তাঁরা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশ থেকে এক ব্যক্তি ১ কোটি টাকার ওপর বন্ড কিনতে পারেন না। তাঁরা এ সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সুদের হার কমিয়ে দিয়ে হলেও এটি প্রবাসীরা চান।
এতে করে পাচারকৃত টাকা সাদা করার সুযোগ বাড়বে কি–না? এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার আত্মীয় স্বজন এঁরাইতো টাকা পাঠান? কে যে পাঠান, এটা বলা বড় মুশকিল। যাঁরা পাঠান তাঁরা বলেন না। খালি মুখে বলেন, তথ্য দেন না। আমরা যখন চাই কে পাঠাইসে, কয় টাকা পাঠাইসে, ওইটা তখন আর বলে না। ওই দেশে সরকার যারা রয়েছেন তাঁরা প্রটেক্ট করেন। আপনি যদি টাকা পাঠান, ওই দেশ আপনার তথ্য কখনও দেবে না। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি টাকা বাড়ছে। কিন্তু কোনো তথ্য দেয় না। বলে ‘প্রাইভেসি অ্যাক্ট’।
কালো টাকার সংজ্ঞা ও কর না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমার এক ইকোনমিস্ট বন্ধু বলেছেন, এটা খুব ভালো। আমি বললাম, কেন ভালো? সরকারকে ট্যাক্স দিলে সরকার ট্যাক্সের টাকা ঠিকমতো ইউজ করে না, ওনার ধারণায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ চান প্রবাসীরা। সম্প্রতি ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’–এর আবেদন অনেক বেড়ে গেছে। এটি আমরা দিব। তাঁরা জমি বিক্রি করে আইনত অর্থ নিতে পারেন না। ফলে আইন অনুযায়ী অর্থ নেওয়ার আবেদন করেছেন। এ জন্য ফি দিতে হলেও রাজি প্রবাসীরা। না হলে মানিলন্ডারিং করে টাকা নিয়ে যান।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসে দেশে গণপিটুনিতে ১১৯ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হয়েছেন। এ সময় সারা দেশে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট
১৬ মিনিট আগেরমজান মাসে দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা রাজধানীর সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে...
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে গত ১৫ বছরে সংঘটিত জোরপূর্বক গুম ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সমাজের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম আজ বুধবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের লাখো শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশনের আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর
১ ঘণ্টা আগে