শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্তত ৭১৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চার শতাধিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। সেখানে কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। থানার পুলিশের হাতে থাকা মামলাগুলোর তদন্তও দ্রুত শেষ করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের ওপর চাপ রয়েছে। সদর দপ্তর থেকে সরাসরি তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ সদর দপ্তর ও একাধিক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে চায় সরকার। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাজ করছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা আসামি, থানায় দায়ের হওয়া এমন মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ঢাকার বাইরের মামলাগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে অনেক স্থানীয় নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রেঞ্জভিত্তিক তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার অগ্রগতি তদারক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব রেঞ্জের শতাধিক তদন্তকারীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
গত ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রাজশাহী রেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই বৈঠকে শেখ হাসিনা আসামি থাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর অগ্রগতি জানতে চাওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলার একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এক অনলাইন বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মামলাগুলোর অগ্রগতি জানতে চান এবং তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। তবে কোনো কোনো তদন্তকারী এতে আপত্তি জানান।
বগুড়ার ওই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অনলাইন বৈঠকটিতে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতনদের বলেন, এগুলো রাজনৈতিক মামলা, ভবিষ্যতে আবার পুলিশের ওপর চাপ আসতে পারে। তখন কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, সেই ভয় তাঁদের মধ্যে রয়েছে।
পুলিশ সদরের গুরুত্বপূর্ণ মামলার তালিকায় শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে হওয়া মামলাগুলোও রয়েছে। সূত্র বলছে, শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ অন্তত ৭১৬টির পর তাঁর বোন শেখ রেহানা ৩৭টি, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৩৩টি, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৬টি এবং ভাতিজা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ৫টি মামলার আসামি।
শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মুখপাত্র) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো মামলার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খোঁজখবর রাখেন। এটি মামলার তদারকির নিয়মিত প্রক্রিয়া। সব মামলার তদন্তই দ্রুত শেষ করার তাগিদ থাকে।’
ট্রাইব্যুনালের পরিস্থিতি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, গুম, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যা আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। তবে কৌঁসুলিরা এর আগেই তদন্ত শেষ করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে চান। চলতি বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার বিচারকাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে ট্রাইব্যুনালের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী মার্চের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা সম্ভব হবে। যদি তদন্ত রিপোর্ট মার্চের মধ্যে পাওয়া যায়, তাহলে এপ্রিল থেকে বিচারপ্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হতে পারে।’
সার্বিক বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে চাকরি করে। সরকার চাইলে তদন্ত দ্রুত করতে হবে। তবে এটা খেয়াল রাখতে হবে যেন দ্রুত তদন্ত করতে গিয়ে কোনো ভুল না হয়।’
জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্তত ৭১৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চার শতাধিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। সেখানে কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। থানার পুলিশের হাতে থাকা মামলাগুলোর তদন্তও দ্রুত শেষ করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের ওপর চাপ রয়েছে। সদর দপ্তর থেকে সরাসরি তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ সদর দপ্তর ও একাধিক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে চায় সরকার। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাজ করছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা আসামি, থানায় দায়ের হওয়া এমন মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ঢাকার বাইরের মামলাগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে অনেক স্থানীয় নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রেঞ্জভিত্তিক তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার অগ্রগতি তদারক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব রেঞ্জের শতাধিক তদন্তকারীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
গত ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রাজশাহী রেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই বৈঠকে শেখ হাসিনা আসামি থাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর অগ্রগতি জানতে চাওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলার একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এক অনলাইন বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মামলাগুলোর অগ্রগতি জানতে চান এবং তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। তবে কোনো কোনো তদন্তকারী এতে আপত্তি জানান।
বগুড়ার ওই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অনলাইন বৈঠকটিতে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতনদের বলেন, এগুলো রাজনৈতিক মামলা, ভবিষ্যতে আবার পুলিশের ওপর চাপ আসতে পারে। তখন কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, সেই ভয় তাঁদের মধ্যে রয়েছে।
পুলিশ সদরের গুরুত্বপূর্ণ মামলার তালিকায় শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে হওয়া মামলাগুলোও রয়েছে। সূত্র বলছে, শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ অন্তত ৭১৬টির পর তাঁর বোন শেখ রেহানা ৩৭টি, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৩৩টি, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৬টি এবং ভাতিজা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ৫টি মামলার আসামি।
শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মুখপাত্র) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো মামলার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খোঁজখবর রাখেন। এটি মামলার তদারকির নিয়মিত প্রক্রিয়া। সব মামলার তদন্তই দ্রুত শেষ করার তাগিদ থাকে।’
ট্রাইব্যুনালের পরিস্থিতি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, গুম, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যা আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। তবে কৌঁসুলিরা এর আগেই তদন্ত শেষ করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে চান। চলতি বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার বিচারকাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে ট্রাইব্যুনালের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী মার্চের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা সম্ভব হবে। যদি তদন্ত রিপোর্ট মার্চের মধ্যে পাওয়া যায়, তাহলে এপ্রিল থেকে বিচারপ্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হতে পারে।’
সার্বিক বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে চাকরি করে। সরকার চাইলে তদন্ত দ্রুত করতে হবে। তবে এটা খেয়াল রাখতে হবে যেন দ্রুত তদন্ত করতে গিয়ে কোনো ভুল না হয়।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য ও সুখ কামনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছ
৩ ঘণ্টা আগেএবারের ঈদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমরা একে অপরের কাছাকাছি যেতে পারি, আমাদের দূরত্ব কমিয়ে আনতে পারি, দেশ ও সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। কারণ, এবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা অর্জন করতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে এই বার্তা মনে রাখতে হবে
৪ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন জেলায় গত মার্চ মাসে ১৮টি ঘটনায় ৩৪ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হামলা, আইনি হয়রানি, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। মার্চ মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এবার তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে সরকার।
৫ ঘণ্টা আগে