নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. আলমগীর কবির রাজের ভবিষ্যৎ পদোন্নতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর ২ (চ) বিধিতে উল্লেখিত অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় একই বিধিমালার বিধি ১৬ (খ) (২) অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বলেন, অতিরিক্ত জেলা জজ আলমগীর কবির রাজের ভবিষ্যৎ পদোন্নতি বন্ধের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় তাঁর বিষয়ে আদেশ জারি করবে।
জানা যায়, আলমগীর কবির রাজের বিরুদ্ধে অসদাচরণমূলক আচরণ সম্পর্কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। তাতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫ জুন গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তিনি জানতে পারেন যে এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ওই নারী অতিরিক্ত জেলা জজ রাজের প্রথম স্ত্রী। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও গণমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
জেলা জজের চিঠিতে বলা হয়, ওই ঘটনায় গণমাধ্যমের পাশাপাশি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে সংবাদ প্রচারিত হয়। পরদিন রাজের প্রথম স্ত্রী জেলা জজের সঙ্গে দেখা করে জানান যে তাঁর স্বামী বাসার কাজের মেয়েকে বিনা অনুমতিতে বিয়ে করে গোপন রেখেছেন। তাঁর স্বামী তাঁকে এবং সন্তানদের নিয়মিত ভরণপোষণও দেন না। এতে বিচার বিভাগের সম্মান ও ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর রাজের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
জেলা জজের চিঠির পর বিচারক রাজের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। তবে রাজের দেওয়া ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় পরে অভিযোগ অনুসন্ধানে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিককে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করে মন্ত্রণালয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. আলমগীর কবির রাজের ভবিষ্যৎ পদোন্নতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর ২ (চ) বিধিতে উল্লেখিত অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় একই বিধিমালার বিধি ১৬ (খ) (২) অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বলেন, অতিরিক্ত জেলা জজ আলমগীর কবির রাজের ভবিষ্যৎ পদোন্নতি বন্ধের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় তাঁর বিষয়ে আদেশ জারি করবে।
জানা যায়, আলমগীর কবির রাজের বিরুদ্ধে অসদাচরণমূলক আচরণ সম্পর্কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। তাতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫ জুন গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তিনি জানতে পারেন যে এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ওই নারী অতিরিক্ত জেলা জজ রাজের প্রথম স্ত্রী। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও গণমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
জেলা জজের চিঠিতে বলা হয়, ওই ঘটনায় গণমাধ্যমের পাশাপাশি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে সংবাদ প্রচারিত হয়। পরদিন রাজের প্রথম স্ত্রী জেলা জজের সঙ্গে দেখা করে জানান যে তাঁর স্বামী বাসার কাজের মেয়েকে বিনা অনুমতিতে বিয়ে করে গোপন রেখেছেন। তাঁর স্বামী তাঁকে এবং সন্তানদের নিয়মিত ভরণপোষণও দেন না। এতে বিচার বিভাগের সম্মান ও ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর রাজের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
জেলা জজের চিঠির পর বিচারক রাজের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। তবে রাজের দেওয়া ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় পরে অভিযোগ অনুসন্ধানে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিককে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করে মন্ত্রণালয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ মঈনুদ্দিন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সহকারী হিসেবে কাজ করবেন।
১৩ মিনিট আগে‘মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাঁর পরিবারের সদস্য, সহযোগী বা দোসরদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।’
২ ঘণ্টা আগেআলোচিত এস আলম গ্রুপের ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ১১ ব্যক্তিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন
২ ঘণ্টা আগেশেখ মইনউদ্দিন এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়বকে নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা তাঁদেরকে নিজের বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন জানিয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শেখ মইনউদ্দিনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়...
৪ ঘণ্টা আগে