নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘যারা অর্থ পাচার করে, দেশের ও জনগণের স্বার্থে তাদের কাউকে ছাড় দিতে আমরা প্রস্তুত নই। আমরা একটা রায় দেব, যেটা হবে মাইলফলক। একটা উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আমরা কেন ছেড়ে দেব? আমাদের দায়িত্ব নেই?’
অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
অর্থ পাচারে জড়িত প্যারাডাইস ও পানামা পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে গত ৩০ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে ৬ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সিআইডি ও দুদক রোববার প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ সদস্যের একটি কমিটি করেছে সিআইডি। পরে আদালত কমিটিতে এনবিআরের একজন প্রতিনিধি রাখতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ এপ্রিল এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
শুনানির শুরুতেই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সিআইডি প্রতিবেদন দিয়েছে। আদালত বলেন, কি দিয়েছে? আমরা তো বলেছিলাম যৌথ প্রতিবেদন দিতে। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদকের আপডেট আছে। দুদক এখনো সরকারি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বাইরে কারও বিষয়ে তদন্ত করতে পারে না। তবে আইনটি সংশোধন হচ্ছে।
হাইকোর্ট বলেন, যারা অর্থ পাচার করছে তারা তো খুব বেশি না। দুদকের আইনজীবী বলেন, অনেক। আমরা কাজ করছি।
এ সময় দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনারা তো সবই করতে পারেন। নিজেরা ডাকতে পারেন, তদন্ত করতে পারেন, এফআইআরও করতে পারেন। আপনাদের তো অনেক ক্ষমতা। এগুলো প্রয়োগ করতে হবে, কাজ করতে হবে। নইলে জনগণের কাছে আপনাদের মাথা নিচু হয়ে যাবে।’
রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দী দাস বলেন, ‘আমরা এখনো জানতে পারিনি বেগম পাড়ায় কাদের বাড়ি আছে।’
এর আগে প্যারাডাইস ও পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশি ৬৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত ২৬ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করে বিএফআইইউ। আর ৩০ জানুয়ারি দুদকের আইনজীবী পানামা পেপারসে নাম আসা ৬১ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের তালিকা দাখিল করেন। এর আগে ৪৩ জনের তালিকা দিয়েছিল দুদক।
এর আগে পাচার করা বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘যারা অর্থ পাচার করে, দেশের ও জনগণের স্বার্থে তাদের কাউকে ছাড় দিতে আমরা প্রস্তুত নই। আমরা একটা রায় দেব, যেটা হবে মাইলফলক। একটা উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আমরা কেন ছেড়ে দেব? আমাদের দায়িত্ব নেই?’
অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
অর্থ পাচারে জড়িত প্যারাডাইস ও পানামা পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে গত ৩০ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে ৬ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সিআইডি ও দুদক রোববার প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ সদস্যের একটি কমিটি করেছে সিআইডি। পরে আদালত কমিটিতে এনবিআরের একজন প্রতিনিধি রাখতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ এপ্রিল এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
শুনানির শুরুতেই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সিআইডি প্রতিবেদন দিয়েছে। আদালত বলেন, কি দিয়েছে? আমরা তো বলেছিলাম যৌথ প্রতিবেদন দিতে। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদকের আপডেট আছে। দুদক এখনো সরকারি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বাইরে কারও বিষয়ে তদন্ত করতে পারে না। তবে আইনটি সংশোধন হচ্ছে।
হাইকোর্ট বলেন, যারা অর্থ পাচার করছে তারা তো খুব বেশি না। দুদকের আইনজীবী বলেন, অনেক। আমরা কাজ করছি।
এ সময় দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনারা তো সবই করতে পারেন। নিজেরা ডাকতে পারেন, তদন্ত করতে পারেন, এফআইআরও করতে পারেন। আপনাদের তো অনেক ক্ষমতা। এগুলো প্রয়োগ করতে হবে, কাজ করতে হবে। নইলে জনগণের কাছে আপনাদের মাথা নিচু হয়ে যাবে।’
রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দী দাস বলেন, ‘আমরা এখনো জানতে পারিনি বেগম পাড়ায় কাদের বাড়ি আছে।’
এর আগে প্যারাডাইস ও পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশি ৬৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত ২৬ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করে বিএফআইইউ। আর ৩০ জানুয়ারি দুদকের আইনজীবী পানামা পেপারসে নাম আসা ৬১ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের তালিকা দাখিল করেন। এর আগে ৪৩ জনের তালিকা দিয়েছিল দুদক।
এর আগে পাচার করা বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
১০ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
১১ ঘণ্টা আগে