মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইস্যু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রসচিব

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২২: ২৪

রাজধানীর শাহীনবাগে বিএনপির এক নিখোঁজ কর্মীর বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের যাওয়াকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত’ মায়ের ডাক’ নামক একটি সংগঠনের আয়োজনে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান। সেই বাসার বাইরে’ মায়ের কান্না’ নামে অন্য একটি সংগঠনের সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। তারা একটি স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করলে রাষ্ট্রদূত এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর রাষ্ট্রদূত ‘নিরাপত্তা অনিশ্চয়তা’ তৈরির অভিযোগ তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কূটনীতিকদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, একজন কূটনীতিকের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের মদদে আরেকটি নাম নিয়ে উপস্থিত হওয়া আইনবিরোধী, অগণতান্ত্রিক। 

এদিকে, মায়ের কান্না নামের সংগঠনটির সদস্যদের কথা না শুনে এড়িয়ে যাওয়া রাষ্ট্রদূতের সমালোচনা করেছেন ৩৪ বিশিষ্ট নাগরিক। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, পিটার হাসের আচরণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষভুক্ত হলেন কিনা, জনমনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত যেভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক পক্ষের ‘স্বার্থ-সিদ্ধির’ জন্য সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, তা উদ্বেগজনক। 

শিক্ষক সমিতি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মত পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকারের কথা বলে। দেশগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের স্বঘোষিত খুনি ও একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত